ঐতিহ্য এবং সুফিবাদের পীঠস্থান খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহের ইতিহাস

সবুজ বাংলাদেশ ডেক্স॥

ইতিহাস, ঐতিহ্য, সুফিবাদ, এবং রহস্যময়তার পীঠস্থান হলো ভারতের রাজস্থানের খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ। ধর্ম, সম্প্রদায় এবং ভৌগলিক সীমানার চৌকাঠ পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে এটি এমন এক স্থান অর্জন করেছে, যা পরিদর্শন করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন।

শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বীই নন, হিন্দুরা দর্শনার্থীও আজমিরের এই দরগাহে উপস্থিত হন। এখানে নারীরাও প্রবেশ করতে পারেন। বহু হিন্দু নারীই এই দরগাহে আসেন মানত করতে।

এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে রয়েছে আজমিরের দরগাহ, তবে অন্য কারণে। শিব মন্দিরের উপরে এই দরগাহ বানানো হয়েছিল বলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন হিন্দু সেনা নামে এক সংগঠনের সভাপতি ভিষ্ণু গুপ্তা। তার দাবির স্বপক্ষে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হরবিলাস সারদারের বইয়ের তথ্য-সহ তিনটে কারণ উল্লেখ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মি. গুপ্তা এবং সেখানে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতির জন্যও আবেদন জানিয়েছেন।

ভিষ্ণু গুপ্তার দাবি, মন্দিরের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমাণ রয়েছে। অন্যদিকে, আজমির দরগাহের প্রধান উত্তরাধিকারী এবং খওয়াজা মইনুদ্দিন চিশতির বংশধর সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি ওই দাবিকে ‘সস্তা প্রচার পাওয়ার জন্য স্টান্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের সম্ভলস্থিত শাহী জামা মসজিদকে ঘিরেও একই দাবি তোলা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের নির্দেশে সেখানে জরিপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জরিপ চলছিল। জরিপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়ে হঠাৎ মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে তিনদিক থেকে পাথর ও ইটবৃষ্টি শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং তাদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এই ঘটনায় চারজন মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী, পুলিশ ও স্থানীয় কর্মকর্তা মিলিয়ে দু’পক্ষের একাধিক ব্যক্তি জখমও হয়েছেন।

এই আবহে, আগামী ২০শে ডিসেম্বর আজমিরের খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, জানুরারি মাসের আট তারিখ খাজা মইনুদ্দিন চিশতির উরস। সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানে শামিল হন কয়েক লক্ষ মানুষ। বেশ আগে থেকেই উৎসবের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই দরগাহকে ঘিরে যে দাবি ও পাল্টা দাবির ঝড় উঠেছে তাকে কেন্দ্র করে আজমিরের পরিস্থিতি অন্যবারের তুলনায় বেশ আলাদা।

সবা:স:জু-১৭২/২৪

 

টঙ্গী আরিচপুর তরুণ সমাজের উদ্যোগে ৩ য় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত

হাফসা আক্তারঃ

গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ শনিবার রাতে গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৫ নং ওয়ার্ড পূর্ব আরিচপুর বৌ-বাজার রেল লাইন সংলগ্ন আরিচপুর তরুণ সমাজের উদ্যোগে ৩ য় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে। উক্ত অনুষ্ঠানে হযরত মাওলানা মুফতি এরশাদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে -মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ রাহমানীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন -গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আজমত উল্লাহ খান। প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-হযরত মাওলানা জিকরুল্লাহ খান, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-হযরত মাওলানা ওমায়ের কোব্বাদী। বিশেষ বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-মুফতি ইসমাঈল সিরাজী আল মাদানী ও মুফতি ইব্রাহিম খলীল রাহমানী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন(বি এ) জনাব মোঃ শাহ আলম রিপন,কাউন্সিলর ৪৫ নং ওয়ার্ড গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন সরকার-কাউন্সিলর ৫৭ নং ওয়ার্ড গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, এস এম রুহুল আমিন মনি সরকার-সাধারণ সম্পাদক টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গাজীপুর মহানগর, মোঃ হৃদয় চৌধুরী যুবলীগ নেতা বিমান বন্দর থানা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। অনুষ্ঠান সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন আরিচপুর তরুণ সমাজের সম্মানিত সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃ জীবন সিকদার, মোঃ বিপ্লব, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ বশির মিয়া, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোঃ রাকিব মিয়া, মোঃ সাগর মিয়া, মোঃ মাসুম মিয়া সহ এলাকার হাজার হাজার ধর্ম প্রাণ মুসলিম ভাই ও বোনেরা। মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওয়াজ মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম