রেকর্ড সংগ্রহ তাড়া করে বাংলাদেশকে হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

খেলা ডেস্ক: 

শেরফানে রাদারফোর্ডের ঝড়ো শতকে রেকর্ড সংগ্রহ তাড়া করে জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভালো ব্যাটিংয়ে ২৯৪ রানের পুঁজি নিয়েও বোলিং ব্যর্থতায় হারতে হলো বাংলাদেশকে। প্রথম ওয়ানডে ৬ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে ব্যাটিং নেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ভালো শুরুর পরও এদিন নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ১৯ করে সৌম্যর বিদায়ের পর লিটন দাসও ফেরেন মাত্র ১ করে।

এ দুজনের পর দলের হাল ধরেন তানজিদ-মিরাজ জুটি। তৃতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৭৯ রান। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে থামেন ৬০ রানে।

এক বছর পর দলে ফেরা আফিফকে নিয়ে এরপর ভালোই এগোচ্ছিলেন মিরাজ। চারে নেমে দেখা পান ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটির। আফিফের ২৮ রানের পর দুবার জীবন পাওয়া মিরাজ আউট হন ৭৪তে।

ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশকে পথ দেখান মাহমুদউল্লাহ-জাকের জুটি। ৭৪ বলে যোগ করেন ৯৬ রান। তাতে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের সংগ্রহ বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। জাকের ৪৮ করে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এদিন ওয়ানডেতে ২০০ ছক্কার মাইলফলক ছুয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

বড় রান তাড়ায়, দুই ওপেনার সাবধানী শুরু করলেও, ব্রেন্ডন কিং ও এভিন লুইসের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে দলীয় ২৭ রানে। ৯ করে তানজিম সাকিবের বলে আউট হন কিং। পরের ওভারেই নাহিদ রানার বলে ১৬ করে বিদায় নেন লুইস।

তৃতীয় উইকেটে হোপ-কার্টি দলের হাল ধরেন। তাদের জুটিতে আসে ৬৭ রান। রিশাদের লেগস্পিনে ২১ করে আউট হন কার্টি।

অন্যপ্রান্তে হোপ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি। রাদারফোর্ডকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। দুজনের ৯৩ বলে ৯৯ রানের জুটি ভাঙ্গেন মিরাজ। সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে হোপ ফেরেন ৮৬ করে।

অন্যপ্রান্তে ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন রাদারফোর্ড। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন মাত্র ৭৭ বলে। ৮০ বলে ৮ ছক্কায় থামেন ১১৩ রানে। ১৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা। টানা ১১ ম্যাচ হারের পর অবশেষে টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল উইন্ডিজ।

 

সবা:স:জু-২৬০/২৪

আজকের আইপিএল ম্যাচ চেন্নাই সুপার কিংস টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন

শামীম রহমান ::

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (একাদশ): জ্যাকব বেথেল, বিরাট কোহলি, দেবদত্ত পাডিক্কাল, রজত পাটিদার (অধিনায়ক), জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), টিম ডেভিড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, রোমারিও শেফার্ড, ভুবনেশ্বর কুমার, লুঙ্গি এনগিডি, যশ দয়াল

চেন্নাই সুপার কিংস (একাদশ): শাইখ রশিদ, আয়ুষ মাহাত্রে, স্যাম কারান, রবীন্দ্র জাদেজা, দেওয়াল্ড ব্রেভিস, দীপক হুদা, এমএস ধোনি (অধিনায়ক), নূর আহমেদ, খলিল আহমেদ, আনশুল কাম্বোজ, মাথিশা পাথিরানা

রজত পাটিদার: আমরাও ফিল্ডিং করতাম। কিন্তু উইকেট খুব একটা বদলাবে না। আমরা বোর্ডে ভালো স্কোর তৈরি করার চেষ্টা করব এবং তাদের চাপে রাখব। সবাই ভালো মানসিকতার এবং তাদের ভূমিকা পালন করছে, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি আমার ছেলেদের উপর খুব আত্মবিশ্বাসী। এখন পর্যন্ত অনেক খেলোয়াড় দলের হয়ে পারফর্ম করেছে এবং এটি একটি ভালো লক্ষণ। আমাদের ৪টি খেলা আছে এবং আমরা সব খেলাতেই আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এখন থেকে প্রতিটি খেলাই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা যোগ্যতার দিকে তাকাচ্ছি না এবং চারটি খেলাতেই আমরা আমাদের সেরাটা চেষ্টা করব। একটি পরিবর্তন – জোশের পরিবর্তে এনগিডি এসেছেন।

এমএস ধোনি: আমরা প্রথমে বোলিং করার চেষ্টা করছি। আমরা শেষ চারটি খেলা থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাই। পরের বছর দেখার চেষ্টা করুন এবং কোন ব্যক্তি কোন ভূমিকায় ফিট হবে। হ্যাঁ আমরা খেলা জিততে চাই তবে চারটি খেলার মধ্যে সর্বাধিক লাভ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি জটিল বলে মনে হচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরে আন্ডার কভারে ছিল এবং তা ছাড়া এটি এমন একটি ভেন্যু যেখানে রান করা সহজ। এটি একটি উচ্চ-স্কোরিং ভেন্যু এবং প্রাথমিক শুরুর পরে এটিতে ব্যাট করা বেশ ভাল হবে। এটি প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ তবে ব্যাটসম্যানদের তাদের শক্তি অনুসারে খেলতে হবে, আপনি যদি বোলার হন তবে ভাববেন না যে বাস্তবায়ন ঠিক না হলে কী হবে, একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে বোলিং করুন। (পাওয়ারপ্লে পরিকল্পনা) এটি পরিকল্পনা হতে দিন।

সর্বশেষ : ৮ ওভার :: ৮৭ । রিপোর্টটি প্রকাশ পর্যন্ত

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম