তারিখ লোড হচ্ছে...

ই-পেপার

শিরোনাম
বিমানের সিপাহীর আয় বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও চোরাচালানী মাল জব্দ শিক্ষকদের কর্ম-বিরতি, স্থগিত বার্ষিক পরীক্ষা পোল্ট্রি খামারের বিষাক্ত বর্জ্যে বিপন্ন জনজীবন টোল প্লাজার চেকপোষ্ট থেকে পিস্তল ও গুলিসহ আটক-১ খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তিন বাহিনী প্রধান সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্ম বিরতি শুরু জেলা পরিষদ সদস্য সাথোয়াই প্রুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ লটারির মাধ্যমে ৫২৭ থানায় নতুন ওসি পরীক্ষার হলের দায়িত্বে অভিভাবকরা বরিশালে ভুয়া চিকিৎসক আটক কক্সবাজারের পর্যটন শৃঙ্খলা আনতে তৎপর ট্যুরিস্ট পুলিশ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা জানালেন ডা. জাহিদ দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের শক্তি ও প্রেরণার উৎস : তারেক রহমান বিতর্কিত কর্মকর্তা মাসুদুল ইসলাম হতে যাচ্ছে যমুনা অয়েলের এমডি! মাদারীপুরের শিবচরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কমিউনিটি অব পর্তুগালের নতুন কমিটি ঘোষণা সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটাপন্ন  দক্ষিণখানে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ : কমিশন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন রাজউক এর সিআই সাব্বিরের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ আদালত চত্বরে দু’জনকে গুলি করে হত্যা সাগর–রুনি হত্যা মামলার তারিখ ১২২ বার পেছাল বন অধিদপ্তরে দুর্নীতির শাস্তির বদলে পদোন্নতি বন্যায় শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৯ সারা দেশে আজ মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ তিন বছর বয়সে সার্ভিয়া হাসান গড়লেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সেনা অভিযানে সহকারী কালেক্টর আটক নির্দিষ্ট স্টেশন না থাকায় যানজটের ভোগান্তি শিশুদের স্বাস্থ্য সেবায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান এমপি হতে পারলে বাকি এমপিদের খবর আছে বিজিবির অভিযানে গুলিসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ইনশাল্লাহ এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ১৯ দেশের নাগরিকদের পর্যালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ইমরান খান জীবিত আছেন কিনা, প্রশ্ন ছেলের ডেঙ্গুতে একদিনে ভর্তি ৪১০ জন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বিজিবি কর্তৃক পৃথক অভিযানে মদ ও গরু জব্দ স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইলেন ফখরুল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ দুর্নীতিতে আমাদের অভিজ্ঞতা নাই এশিয়া কাপের জন্য ভারতের দল ঘোষণা গণতন্ত্রে ফেরার অপেক্ষায় গোটা জাতি: মির্জা ফখরুল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিসিএস ক্যাডার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে : ফারুক ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু ১৫০ আসনে জয়ের টার্গেটে জামায়াত

একটি প্রাচীনতম পাতাল শহর ডেরিংকুয়ুর গল্প

স্টাফ রিপোর্টার: 

আজকের আধুনিক টানেল প্রযুক্তির ভীত দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীনকালের সুড়ঙ্গ তৈরির উদ্ভাবনী কৌশলের ওপর। যদিও প্রাচীন যুগে সুড়ঙ্গ নির্মাণের পদ্ধতি ছিল ধীরগতির ও পরিশ্রমসাধ্য, তবুও প্রকৌশলের প্রাথমিক ধারণা ও কৌশলগুলোর বিকাশ উন্নত টানেল নির্মাণের ভিত্তি গড়ে তুলেছিল।

বিভিন্ন যুদ্ধের ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে যে, যুদ্ধে সৈন্য সংখ্যা কিংবা গোলাবারুদ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হলো রণকৌশল।প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রণকৌশলেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সুড়ঙ্গের। গোপন সুড়ঙ্গবিহীন দুর্গ তখন কল্পনাই করা যেত না।

আগেকার দিনের অধিকাংশ দুর্গেই এর অধিবাসীদের জন্য রাখা হতো বিভিন্ন গোপন সুড়ঙ্গ। কোনো কোনো সুড়ঙ্গ শেষ হতো দুর্গ থেকে বেশ কিছু দূরে, যাতে করে শত্রুর আক্রমণের মুখে দুর্গের অধিবাসীরা নিরাপদে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারে। শত্রুদের দ্বারা অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় বিভিন্ন খাদ্য ও যুদ্ধ সামগ্রীও এসব সুড়ঙ্গ পথেই আনা-নেয়া করা হতো। এছাড়া কোনো কোনো সুড়ঙ্গ গিয়ে শেষ হতো কোনো গোপন কুঠুরিতে যেখানে লুকিয়ে থাকা যেতো, রসদ লুকিয়ে রাখা যেতো কিংবা খুঁড়ে রাখা হতো পানির কূপ।

তবে প্রাচীনিকালেই সুড়ঙ্গ ব্যবস্থাকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কাপাডোশিয়া অঞ্চলের হিট্টাইট সম্প্রদায়। অসংখ্য সুড়ঙ্গপথ ও চেম্বার তৈরির মাধ্যমে রীতিমতো তারা নির্মাণ করেছিল ডেরিংকুয়ু পাতাল শহর। ঐতিহাসিকদের মতে, খ্রিস্টপূর্ব ১২০০-১৬০০ শতাব্দীতে কাপাডোশিয়ায় নির্মিত হয়েছিল এই পাতাল শহর।

ওই সময়ে অঞ্চলটিতে বসবাস করতো হিট্টাইট সম্প্রদায়ের মানুষজন। বৈরী প্রকৃতি, আগ্রাসী জাতিগোষ্ঠী ও দুর্ধর্ষ ডাকাতদের সঙ্গে অভিযোজন করেই চলছিল তাদের জীবন। একদিন তারা স্বজাতি ও সম্পদের সুরক্ষায় অদূরে নরম শিলা মাটি খুঁড়ে নির্মাণ করলেন সুরক্ষিত পাতাল শহর।

হিট্টাইট সম্প্রদায়ের কঠোর পরিশ্রমে নির্মিত ডেরিংকুয়ু মাটির প্রায় ২৫০ ফুট গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। শান্তিপ্রিয় হিট্টাইট জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করতো এ শহরে। আর তাই সবার নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে মাটির উপরিভাগে তৈরি করা হয়েছিল ৬০টি গোপন দরজা। শহরের অলিতে-গলিতে আলো-বাতাস ও অক্সিজেনের বাধাহীন চলাচল নিশ্চিতে আরো নির্মিত হয় প্রায় দেড় হাজার চিমনি।

হিট্টাইট সম্প্রদায়ের নির্মিত পাতালশহরের খোঁজ প্রত্নতাত্ত্বিকরা পেয়েছিলেন ১৯৬৩ সালের দিকে। তুরস্ক তখন আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। একদিন এক অধিবাসী নিজের বাড়ি মেরামত করছিলেন। আর তখনই আচমকা খসে পড়ে মেঝে। নিজের অজান্তেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন ৩ হাজার বছরের পুরনো ডেরিংকুয়ু পাতাল শহর। আর তার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন বেশ কজন প্রত্নতাত্ত্বিক। সরঞ্জাম গুছিয়ে শুরু করেন অনুসন্ধান।

প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে নগরীর রহস্যময় গোলকধাঁধাপূর্ণ গঠনশৈলীর বৃত্তান্ত।প্রায় ১৮ তলাবিশিষ্ট এ শহরের বিভিন্ন তলায় খুঁজে পাওয়া যায় আস্তাবল, তেলের ঘাঁনি, গুদামঘর, ভোজনকক্ষ, ভূগর্ভস্থ রত্নভান্ডার, প্রার্থনাকক্ষসহ আরও অনেক কিছুই। শহরের দ্বিতীয় তলায় দেখা মিলেছে কিছু অদ্ভুতদর্শন সমাধিরও।

এ থেকে অনুমান করা হয়, দ্বিতীয় তলাটি প্রার্থনালয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও অপরপাশে মৃতদের বিশেষ নিয়মে সমাহিত করার কাজে ব্যবহৃত হতো। এছাড়াও শহরের অভ্যন্তরে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য খুঁজে পাওয়া যায় নলাকৃতির বিশেষ সুরঙ্গের। এসব সুরঙ্গ দিয়ে পানি এসে জমা হতো কূপের তলদেশে। ইতিহাসবিদদের ধারণা, স্কুল, গির্জা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারও ছিল এখানে। সবমিলিয়ে এক পরিপূর্ণ সমৃদ্ধ শহর ছিল এই ডেরিংকুয়ু পাতাল নগরী।

ইতিহাসের পালাক্রমে বহুবছর ধরে হাত বদল হয়েছিল হিট্টাইট সম্প্রদায়ের পাতাল শহর। ইতিহাসের বাঁক ঘুরে সুরক্ষিত ডেরিংকুয়ু শহর একসময় ফ্রিজিয়ানদের হাত হয়ে কুক্ষিগত হয় বাইজেনটাইনদের হাতে। তারপর বাইজেনটাইনদের হাত থেকে অটোমানদের হাতে আসে ডেরিংকুয়ু।

অটোমানদের হাতে পড়ার পর পাতাল শহরটি বন্দীদের আটকে রাখতে ব্যবহার করা শুরু হয়।এর পরের ১০০ বছরে ঘটেছে অসংখ্য ঘটনা। একটা সময় পরে শেষ হয়েছে অটোমান অধ্যায়ও। গ্রিস ও তুরস্কের যুদ্ধের পর ১৯২৩ সালে উভয় ভূখণ্ডের মধ্যে আদান-প্রদান হয় নিজেদের জনগণ। সে সময় সেখানে বসবাসরত খ্রিস্টান অধিবাসীরা ছেড়ে যায় রহস্যময় এই পাতাল শহর। অবশেষে চূড়ান্তভাবে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্বে গড়ে ওঠা এই পাতাল নগরী।

সবা:স:জু- ৩২৫/২৪

Facebook
X
LinkedIn
Threads
WhatsApp
Telegram
Email

Leave a Comment

জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ কেবলই মুগ্ধতা ছড়ায়

সাঈদুর রহমান রিমন: জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম আমাকে প্রতিদিনই মুগ্ধ করছে। সত্যি কি অসাধারণ তাদের ব্যবহার, কি চমৎকার সম্বোধন। বাবা, মা, ভাই, বোন সম্বোধনে সবাইকে আপন করে নিয়ে সাবলীল ভাবে চাপিয়ে দেয়া হয় নানা নির্দেশনা। সে নির্দেশনা হলো সব ধরনের বিপজ্জনক অবস্থা এড়িয়ে চলার, সে নির্দেশনা নিজেরা ভালো থাকার। সকলেই জানেন, জাফলং এর পাথর, পাহাড়, ঝর্না নদীর মায়াবী এ পর্যটন এলাকাটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের এক্সট্রিম জিরো পয়েন্টে। অজানা, অসতর্কতায় প্রায়ই পর্যটকরা জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে ভারতের ভিতরে ঢুকে পড়েন। ওই সময় বিএসএফ টহলরত থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এমন বিব্রতকর ঘটনা এড়াতে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরামহীন তৎপরতা যেন চলতেই থাকে। কখনও উচু পাথরের উপর দাঁড়িয়ে, কখনও পিয়াইনের স্রোত পানিতে কোমর পর্যন্ত ভিজে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা দুই হাত

আরও পড়ুন
language Change