খালি পেটে জিরা পানি কতটা উপকারী

স্বাস্থ্য ডেস্ক: 

খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিকভাবে শরীরের নানা সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। দেখে নিন জিরা পানি খেলে কী কী উপকারিতা যোগ হবে আপনার শরীরে।

১. হজমশক্তি উন্নত করে: জিরা পানি হজমশক্তি বাড়ায়। এতে উপস্থিত এনজাইম হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং গ্যাস, পেটফাঁপা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়।


২. ওজন কমাতে সাহায্য করে: জিরা পানি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং শরীরে ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি ক্ষুধা কমিয়ে রাখতেও সাহায্য করে।


৩. ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে: জিরা পানি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়।

৪. ইমিউনিটি বাড়ায়: জিরায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং আয়রন ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

৫. ত্বকের জন্য ভালো: জিরা পানির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: জিরা পানি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

৭. স্ট্রেস ও ঘুমের সমস্যা কমায়: জিরা পানি মানসিক চাপ কমাতে এবং ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে।
সবা:স:জু- ৩৭৬/২৪
ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু ভর্তি ৪৪৪

ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু ভর্তি ৪৪৪

ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৪৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে মোট ৬৫ জনের মৃত্যু হল। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৬ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মঙ্গলবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছে সৈয়দপুরের ১১ বছর বয়সী এক কিশোর। মুগদা হাসপাতালে মারা গেছে ৫০ বছর বয়সী খিলগাঁওয়ের এক বাসিন্দা। এছাড়া পপুলার মেডিকেলে মারা গেছে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকার একজন।

জুলাই মাসের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন মারা গেছেন, যা চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি। জুন মাসে মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, মে মাসে তিন জন মারা যান। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি, ৭৭৩০ জন। জুন মাসে ৫৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১৭৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে, ১২৭ জন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২১ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে আট জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৩ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩৩২ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৮০ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯৫২ জন। দেশে ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর মৃতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৯ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় ৪০২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ১৬ হাজার ৬২৯ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ২২ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক সাত শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক তিন শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছেন। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ৬৫ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত তিন জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম