কাঁচা খেজুরের রস থেকে সাবধান

স্বাস্থ্য ডেস্ক: 

শীতকালে বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয় তার মধ্যে নিপাহ ভাইরাস অন্যতম। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে খেজুর রসের স্বাদ এবং গন্ধে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এই সময়ে অনেক মানুষ খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস পান করে। যা থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি।

বাংলাদেশে খেজুর রস থেকে তৈরি হওয়া গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড় ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়। সাধারণত বাংলাদেশে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয় কার্তিক থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় যশোর, কুষ্টিয়া এবং ফরিদপুরে। তবে, খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্পর্কে আমরা কতটা সচেতন! বেশ কয়েক বছর ধরে খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাস হল একটি ‘জুনোটিক ভাইরাস’, যা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় এবং পরে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নিপাহ ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে জ্বর, মানসিক অস্থিরতা, কিংবা মৃগী হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
২০০১ সালে মেহেরপুরে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। সে বছর শনাক্ত হয় ১৩ জন এবং তাদের অনেকেই মারা যায়। ২০১২ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয় ১৮ জন।

সবশেষ গত সাত বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে তিনজন শনাক্ত হয়।  ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২০ জন শনাক্ত হয়। গত ২৩ বছরে দেশে ৩৩৯ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪০ জন মারা যায়। তাই নিপাহ ভাইরাস নিয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত গাছের গর্তে পাত্র ঝুলিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। যেখানে রাতের বেলা বাদুড়রা এসে রস পান করে। বাদুড়রা খেজুর রস পান করার সময়  তাদের লালা এবং মল রসের সঙ্গে মিশে যায়। যার কারণে কাঁচা খেজুর রস পান করলে মানুষের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে।ফলে  ফলে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, ডায়রিয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে সেটা জানা প্রয়োজন।

নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে উপসর্গহীন থাকতে পারে আবার কারো শুধু সাধারণ জ্বর-কাশি দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে জটিল অবস্থা হলো, মস্তিষ্কে সংক্রমণ দেখা দেয়। নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। তবে অনেকের মতে ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও ৪৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় ভাইরাসটি শরীরের মধ্যে থাকতে পারে। শুরুতে প্রচণ্ড  জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা, কাশি, পেটে ব্যথা, বমিভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। সময়মতো ট্রিটমেন্ট না হলে রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খেজুরের রস সংগ্রহ করা নিয়ে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, যারা রস সংগ্রহ করেন, তারা যেন সতর্ক থাকেন। কারণ হাঁড়ির আশপাশে বাদুড়ের লালা লেগে থাকতে পারে। মাস্ক পরতে হবে এবং রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে৷ গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহের হাঁড়ি ঢেকে রাখতে হবে। খেজুরের কাঁচা রস পান না করে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা এবং রোগীর সেবা করার পর সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, খেজুর রস সংগ্রহের স্থানটি নিরাপদ এবং পরিষ্কার। এ ছাড়া, খেজুর রস সেদ্ধ করে পান করা উচিত।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, রস সংগ্রহের পর তা ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেদ্ধ করা উচিত, যাতে ভাইরাসটি মারা যায়।

এখনও পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো টিকা বা কার্যকর চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। সে ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন গ্রহণ করা যেতে। যেমন, আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে এই রোগ। তাই যারা রোগীদের সেবা দিয়েছেন এবং মৃতদের সৎকার করেছেন, তাদের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। রোগীর কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর সঙ্গে একই পাত্রে খাওয়া বা একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না।

যেহেতু নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ  দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়, তাই সে সময়ে যারা খেজুরের রস খেয়েছেন, তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে যারা রোগীর সেবা করবে তারা  মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে। আসুন নিপাহ ভাইরাসে আতঙ্ক না হয়ে নিজে সচেতন হই এবং অন্য কেও এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করি।

 

সবা:স:জু- ৪৩০/২৪

 

 

বিএনপি ২৫ সালেই ভোটে অনড়

স্টাফ রিপোর্টার: 

নেতারা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় কাটবে না, সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে।

আগামী বছর, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। বিএনপির পাশাপাশি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরও একই চাওয়া। ‘২০২৫ সালের শেষের দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়’, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানালেও দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে সংশয় তৈরি হয়েছে এ ঘোষণায় তা কাটবে না। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সময়ের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

আগামী বছর, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। বিএনপির পাশাপাশি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরও একই চাওয়া। ‘২০২৫ সালের শেষের দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়’, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানালেও দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে সংশয় তৈরি হয়েছে এ ঘোষণায় তা কাটবে না। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সময়ের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

বিএনপির দায়িত্বশীলরা বলছেন, উপদেষ্টার বক্তব্যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন তাঁরা। অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে নির্বাচনমুখী করতে না পারলে দেশবিরোধী নানা ধরনের অপপ্রচার-ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। পতিত সরকার দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাবে। বিএনপি মনে করে, আগামী বছরের প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে পরবর্তী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

সর্বোচ্চ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ হলে তাতে আপত্তি থাকবে না। তবে নির্বাচন ২০২৬ সালে গেলে সেটি হবে দীর্ঘ সময়। এর মধ্য দিয়ে সময় ক্ষেপণ হবে, যেটি কাম্য নয়।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অভিমত, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বিএনপি তাদের ৩১ দফায়ও সংস্কারের কথা বলেছে। তাই নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। এর অংশ হিসেবে দ্রুত রোডম্যাপ দিলে দেশ পুরোপুরি নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় ঢুকে যাবে। এতে বিদ্যমান অস্থিরতাও কেটে যাবে। তা ছাড়া ১৫-১৬ বছর ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত জনগণও এখন ভোট দিতে উন্মুখ।আর সব সংস্কার শেষে নির্বাচন করতে গেলে সেটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। নির্বাচিত সরকার এসে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেবে। এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণার পর বিএনপি সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। তিনি বলেন, নির্বাচন করতে এত সময় লাগার কথা নয়। সরকার আন্তরিক হলে আরও দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ দ্রুত নির্বাচন প্রত্যাশা করে। অংশীজনেরাও দ্রুত নির্বাচন চায়। জবাবদিহিমূলক সরকার না থাকলে অংশীজনেরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি ধারণা দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি ধারণা নয়, নির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। তিনি বলেন, সংস্কার যুগ যুগ ধরে চলবে, এটা নতুন কিছু নয়। সময়ের বিবর্তনে, সময়ের চাহিদায় সংস্কার প্রয়োজন হয়। আমরা আশা করছি, এ সরকার দ্রুততম সময়ে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফেরত দেবে, এটাই কাম্য।

 

বিএনপির একসময়ের রাজপথের মিত্র জামায়াতে ইসলামী বলছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটা ধারণা দিলেও সংস্কারের বিষয়ে কিছুই বলেননি। জামায়াত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চায়। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই। তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যেখানে ন্যায়বিচার কায়েম হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করবে। এসব নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই বিগত সরকারের প্রতিটি সেক্টরের অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও রোডম্যাপ প্রশ্নে এখন সরকারপ্রধানের সঙ্গে সংলাপ আশা করছে। তারা বলছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে রোডম্যাপ তৈরি করা হলে সব সন্দেহ-সংশয় দূর হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে এখন যে ইঙ্গিত পাওয়া গেল, সেটা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরিতে সহায়ক হবে। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার এবং নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে এটি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেড় থেকে দুই বছরের মাথায় সংস্কার শেষ করে একটি নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা আশা করেছিলাম। তার পরও যেটা বলেছেন, আমরা মনে করি, তিনি সামনে আরও সুন্দরভাবে, আরও নির্দিষ্টভাবে একটি পরিকল্পনা আমাদের সামনে তুলে ধরবেন। আমরা চাই এ সরকার সফল হোক। বিএনপির মিত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা দিতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ দেখতে চাই না। মানুষ ১৭ বছরে ভোট দিতে পারেনি। বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলাসহ নানা বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সম্ভাবনার কথায় দেশবাসী আস্থা রাখতে পারছে না। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। দেশে এখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার দরকার। যত দ্রুত নির্বাচন হবে, ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। বিএনপির আরেক মিত্র ১২-দলীয় জোটের নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের চার মাস পার হওয়ার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্য এলো। কিন্তু তাতে সংস্কারের সময় বা নির্বাচনের তারিখ বলা হয়নি। এ জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা প্রয়োজন। তাঁরাসহ অনেক দল ২০২৫ সালে জুনের মধ্যে নির্বাচন চায়। তাঁরা মনে করেন, সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার।

সবা:স:জু- ৪২৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি