তারিখ লোড হচ্ছে...

কিডনি ড্যামেজ হওয়ার লক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার: কিডনির স্বাস্থ্যের কথা বলতে গেলে, বেশিরভাগ মানুষই কোমরের ব্যথা এবং প্রস্রাবের পরিবর্তনের মতো সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন। তবে কিডনির ক্ষতি অস্বাভাবিক উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করা হয়। সেই প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণগুলো সনাক্ত করতে পারলে তা জটিলতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনি ড্যামেজ হওয়ার কিছু লক্ষণ সম্পর্কে-

মুখের মধ্যে ধাতব স্বাদ

দীর্ঘস্থায়ী ধাতব স্বাদ বা মুখে দুর্গন্ধ কিডনির ক্ষতির লক্ষণ হতে পারে। এটি রক্তপ্রবাহে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়ার কারণে ঘটে, যা ইউরেমিয়া নামে পরিচিত। যা স্বাদ উপলব্ধি এবং নিঃশ্বাসের গন্ধকে পরিবর্তন করে।

চুলকানি এবং শুষ্ক ত্বক

যদিও ত্বকে চুলকানি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তবে ক্রমাগত শুষ্কতা এবং জ্বালা কিডনির কর্মহীনতা নির্দেশ করতে পারে। কিডনি খনিজ এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিডনি ড্যামেজ হতে শুরু করলে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ত্বকের গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অস্বাভাবিক স্থানে ফোলাভাব

এটি কিডনি রোগের একটি সুপরিচিত লক্ষণ, তবে এটি সবসময় গোড়ালি এবং পায়ের মতো স্থানে দেখা যায় না। মুখ, হাত, এমনকি চোখের চারপাশে ফোলাভাব কিডনির কার্যকারিতা হ্রাসের একটি প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট

হালকা কাজের পরে যদি বাতাসের জন্য হাঁপাতে থাকেন, তবে এটি কিডনির ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। কিডনি শরীরে তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিকভাবে কাজ না করলে ফুসফুসে অতিরিক্ত তরল জমা হতে পারে, যার ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

ক্লান্তি

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ফলে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্ক এবং পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। যার ফলে ক্রমাগত ক্লান্তি এবং মনোযোগ দিতে সমস্যা দেখা দেয়।

ঘন ঘন পেশীতে খিঁচুনি

ক্যালসিয়ামের কম মাত্রা এবং ফসফরাসের উচ্চ মাত্রার মতো ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা ঘন ঘন পেশীতে খিঁচুনি সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি কোনো আপাত কারণ ছাড়াই এই সমস্যাগুলো অনুভব করেন, তাহলে কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।

সব সময় ঠান্ডা লাগা

কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা উষ্ণ পরিবেশেও অস্বাভাবিক ঠান্ডা লাগার কথা জানান। এটি রক্তস্বল্পতার সঙ্গে সম্পর্কিত। যা টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়, এর ফলে ক্রমাগত ঠান্ডা লাগার অনুভূতি হয়।

যেসব কারণে কাটা তরমুজ ফ্রিজে রেখে খাওয়া উচিত নয়

স্টাফ রিপোর্টার:

বাজার থেকে বড় একটি তরমুজ কিনে আনার পর পুরোটা একেবারে খাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কিছুটা খেয়ে বাকিটা ফ্রিজে রেখে দেন অনেকে। তাছাড়া ফ্রিজের ঠান্ডা তরমুজ অনেকের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাসটি কি ভালো? না কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এর নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-

ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি
কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর আশঙ্কা থাকে, যা খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ধীর হলেও, কাটা ফলের উন্মুক্ত পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

পুষ্টিগুণের হ্রাস

ফ্রিজে তরমুজ রাখলে কমে যায় এর পুষ্টিগুণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের তাপমাত্রায় রাখা তরমুজে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকে। ফ্রিজে রাখলে এই উপকারী উপাদানের পরিমাণ হ্রাস পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

ফ্রিজে রাখলে তরমুজের স্বাদ, রং এবং গুণগত মান পরিবর্তিত হতে পারে। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে তরমুজের প্রাকৃতিক মিষ্টতা এবং রসালো ভাব কমে যেতে পারে। ফলে তরমুজ খেলে আসল স্বাদ পাওয়া যায় না।

তরমুজ সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি

গোটা তরমুজ সংরক্ষণ

তরমুজ গোটা অবস্থায় ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত নয়। এটি ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা ভালো। এতে তরমুজের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বজায় থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজ কাটার ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া ভালো।

কাটা তরমুজ সংরক্ষণ

কাটা তরমুজ দ্রুত খাওয়া উচিত। এরপরও যদি সংরক্ষণ করতেই হয়, তবে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে ফ্রিজে রাখুন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে ফেলুন। তবে কাটা তরমুজ ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়।

তরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে প্রায় ৯০% পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। চোখের জন্যও উপকারী এই ফল। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের সঠিক পুষ্টি পেতে দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজে রেখে না খাওয়াই ভালো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম