বিশ্ববিদ্যালয় কিনে জামাতের আখড়া তৈরির চেষ্টা সুহানের!

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রিভেরি পাওয়ার অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক সোহানের বিরুদ্ধে পারিবারিক প্রতারণা, ব্যবসায়িক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে এক সোহানের হাতেই জিম্মি হয়ে আছে বিদ্যুৎ সেক্টর। বাংলাদেশে বিদ্যুতের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, পিডিবি, পল্লী বিদ্যুৎ, পিজিসিবি, ওজোপাডিকোসহ প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সাপ্লাই ও ঠিকাদারী ক্ষেত্রে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে সোহানের মালিকানাধীন রিভেরী পাওয়ার অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।

একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজেশে নিম্নমানের সামগ্রী দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে সরবরাহ করে এরই মধ্যে এ সেক্টরের বারোটা বাজিয়েছে রিভেরী পাওয়ার। তাদের সরবরাহকৃত সাবস্টেশন, ট্রান্সফরমারসহ নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি নির্ধারিত সময়ের আগেই বিকল হয়ে পড়ছে।

যার প্রভাব পড়ছে দেশের বিদ্যুৎ সেক্টরে। মূলত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের লাগামহীন দুর্নীতির কারনেই প্রধানমন্ত্রীর শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

বৈদ্যুতিক সেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে রিভেরি পাওয়ারের দুর্নীতির নানা তথ্য। মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মকর্তাদের উচ্চবেতনে নিয়োগ নিয়ে তাদেরকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার ও পিডিদের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এক্ষেত্রে কমিশন বাণিজ্য থেকে শুরু করে ব্ল্যাকমেইলিং পর্যন্ত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে কাউকে কাউকে সুন্দরী মেয়ের ফাঁদে ফেলেও কাজ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব কারনে দুর্বল কোম্পানি ও মানহীন পণ্য ও ওভারপ্রাইসড হওয়া স্বত্বেও বারবার কাজ পাচ্ছে রিভেরী।

ফলে একদিকে আরিফুল হক সোহান যেমন হয়ে ওঠছেন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাষ্ট্র।সম্প্রতি ডিপিডিসি ও পিজিসিবির দুই অসাধু কমকর্তাদের হাতে নিয়ে রাসটের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের একটি নিল নকশা একেছেন সোহান। একে একে আমরা সোহানের সাথে জড়িত অসাধু বিদ্যুৎ খাতের সিন্ডিকেটের নাম প্রকাশ করবো। সোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি জামাতের অর্থায়নে নিয়মবহির্ভুতভাবে স্কলারস ইউনিভার্সিটি নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিনে নিয়েছেন।

সাড়ে আট একর জমিসহ কিনে নেয়া দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স এর ভাইস চেয়ারম্যান সোহান। অভিযোগ রয়েছে ইসলামী শিক্ষার নামে বিশ্ববিদ্যালয়টি জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। আধুনিকতার লেবাসে মূলত জামায়াতী এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সোহান। শুধু তাই নয়, রিভেরি পাওয়ারের ব্যবসার আড়ালে মূলত জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দেশের বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রিভেরী স্কুল নামে আরো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন সুহান। এই রিভেরী স্কুলের মালিকানায় সুহান থাকলেও এর অর্থায়ন জামাতের মাধ্যমে হয়েছে।

এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সুহান স্বীকার না করলেও রিভেরী স্কুলের স্টুডেন্টের প্যারেন্টসরা জানিয়েছেন,কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের আড়ালে উগ্র ইসলামী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। সুহান পারিবারিকভাবে জামায়াতপন্থী পরিবারের সদস্য। সুহানের বাবা এমদাদুল হক গোলাম আজমের ঘনিষ্ট বন্ধু। এমনকি মগবাজার কাজী অফিস লেনে গোলাম আজমের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের মসজিদ কমিটি নিয়ন্ত্রণ করেন সুহানের বাবা এবং সুহান। অথচ গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে শুধুমাত্র বিদ্যৎ খাত থেকে লোপাট করেছে কয়েকশো কোটি টাকা।….চলবে…

কার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল

স্টাফ রিপোর্টার: 

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তথ্য প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণহত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিলো বলে স্বীকার করেছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ‘সেফহোম’ বা নিরাপদ স্থানে জিজ্ঞাসাবাদে পলক এমন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পলক স্বীকার করেছেন, ভবনে আগুন লাগার কারণে নয়, হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা কোন ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল না। সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।

জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গত ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে বুধবার তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

জুলাই গণহত্যায় বিভিন্ন মামলায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহেল কাফি ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সবা:স:জু- ৪২৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন