ভারতের ২১ বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর যাত্রীবাহী ফ্লাইটের জন্য আগামী ১০ মে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের নির্দেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু পত্রিকার হাতে আসা একটি নোটিশ টু এয়ারম্যান (এনওটিএএম)-এ জানানো হয়েছে।

এই বিমানবন্দরগুলো ১০ মে সকাল পর্যন্ত সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচলের বাইরে থাকবে। এই তালিকায় জম্মু-কাশ্মীর ও লেহ-এর পাশাপাশি পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাট রাজ্যের একাধিক বিমানবন্দর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ রুটে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির এয়ারলাইন্সগুলো।

এনওটিএএম অনুযায়ী, জম্মু ও শ্রীনগর (জম্মু-কাশ্মীর), লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, পাতিয়ালা, হালওয়ারা (পাঞ্জাব), শিমলা ও ধরমশালা (হিমাচল প্রদেশ), যোধপুর, বিকানের, জয়সলমের, কিশনগড় (রাজস্থান) এবং ভূজ, জামনগর, রাজকোট, মুন্দ্রা, পোরবন্দর, কান্ডলা, কেশোদ (গুজরাট) বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও গোয়ালিয়র ও হিন্দন বিমানবন্দরেও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স।

উল্লেখ্য, এই বিমানবন্দরগুলোর অনেকগুলোই ভারতীয় বিমানবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবহার করে বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলো।

ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ১০ মে সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১১টি বিমানবন্দরের ১৬৫টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে।

এয়ার ইন্ডিয়াও ৯টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বন্ধ করেছে অমৃতসর, গোয়ালিয়র, জম্মু, শ্রীনগর এবং হিন্দনের ফ্লাইট।

স্পাইসজেট বাতিল করেছে লেহ, শ্রীনগর, জম্মু, ধরমশালা, কান্ডলা ও অমৃতসরের ফ্লাইট। আকাসা এয়ার জানিয়েছে, তারা ৯ মে পর্যন্ত শ্রীনগরের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।

পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ফাঁকা গুলি, বহু হতাহত

পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ফাঁকা গুলি, বহু হতাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের করাচিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় ফাঁকা গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৫ জন। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়ছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে পাকিস্তান। স্বাধীনতা উদযাপন করতে করাচি শহরে ছররা গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। শহরের আজিজাবাদ এলাকায়ে বুলেটের আঘাতে এক আট বছর বয়সি মেয়ে শিশু নিহত হয়েছে। আর কোরাঙ্গি এলাকায় স্টিফেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, করাচির লিয়াকতাবাদ, কোরাঙ্গি, লায়ারি, মেহমুদাবাদ, আখতার কলোনি, কেমারি, জ্যাকসন, ওরাঙ্গি টাউন, পাপোশ নগর, শরিফাবাদ, জামান টাউন, উত্তর নাজিমাবাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় মানুষের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এসেছে। এসব ঘটনায় কমপক্ষে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোমিনাবাদ, লিয়াকতাবাদ, সামানাবাদ ও ওরাঙ্গি টাউনসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আর গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় মামলাও হয়েছে।

পাকিস্তানে প্রতি বছর ফাঁকা গুলি চালিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে অনেকে। এর ফলে প্রাণহানি এবং আহত হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ বারবার সতর্ক করলেও তা বন্ধ হয়নি। গত বছর (২০২৪ সালে) করাচিতে একই ধরণের উদযাপনের সময় অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৯৫ জন আহত হন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম