জামায়াতের আপিল শুনানি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি চলছে।

জামায়াতের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করছেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

আদালত কক্ষে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রোটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে গত ৭ মে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিল শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন।

গত ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়। এরপর আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ খুলে যায়।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।

তার আগে গত ১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আবেদনের শুনানির জন্য ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

কদমতলীতে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি :
চকলেট ও বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কদমতলী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ ইউসুফ আলী পাটোয়ারী (৬৫)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি.) ভোর আনুমানিক ০৪:০০ ঘটিকায় সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়।

কদমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শিশুটির মা কদমতলী থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৫ এপ্রিল ২০২৫ তিনি তার পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে কদমতলী থানাধীন শ্যামপুর বালুর মাঠে ৯ নং রোডে মিনহাজের বন্ধ ফ্যাক্টরির নিচ তলায় পুরাতন প্লাস্টিকের ভাঙ্গারি বাছাই করতে যান। সকাল আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকায় ইউসুফ আলী পাটোয়ারী শিশুটিকে চকলেট ও বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে ফ্যাক্টরির তৃতীয় তলায় নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে সহযোগিতা করে শফিকুল ইসলাম শাহিন ও অজ্ঞাতনামা একজন যারা বাইরে পাহারা দেয়। শিশুটির কান্নাকাটির শব্দে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে শফিকুল ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ইউসুফকে পালাতে সহায়তা করে। ঘটনার পর ভিকটিমের মাতা স্থানীয় জনতার সহায়তায় শফিকুল ইসলাম শাহিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কদমতলী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

থানা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলা রুজুর পর কদমতলী থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি.) সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ইউসুফ আলীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

অজ্ঞাতনামা অপর আসামিকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিএমপি কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আইয়ুব আলী।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম