শিক্ষক থেকে অবসরে যাওয়ার পরে ফলের বাগান করে সাবলম্বি নিরন্জন রায়

মন্জুরুল ইসলাম (মনু) দেবীগঞ্জ পঞ্চগড় ।
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নিরন্জন রায় । মিশ্র ফলের বাগান করে প্রতি বছর ২৫-৩০ লাক্ষ টাকা আয় করেছেন। দেবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং দন্ডপাল ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াডের প্রধানাবাদ শশান কালি গ্রামে ১৮ একর জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের মিশ্র ফলের বাগান। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের চারা বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন লাখ টাকারও বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সফল কৃষক নিরন্জন রায় কালিগঞ্জ সুকাতু প্রধান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন অবসরে আসার পরে তিনি এ বাগান তৈরি করেন ।
কাশ্মীরি কুল চাষের মাধ্যমে তার এই বাগান করা শুরু। এ কাজে প্রায় ৫-৬জনের মতো নারী-পুরুষ কাজ করছেন। নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
মিশ্র এই ফল বাগান থেকে লাক্ষ টাকা আয় করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। নিরন্জন রায় এই মিশ্র বাগানে এখন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বিভিন্ন জাতের দেশি-বিদেশি ফলের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মালটা, লিচু,আম,নটকন,কলা,জলপাই,আমরা,কুল বরাই,আমলকি,বেল,আনারস,কাঁঠাল,পেয়ারা,মেওয়া,তাল,চালতা,ডেরাগন,তেজপাতা, পেঁপে, ভ্যানিলা ,সুপারি সহ আরও অন্যান্য ফলের গাছ রয়েছে।
তার এই মিশ্র ফলের বাগানে রয়েছে দেশী বিদেশি প্রজাতির সুমিষ্ট অনেক ফল এর মধ্যে অন্যতম বারি-১, মালটা, ব্যানানা সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রয়েছে তার এই বাগানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফলের বাগান তৈরির পাশাপাশি নিরন্জন রায়ের বাগানে তিনি বিভিন্ন গাছের চারাও তৈরি করছেন। গত বছরে তিনি হাজারও চারা বিক্রি করে আয় করেছেন অনেক টাকা।
এরপর চলতি বছরে কুল, পেয়ারা, আম, লেবু,সুপারি,লিচু,কলা, মাল্টা, ফল ও হাজার চারা বিক্রি করে আয় করেছেন ২৫-৩০ লক্ষ টাকা।
নিরন্জন রায় এই ফলের বাগান করার সিধান্ত নিয়ে ছিলেন যে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরে যাওয়ার পরে কৃষিতে মনোনিবেশ করে তিনি তার নিজের ১৮ একর জমিতে গড়ে তোলেন এই বাগান। তৎকালীন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি বাগানে মালটা, কুল, আম,মালটা ও পেয়ারার চারা লাগিয়ে একটি মিশ্র বাগান গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। অনেক বছরের বাগানে এখন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ শোভা পাচ্ছে তার বাগানে।
শুরুর বছরে তিনি তার এই মিশ্র ফলের বাগানের বিভিন্ন ফলজ গাছ লাগিয়েছিলেন। তাতেই বাজিমাত করেন। প্রথম বছরে তিনি কুল,আম,লিচু ,কলা অন্যান্য থেকেই আয় করেন লাখ টাকা। শুরুর বছরে বাগানে বিভিন্ন গাছ রোপণ ও অন্যান্য খরচ বাবদ দিয়েই তার আয় থাকেন কয়েক লাক্ষ টাকা ।
লাখ টাকা লাভের মুখ দেখে পরের বছর তিনি বাগানের পরিসর আরও বাড়িয়ে নেন।
এখন তার বাগানের আয়তন ১৮ একর। দেবীগঞ্জ উপজেলায় আম,লিচু ,মালটা ও কুলের বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ তিনিই প্রথম শুরু করেছেন। এরপর এই কুল , মালটার কলম করে তিনি নিজেরোপন করেও ছড়িয়ে দিয়েছেন নিজ জেলা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
নিরন্জন রায় বাগানের পরিচর্যায় তিনি বিভিন্ন জৈব সার, এবং তার নিজে তৈরি কেচো সার ও সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন। তার মতে, কৃষিকাজের মধ্যে এক ধরনের প্রশান্তি রয়েছে। এই কাজে পরিশ্রম করতে পারলে সুফল পাওয়া যায়।
নিরন্জন রায়ের ছেলে এ্যাভোকেট অরুণ রায় জানান আমি ছোট থেকে দেখছি আমার বাবা এই বাগানে সব সময় থাকে তার যেন এই গাছ গাছালি সঙ্গে একটি সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। আর এই বাগানের আয় থেকে আমাকে পড়াশোনা করিয়েছেন।
নিরঞ্জন রায় বলেন সারা বছরই বাগানের ভিতরে উপযোগী কিছু না কিছু থাকেই বর্তমানে বাগানে থোকায় থোকায় মালটা ঝুলছে অল্প দিনের মধ্যেই বিক্রয় শুরু হবে ।এসব মালটা বিক্রি করলে আশা করছি অনেক লাভবান হওয়াযাবে।

নিরন্জন রায় আরো বলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্দু তার এক ভাষনে বলেছিলেন দেশের একইনচি জমি খালি(ফাকা)রাখা যাবেনা সেই ভাষন আমার এখনো মনে প্রেরনা যোগায় সেই ভাষনের কথাগুলি তিলে তিলে পালন করার চেষ্টাকরছি ।

কুয়াশা শিশির ভেজা সকাল যেন শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে

বাবুল রহমান রবিন:গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:

আগামনী বার্তা দিচ্ছে শীত ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে ভোরে শীতের সঙ্গে দেখাও মিলছে ঘন কুয়াশার ভোরের কুয়াশায় গাইবান্ধায় শীত অনুভুত হচ্ছে গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হতে শুরু করেছে শীতের পরশ। ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কুয়াশার দেখা মিলছে।
ধানের পাতায়, ঘাসের ডগায় জমতে শুরু করেছে শিশির বিন্দু। পায়ের স্পর্শে অনুভূত হচ্ছে হিমেল পরশ। সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।

সকালের রোদে মিষ্টি ভাব বার্তা দিয়ে যায়, প্রকৃতিতে শীত এলো বলে শরৎ শেষে হেমন্ত নামছে এরপরেই শীতকাল। কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এখন থেকেই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা উত্তরঅঞ্চলের জেলা গুলোতে এরইমধ্যে দেখা মিলছে ভোরের শিশির আর কুয়াশা।

তবে গ্রামাঞ্চলেও দিনভর আবহাওয়া অনেকটা গরমই থাকছে। দিনশেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে হালকা কুয়াশা।শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন এলাকার এক প্রবীন বলেন, হঠাৎ করেই আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ে গেছে। নামাজ শেষে হাঁটতে বের হই। প্রকৃতিতে নতুন কুয়াশা দেখে ভালোই লেগেছে। এই কুয়াশায় জানান দিচ্ছে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে।

গাইবান্ধা পুরাতন বাজারের বিভিন্ন পাইকারি সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, কুয়াশা বেশি হলেও খুব বেশি শীত পড়েনি। আর বেলা ১০ টার পর থেকে হালকা গরম লাগে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম