যেভাবে মাসুদ রানা থেকে আজকের শাকিব খান

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মাসুদ রানা, জন্ম ১৯৭৯ সালে ২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিলো সিনেমায় কাজ করবেন। বড় হয়ে এফডিসিতে টুকটাক আসাযাওয়া। পরিচয় হয় ডান্স ডিরেক্টর আজিজ রেজার সঙ্গে। তখন নায়ক-নায়িকাদের আশপাশে ডান্স করার সুযোগ হয় মাসুদ রানার। সেসময় পরিচয় হয় তার সহশিল্পী রাত্রির সাথে। রাত্রিও নায়িকাদের সাইডে ডান্স করতেন।

ঢাকায় মাসুদ রানার থাকার কোন স্থান ছিলোনা। রাত্রি তখন তার বাসায় মাসুদ রানার থাকার ব্যবস্থা করেন। বড় বড় পরিচালকদের সাথে মাসুদ রানাকে পরিচয় করিয়ে দেন। তখন থেকে শুরু রাত্রির সাথে মাসুদ রানার প্রেম। সেই প্রেম থেকে আসে রাত্রির গর্ভে সন্তান। ঐ সন্তানের নাম রাখা হয় রাহুল খান। (রাহুল খানের বয়স বর্তমানে ২০/২১ বছর) এরই মধ্যে চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসে মাসুদ রানার। পরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় নায়ক চরিত্রে অভিনয়ও করেন মাসুদ। এরপর পরিচিতি, সুনাম, খ্যাতি অর্জন করায় রাত্রি এবং রাহুল খানকে ছিটকে ফেলে দেয় মাসুদ রানা থেকে হয়ে যাওয়া শাকিব খান। রাত্রির বক্তব্যে জানা যায় তাদেরকে পরিচয় না দিলেও সন্তান রাহুল খান এবং রাত্রির খরচ দিতো শাকিব। কিন্তু অপু বিশ্বাসের সাথে জড়ানোর পর থেকে নাকি সে খরচ টুকুও দেয়া বন্ধ করে দেন খান সাহেব। শাকিবের প্রথম সন্তান রাহুল খান, দ্বিতীয় সন্তান আব্রাহাম খান জয়, তৃতীয় সন্তান শেহজাদ খান বীর। এই হলো আমাদের হিরোর জীবন।

বেশভুশ পাল্টিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা বিকৃতমনা ধর্ষকের!

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ-

বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ বন্দর কলোনীর ৮ নং রোডের পরিত্যক্ত একটি ভবনে ৭ বছরের শিশুকন্যা সুরমাকে ধর্ষনের পর হত্যা করেছিল ওসমান হারুণ মিন্টু নামক এই পাষন্ড। চাঞ্চল্যকর এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি মুহুর্তেই ফলোআপ হয়েছিল গণমাধ্যমের শিরোনামে।

এর আগে গত মাসের ১৭ তারিখ হালিশহরের কে ব্লক থেকে বিরিয়ানীর লোভ দেখিয়ে নিজের রিক্সায় উঠায় এবং বন্দরের ৮ নং গলির একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে মুখে গামছা পেচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর গলা টিপে হত্যা করে বিকৃতমনা এ ধর্ষক।  নগরীর হালিশহর থানার বুইল্লা পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো ৭ বছরের ওই শিশুটি। অভাবের তাড়নায় বাবা রিক্সা চালাতো এবং মা এ বাড়ি ও বাড়িতে ভিক্ষা করে সংসার চালাতো। নিহত সুরমার বাবা রিক্সাচালক কাউছার বিলাপ করে বলেন, আমার মাইডারে ওরা মাইরা ফেলাইলো, আমি যদি জানতাম, এমন ঘটনা ঘটবো তাহলে কি তার আর বাইরে যাইতে দিতাম। নিহত সুরমার মা জানান, দুপুরে সুরমারে রাইখা বাসার কাজে রাইর হইছিলাম। আমি কি আর জানতাম? এভাবে আমার মাইডারে সে মাইরা ফেলাইবো। আমি তার ফাসি চাই, আমি তার ফাসি চাই। ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্যের উদঘাটনে করতে গিয়ে পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল।

এ বিষয়ে সিএমপির বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা বলেন, প্রায় ২৪ দিন পরে আমরা এ হত্যাকান্ডের প্রধান এবং একমাত্র আসামীকে ধরতে সক্ষম হই। প্রায় ১০০টি সিসিটিভির ফুটেজ বের করে তদন্তের মাধ্যমে একটি প্যাডেল চালিত রিক্সার সন্ধান পাই অবশেষে প্রায় ৮০টি গ্যারেজ ঘুরে আমরা এ কালপিটকে গ্রেফতার করি। তার দুই বউ থাকা সত্ত্বেও অধিক নারীর প্রতি আসক্তি ছিল এবং সে নিয়মিত মাদকও সেবন করতো।

নিজের মেয়ের চাইতে বয়সে ছোট সুরমাকে হত্যার পর এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুড়ে বেড়াতো এ পাষন্ড। পেশায় রিক্সাচালক হলেও নিজের বেশবুশ, লুংগি গামছা ছেড়ে নিয়মিত পড়তো প্যান্ট শার্ট।  নিজেকে বাচাতে নেশার পার্টনার সাইফুলকেও ফাসাতে চেয়েছিল এই বিকৃতমনা ধর্ষক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি অবশেষে গতকাল রাত ৯টায় নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারি পাড়া এলাকা থেকে মিন্টুকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে বন্দর থানা পুলিশ। বিকৃতমনা এ ধর্ষকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম