মংলার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী টাইগার জলিল আতঙ্ক, গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মংলা সমুদ্র বন্দর এলাকার দুর্ধর্ষ জলদস্যু মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট টাইগার জলিলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার বিকেল চারটার “আমরা মংলা বাসী” নামের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

উক্ত সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন তারা। তাদের দাবিতে উল্লেখ করেন, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার থেকেও মংলা বন্দর এলাকার মানুষের নিকট সন্ত্রাসী টাইগার জলিল-ইকবাল সিন্ডিকেট বেশি ভয়ংকর ও আতঙ্কের এক নাম।
মংলা সমুদ্র বন্দর এলাকার মাদক ব্যবসার সম্রাট, জাহাজ থেকে চোরাইভাবে বিভিন্ন পণ্য অপসারণ করে শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া টাইগার জলিল বর্তমানে মংলা এলাকার জনসাধারণের জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সমুদ্র চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজ থেকে তেলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি, ছিনতাই, জনসাধারণের জমি দখল, টেন্ডারবাজি, পণ্যবাহী জাহাজ হতে তেল ও মালামাল লুট, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, সরকারি সম্পত্তি চুরি করা সহ সরকারি জাহাজ কেটে বিক্রির মত দুর্ধর্ষ অপরাধে এক সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন মংলা বন্দরে। টাইগার জলির সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের তার বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে মংলা এলাকার জনসাধারণের মাঝে টাইগার জলিল বাহিনী এক ভয়াবহ আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

টাইগার জলিল-ইকবালের অপরাধ সিন্ডিকেটের আয়ের মুল খাত পণ্যবাহী জাহাজের তেল সহ অন্যান্য মালামাল ছিনতাই, চুরি ও মংলা এলাকায় মাদক ব্যবসা, এই দুইটি বিষয়ে দেখভাল করেন স্থানীয় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল, এছাড়াও এই সিন্ডিকেটের সহযোগী হিসেবে রয়েছে উপজেলার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির সহ স্থানীয় প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন।

মংলা বন্দরের মূর্তিমান আতঙ্ক টাইগার জলিল-ইকবালবাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে মংলা বাগেরহাট ও খুলনার বিভিন্ন থানায় অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি মমামলা ছাড়াও রেপিডাকশন ব্যাটালিয়ন রেবের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মংলার কোস্ট গার্ডের কাছে সমুদ্র অঞ্চলে টাইগার জলিল ও ইকবাল সিন্ডিকেট দস্যু হিসেবে পরিচিত।
মানববন্ধনে সাংবাদিকদের তারা আরো জানান এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় বাংলার সাধারণ জনগণ হতাশ।
তাই প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ দেশের সকল প্রশাসনের নিকট তাদের দাবি জলিল ও তার সহযোগী বাহিনীকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার।

ভেজাল কোম্পানীর ভেজাল বাণিজ্যে স্বাস্থ্যসেবায় হুমকি 

মোহাম্মদ মাসুদ:
সাভারের হেমায়েতপুরের রয়েল ল্যাবরেটরিজ আয়ু। প্রতিষ্ঠানটির আমলকি-প্লাস, এ্যাপেল-প্লাস ও পুদিনা-প্লাস বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। তাছাড়া মোটাতাজাকরণ ক্ষতিকারক উপাদানে তৈরি রয়েল-গোল্ড, ফেরাপ্লেক্স, ইরেকটন, কার্ডিওলেক্স, টাসফিট, হাইরেক্স, ডাইজাভিট, রয়েলভিট, রুচিরাজ, কারমোজিন, লিভারেক্স, মিকোভাস, গ্যাসরিলিফ, সিভিটন, ওরেঞ্জ-ই, সেপোভাক্স ও বেবিসিড স্বাস্থ্যসেবায় চরম হুমকি হলেও সাভারের ড্রাগ সুপারের নজরদারি শুন্যের কোটায়। ফলে হার্টব্লক, মেদভুড়ি ও ডায়াবেটিস নিরাময়ের শ্লোগান দিয়ে বিক্রি করছে ডিউরেটন নামের সিরাপ। বিগত দিনে আমলকি-প্লাস তৈরি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ হওয়ার পরই ডিউরেটন সিরাপ বিক্রি শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি আমলকি-প্লাস বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় ড্রাগ প্রশাসন কর্তৃক পরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে আমলকি-প্লাস সিরাপে আমলকি নেই। শুধুমাত্র ক্ষতিকারক কেমিক্যাল আর ফ্লেভার দিয়ে তৈরি। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় শিরোনাম হওয়ার পরই ড্রাগ প্রশাসন ১৯/১১/২০১৫ইং তারিখ ভেজাল সিরাপটির উৎপাদন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করে। প্রাপ্ত ইনভয়েসের তথ্য মতে, ড্রাগ নীতিমালা পরিপন্থী সেই নিষিদ্ধ হওয়া আমলকি-প্লাস এখন মিটফোর্ড, সাভারের তমা ফার্মেসী, গাজীপুর, টাংগাইলের মধুপুর ফার্মেসী ও নোয়াখালীসহ সারাদেশে বিক্রি করছে। বিতর্কিত কোম্পানীর মালিক নিজেকে সাংবাদিক ও আওয়ামী কর্মী পরিচয়ে ড্রাগ প্রশাসনকে জিম্মি করে জেলা ড্রাগ সুপারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অবাধে আমলকি-প্লাস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত কারমোজিন নিয়ে দেশ ল্যাবঃ আয়ু এবং রুচিরাজ নিয়ে দিলেটের ইস্টার্ন ল্যাবঃ ইউনানীর সাথে দ্বন্ধ হয়। বর্তমানে আমলকি-প্লাস নিয়ে গোপালগঞ্জের একটিভ ল্যাবঃ ইউনানীর সাথে দ্বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটির অনুকুলে আমলকি-প্লাস অনুমোদিত প্রডাক্ট। তথ্য মতে, সুচতুর ব্যবসায়ী তার গাড়িতে সাংবাদিক স্টিকার লাগিয়ে দাপটের সাথে ড্রাগ প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে সব ক্ষেত্রেই পাড় পেয়ে যাচ্ছে। সেহেতু মানুষের জীবন নিয়ে কারসাজী ও প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির আমলকি-প্লাস ও ডিউরেটন পরিক্ষা করলেই নীরব ঘাতক বাণিজ্যের মুখোশ উন্মোচিত হবে।
এদিকে সাভারের একরাম ল্যাবঃ আয়ুর বিরুদ্ধে অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করে প্রডাক্ট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এক সময় আমলকি-প্লাস নিয়ে বিতর্কিত হলেও এখন এমিটন-প্লাস নিয়ে বিতর্ক চলছে। রাস্তাঘাটের ফুটপাতে হকার সমিতির নেতৃত্বে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গরু মোটাতাজাকরণ উপাদানে তৈরি এমিটন-প্লাস।কোম্পানীর মালিক নিজ নামের আইডি দিয়ে অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করে বিক্রি করছে একরোফেন, একরোপ্লেক্স, হেলফিট, একরোভিট, কামিনী গোল্ড, একরোভাস, সাসটাজিম, এলভাসিম, ভেজিনেক্স, এমোনিড, এ-পাইলস, গনোনিল, লিকোফেন, মিমোটন, ডাইয়াবি কেয়ার, আরটি-ট্যাব, স্লিম-এ, রিউমিন, এরিটনা, ভিগো-৩০, এ্যামি-২০, এমআর-২৮, এ- কার্ড, এ-ডাইজেষ্ট, পেডিকেয়ার, স্কীনিটোন ও সুপ্রাডাইন নামের ঔষধ। তিনি শিল্প সমিতির প্রভাবশালী নেতার পরিচয়ে ড্রাগ প্রশাসনে ক্ষমতা প্রদর্শন করে নিজ স্বার্থ উদ্ধারে বরাবরই তৎপর । অথচ তার কোম্পানীর বিরুদ্ধে অনুমোদনহীন ভেজাল প্রডাক্ট বিক্রির অভিযোগ উঠলেই সংশ্লিষ্ট থানায় নকল হওয়ার অভিযোগ করে রক্ষা পাবার সিস্টেমে একজন অন্যতম কৌশলী। জনস্বার্থে কোম্পানীর শুধুমাত্র এমিটন-প্লাস পরিক্ষা করলেই নীরব ঘাতক বাণিজ্য বন্ধ হবে। বিপরীতে সাধারণ মানুষ লিভার ও কিডনি ড্যামেজের কবল থেকে রক্ষা পাবে।
উল্লেখ্য, বরিশালের জি.এস ল্যাবরেটরিজ আয়ুর নবায়ন এবং মালিকানা পরিবর্তন ছাড়াই লেবেল কার্টন পরিবর্তন করে প্রডাক্ট বিক্রির প্রকাশিত অভিযোগ ধামাচাপা দিতে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান দৌড়ঝাঁপ শুরু করে ড্রাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। যদি অর্থের বিনিময়ে অভিযোগ থেকে পাড় পেয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে সর্ষে ক্ষেতে ভূতের রামরাজত্ব। আর প্রশাসনের ছত্রছায়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল-ভেজাল ঔষধ ব্যবসায় উৎসাহী হচ্ছে। এদিকে মুন্সিগঞ্জের এমপেক্স ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নব্য মালিক মিটফোর্ডের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ফয়সাল ও তার পার্টনার দ্বীন আমিন ড্রাগ প্রশাসনের ফাইলিং কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অনলাইনে সাসটোক্যাপ বিক্রির অভিযোগ থেকে রক্ষা পাবার কৌশল নিয়েছে। প্রশ্ন হলো অনলাইনে সাসটোক্যাপ বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রচারের প্রাপ্ত স্কীন শর্ট তারা কিভাবে অস্বীকার করবে? এদের মতোই মানুষের সাথে প্রতারণা করে রাতারাতি কোটিপতি হচ্ছে ঢাকার এপসিস ইউনানী ল্যাবঃ, আশুলিয়ার চিত্রা ল্যাবঃ ইউনানী, সাভারের ফেমাস ল্যাবঃ ইউনানী, ঢাকা অর্গানিক ল্যাবঃ ইউনানী ও প্যাট্রন ল্যাবঃ ইউনানী, গাজীপুরের শান ল্যাবঃ আয়ু ও জেবিএল ল্যাবঃ ইউনানী, কেরানীগঞ্জের এডরন ফার্মাঃ ইউনানী, নারায়ণগঞ্জের রেনিক্স ল্যাবঃ ইউনানী ও সেফটি হেলথ ল্যাবঃ ইউনানী, বগুড়ার প্রিভেন্টিজ ল্যাবঃ ইউনানী, পাবনার সাফিয়া ল্যাবঃ ইউনানী, এ্যাপেক্স ল্যাবঃ ইউনানী ও ইউনিফিল ল্যাবঃ ইউনানী, নাটোরের গোপালপুরের আল-রাজী ল্যাবঃ ইউনানী, রাজশাহীর এস.এমজি ল্যাবঃ ইউনানী, রংপুরের এস.আর ল্যাবঃ আয়ু ও ইকো ল্যাবঃ ইউনানী, সিলেটের মাইসান ল্যাবঃ ইউনানী, যশোরের বায়োলাইফ ল্যাবঃ ইউনানী, নোয়াখালীর এমসিআই ল্যাবঃ ইউনানী। মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় বিষফোড়া ঔষধ কোম্পানীর বিরুদ্ধে ড্রাগ প্রশাসনের ব্যবস্থা উচিৎ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের