বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা বহাল তবিয়তে ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

সৈরাচার হাসিনা চলে গেলেও তার দোসর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জোন-৭/১ এর ইমারত পরিদর্শক বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা জয়নাল আবেদিন এর বিরুদ্ধে ষুঘ বাণিজ্য ও অনিয়ম দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় রাজউকের জোন-৭/১ এর আওতাধীন ওয়ারী ও কদমতলি থানার বেশ কয়েকটি মৌজার দায়িত্বরত, এই ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন ওয়ারী যোগী নগর,মনির হোসেন লেন, বেগমগঞ্জ, স্বামিবাগ, বিসিসি রোড, টিপু সুলতান রোড, নারিন্দা, ধোলাইখাল-সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নির্মাণাধীন ভবনে মালিক’এর সঙ্গে যোগ সাজসে চলে তার এই ঘুষ বাণিজ্য, তথ্যসূত্রে জানা যায়, ভবন মালিক এর কাছে প্রথম পর্যায়ে নোটিশ পাঠিয়ে রাজউকে ডেকে পাঠান এই ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন। তিনি ভবন মালিকদের তাদের ভবন সম্পর্কিত নানা অনিয়ম তুলে ধরেন, যেমন বিধিমালার নিয়মানুযায়ী হচ্ছে না ভবনের ডেভিয়েশন, আউটডোর, ইনডোর স্ট্রাকচার, আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক ভবন তৈরী করার মত বিভিন্ন নিয়ম ভঙ্গের ইত্যাদি অভিযোগ আনেন। এসময় বিভিন্ন ভয়ভীতি উপস্থাপন করে ভবন মালিক থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। শুধু তাই নয় যে সকল ভবনে উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয় সেই সকল উচ্ছেদকৃত নির্মাণাধীন ভবনগুলো থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে এই জয়নাল আবেদিন ভবন মালিক’কে পরামর্শ দিয়ে থাকেন কোর্ট থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে রাখতে যাতে করে রাজউক পরবর্তীতে সময় কোনো প্রকার নোটিশ বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা না করতে পারে।

এছাড়া অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণ করতে সহয়তা ও পরামর্শক হিসেবে আইনের ফাঁক ফোকর বুঝিয়ে দিয়ে ভবন মালিকদের আয়ত্ব করেন এই ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন। সম্প্রতি ৭৭/১ যোগীনগর ওয়ারী এলাকার জনৈক্য ভবন মালিক এনামুল ও সাদী রাজউক থেকে ৮ তলা অনুমোদন নিয়ে সেখানে গড়ে তুলেছেন সাড়ে এগারো তলা ভবন, ভবনটি যখন ৪তলা পর্যন্ত নির্মিত হয় তখন উল্লেখিত ভবনটিতে ২০/০২/২০২৩ইং তারিখে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাজউকের প্রশাসন পরিচালক, অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট মমিন উদ্দিন’এর নেতৃত্বে এদিন সাথে ছিলেন, রাজউক’এর ইমারত পরিদর্শক নাঈমুল ইসলাম ও রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসময় ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে নিজ দায়িত্বে এক মাসের মধ্যে ব্যক্তকৃত অংশ ভেঙে ফেলার মুচলেকা নেয়া হয়। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি ভবন মালিকে’র। বরং নিজ ইচ্ছে মতো নির্মাণা কাজ চালিয়ে যায় ভবন মালিক, এর মধ্যে নতুন ইমারত পরিদর্শক আসেন সোহাগ আহামেদ, তার সাথে ভবন মালিকের পরিচয় করিয়ে দেন ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন, কিছু দিনের মধ্যে তারও বদলি হয়ে যায়, এই ভবনের সমস্ত দায়িত্ব ছিলো শুরু থেকে ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন এবং তার সহকারী সাইফুল ইসলামের, তবে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে এর অনুমোদনে সহয়তা করেছিলেন ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন, জানা যায় যে উল্লেখিত ভবন মালিক থেকে জয়নাল আবেদিন তার সহকারী সাইফুল ইসলাম এর সহায়তায় বেশ ভালো অংকের লেনদেন করেন। এই ভবনের পাশের প্রতিবেশিরা, বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেও, পায়নি রাজউক’এর কোন সহায়তা, সরেজমিন অনুসন্ধানে এই প্রতিবেদক গেলে, পাশের বাড়ির অভিযোগকারী বাসিন্দারা বলেন, রাজউক ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদিনের কাছে গেলে, বারবার বলে, চিঠি ইস্যু করা হয়েছে, মোবাইল কোড দেওয়া হবে, কিন্তু আদৌ দেওয়া হয়নি, নিয়মের বাইরে, ভবন নির্মান করতে ওই সময় কোন বাধা দেয়নি রাজউক, তৎকালীন আওয়ামী লীগের সরকারের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন ওই মালিকগণ, জয়নাল আবেদিনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন তারা, তাই পাশের লোকজনের অভিযোগ কোন ধরনের আমলে নেওয়া হয়নি।

এদিকে এমন আরো তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া যায় ওয়ারীর মনির হোসেন লেন এ চার ফিট রাস্তায় মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে ১০ তলা থেকে ৮ তলা ভবন, যার কৃষ্ণচূড়া ডেভেলপার কোম্পানির মালিক নাম জামাল, তার অফিস ১৫/এ মনির হোসেন লেন, এই ডেভলপার কোম্পানির বিজনেস করার নেই কনো লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের, তারা রিহাবের সদস্যও না, না আছে তাদের ডেভলপার বিজনেস করার জন্য রাজুকের লাইসেন্স ও যথাযথ অনুমোদন, তাহলে কোন ভিত্তিতে একটার পর একটা অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণ করছে এবং এই বিজনেস চালিয়ে যাচ্ছেন, একের পর এক ভবন তৈরি করে যাচ্ছেন পুরান ঢাকার নারিন্দা ওয়ারী মনির হোসেন লেন ও পারিপার্শিক আরো অনেক অলিগলিতে, জানা যায় রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহয়তায় গড়ে তুলছেন কৃষ্ণচূড়া ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি নামের বেশ ক’টি ভবন, যা সম্পূর্ণ নকশা বহির্ভূত ও অনুমোদনহীন। এদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩১/এ স্বামীবাগ, করাতীটোলা, এলাকায় লক্ষ্মী বিল্ডার্স লিমিটেড’এর একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, যা রাজউক নকশা বহির্ভূত, তাদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায় সরেজমিনে ইন্সপেক্টর আসেন না, এর অনিয়মগুলো দেখেন না, এসময় দায়িত্বরত একজন বলেন, ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদিনের সাথে, অফিসের কথা হয়, ফলে ইন্সপেক্টর’কে আসতে হয় না আমাদের সাইটে।

এমন আরো একটি কোম্পানি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ৩৩, স্বামীবাগ লেন’এ ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজি এন্ড আইডিএস লিমিটেড’এর একটি ভবন এর ৬ফিট রাস্তায়, আটতলা ভবন যা নির্মানাধীন রয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে, জিজ্ঞাসাবাদ করলে, ভবনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং ম্যানেজার জানান, ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন আর আসেন না আমরাই রাজউকে যেয়ে তার সাথে কথাবার্তা বলে আসি কারণ আমাদের সবকিছু ঠিক আছে, তাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে তারা আমাদের বলেন রাজুকে আমাদের লোক আছে এবং ইন্সপেক্টর এর সাথেও আমাদের কথাবার্তা হয়, বিল্ডিং এর শত অনিয়ম থাকার পরেও, ইন্সপেক্টর তাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলেন।

এমন আরো কয়েকটা ভবনের তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে চলে আসে নতুন নতুন কিছু তথ্য, এ সকল ভবন মালিকদের উপদেশ দিয়ে আসেন জয়নাল আবেদিন, তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনারা রিট করে রাখেন কোর্ট থেকে আমার সাথে সম্পর্ক থাকবে যাতে রাজউক আপনাদের কোন কিছু করতে না পারে। একই ধরনের উপদেশ দিয়ে থাকেন তার পরিচিত কিছু কিছু ভবন মালিকদের এবং ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন। জয়নাল আবেদিনের এত কিছুর পেছনে তাকে সকল সহযোগিতা, করেন তার ডিপার্টমেন্ট জোন ৭/১ সরকারি অথরাইজার অফিসার আব্দুর রাজ্জাক তোহা, এই সকল ঘুষ বাণিজ্যের এর সহকারি এবং মূল নায়ক তিনিই, এই আব্দুর রাজ্জাক তোহা মোবাইল কোটে গেলেও চলে তার নানান ধরনের ঘুষ বাণিজ্য। আগে থেকেই লেনদেন করে রাখেন অনেক ভবনের মালিকদের সাথে, যে ভবন থেকে তাদের ঘুষ দেওয়া হয় সেই ভবনের তাদের আর মোবাইল কোট হয়না, এই বিষয়ে সাংবাদিক গেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদিন জানান, এই সমস্ত ভবনে নোটিশ করা আছে। আমরা উচ্ছেদ অভিযান দিবো, তার কাছে থানার নোটিশের কপি দেখতে চাইলে, সেই বিষয়কে অবহেলা করে অন্য স্থান ত্যাগ করেন, তাকে একটা প্রশ্ন করলে সে অন্যটা উত্তর দেয় তার তাল-বাহানা চলতেই থাকে, কিন্তু আদৌ কি এই নকশা বহির্ভূত ভবনগুলোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন, এমন সকল প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। প্লান পাস ছাড়াই তাদের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের, সহযোগিতা নিয়েই চলছে এমন ডেভলপারের বিজনেস, এতে লাভবান হচ্ছে অসাধু অফিসাররা, এতে লাভবান হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়িরা, কিন্তু ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ, কখনো ভূমিকম্প কখনো অগ্নিকাণ্ড কখনো বাড়িতে ফাটল বা নড়ে যাওয়া, এসবের কোনরকমই দায়িত্ব তারা নিচ্ছেন না, মানুষকে তারা বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, আবাসিক ভবনগুলো কমার্শিয়াল করে বিপদমুখী করে তুলছেন মানুষদের, কখনো নিমতলির মত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডর কখনো বেলি রোডের মতো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের, কখনো রানা প্লাজারের মতো ধ্বসে যাওয়ার ভবনের ঘটনা তারা আমলে আনছেন না। এসব বিষয়ে ভবন মালিকদের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমরা রাজউক’কে অফিসিয়ালি ম্যানেজ করে ও অবগত করে নির্মানাধীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিগত ২৬/১২/২০২৪ ইং তারিখে ৭৬ বিসিসি রোড এ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় এবং ভবন মালিকের ব্যক্তকৃত অংশ ভেঙে ফেলে অপসারণ করা হয় এবং নিজ দায়িত্বে বাকি অংশ ভেঙে ফেলে এক মাসের মুচলেকা নেয়া হয় কিন্তু ভবন মালিক ক্ষমতার জোরে নিজের খেয়ালখুশি মত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কাউকে তোয়াক্কা না করেই, রাজউকের ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদিনকে জানালে তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি অথচ সেই ভবনটি পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিয়মবহির্ভূত প্ল্যান ছাড়াই, কে পি আই এরিয়া হয়েও গড়ে তুলছেন, এর কোন প্ল্যান নেই কোন ছাড়পত্র নেই কোন বিশেষ কমিটি থেকে অনুমোদন, কিন্তু গড়ে তুলছেন ভবনটি, রাজউকের সহকারি অফিসার জোন ৭/১ আব্দুর রাজ্জাক তোহা, এবং ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদিনের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে গড়ে তুলছেন সেই ভবনটি, ঘুষ বাণিজ্য রাজউকে এখন একটা নিয়ম হয়ে গেছে, কিছু কিছু অফিসারদের দুদকের মামলাও রয়েছে, তাও তারা তাদের ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিেক তার নামে নিউজ প্রকাশিত হলে সাংবািদককে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন।

নারায়নপুর ইউপি সার ডিলার মেসার্স ইসলাম এন্ড ব্রাদার্সের ডিলারশীপ বাতিলের দাবী চাষীদের

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

ডিলারের কাছ থেকে সার কেনার নিয়ম থাকালেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। অনিয়ম করে তৃতীয় পক্ষের নিকট সার বিক্রি করছেন ডিলার।

খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কিনতে গিয়ে কৃষককে বস্তাপ্রতি ২০০ ২৫০ টাকা বা তারও বেশি গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

নির্ধারিত ইউনিয়নে নিজস্ব গুদামে রেখে সার বিক্রি করার কথা ডিলারদের। কিন্তু চাপাইনবাবগঞ্জ সদরের ছয়টি ইউনিয়নের ডিলাররা সার মজুত করছেন পৌর শহরেই। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সে সার বিক্রি করা হয় গ্রামের সাধারণ কৃষক চাষীদের কাছে।

প্রায় এক যুগ ধরে এমন অবস্থা চলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায় সার কিনতে হচ্ছে। কৃষকদের। খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কিনতে গিয়ে কৃষককে বস্তাপ্রতি প্রায় ২০০-২৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বিষয়টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানলেও এখনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রথম আলো পত্রিকায় প্রায় বছর খানেক পূর্বে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করা হয়। খবরের সূত্র ধরে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে কিছুদিন পূর্বে পদ্মার এপারে একটি ওয়ার্ড থাকায়, সেখানে নাম মাত্র একটি সার মজুদাগার করেন ডিলার তাতেও সুফল মিলছেনা চাষীদের।

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণসংক্রান্ত ২০০৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, ইউনিয়নের জন্য নির্ধারিত সার ডিলার ওই ইউনিয়নে নিজস্ব গুদাম তৈরি করে সেখানে সার মজুত করবেন এবং সরকারনির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করবেন বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলাররা সার বিক্রি করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় কিংবা ২য় পক্ষের কাছে। ফলে এ এলাকায় ডিলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জেলা অভিযোগ তুলেছেন পৌর এলাকার জন্য নির্ধারিত ডিলার কামরুল আরেফিন। গত ১৫ এপ্রিল ২০২১খ্রি. বিষয়টি নিয়ে তিনি সদর উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তাতেও কোনও সমাধান মিলছেনা।

অভিযুক্ত ডিলার নারায়ণপুরের ইসলাম অ্যান্ড ব্রাদার্স অভিযুক্ত ডিলারকে ২১ এপ্রিল ২০২১খ্রি. সতর্ক করা হয় এবং কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সাত দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কানিজ তাসনোভা এ বিষয়ে বলেন, কেউ সন্তোষজনক জবাব দেননি এখনওঅবদি। ভাড়া করা ছোট গুদামে কেউ কেউ সার নিয়ে গেলেও তা আংশিক বলে প্রমান মিলেছে।

তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের পর বছর পেরিয়ে যুগ পূর্তী হয়ে গেলেও, এখনওঅবদি অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অজানা কোনও এক কারনে।

গ্রামীণ পর্যায়ে ও পদ্মা ওপার জনগোষ্ঠীর নিকট সারের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউনিয়নের কৃষক সেরাজুল ইসলাম (৫৫) প্রথম আলোকে বলেন, ইউরিয়া সরকারনির্ধারিত দাম প্রতি বস্তা ৮০০ টাকা। কিন্তু তাঁকে ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায় সার কিনতে হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে সার কিনতে না পারায় তাঁর চার হাজার টাকার বেশি অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। সরেজমিনে এ বিষয়ে জানতে পদ্মার ওপার নারায়ণপুর ইউপি, এলাকা পরিদর্শনে গেলে একাধিক কৃষক নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সারের দাম বেশি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়াও নারায়ণপুর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ একাধিক জনগোষ্ঠী ৫০০শতাধিক বা তারও অধিক জনগণ ইতোমধ্যে সার ডিলারের ডিলারশীপ বাতিলের দাবীতে সাক্ষর প্রদান করেন, সাক্ষরিত সংযুক্ত দুর্নিতীর প্রমান সংম্বলিত প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রমাণাদি এবং অভিযোগ লিখিত আকারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। একযূগেরও বেশি সময়কাল যাবৎ সারের মূল্য বার্তি আদায়ের ভর্তুকি ক্ষতিপূরণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানায় কৃষকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর, অভিযোগপত্র প্রদানের মাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে এখনও ফলপ্রসূ কোনও ব্যাবস্থা গ্রহণের আলামত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ডিলার মেসার্স ইসলাম অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম   বছর বলেন, পদ্মা নদীর ওপারে সার নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এপারে (একটি ওয়ার্ড আছে) নারায়ণপুর ইউপির জনতার হাটে তাদের ভাড়া করা গুদাম আছে। কৃষকেরা এ পাড়ে এসে সার নিয়ে যেতে পারেন। এ বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে পাওয়া যায় নি সার ডিলার কর্তৃপক্ষ তরিকুল ইসলাম কে। কিন্তু কৃষকরা জানায় এপারে একটি ওয়ার্ড রয়েছে বটে তবে এ ওয়ার্ডে তেমন কোনও আবাদি জমি নেই, বিধায় এপার থেকে সার সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ায়ও কৃষককে গুনতে হয় ঘাঁটসহ রাস্তা খরচ ১৫০-২০০টাকা প্রতি বস্তা, তাই কৃষকদের দাবী পদ্মার ওপারে অধিকাংশ ওয়ার্ড এবং আবাদি জমির ফসল উৎপাদনে, যে ডিলার ওপারে সার মজুদ করতে আগ্রহী তাকে সারের ডিলারশীপ প্রদান করলে কৃষক সমাজের সকলে উপকৃত হবেন। এছারাও ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স এর মানি রশীদেও কারশাজি করার অভিযোগ রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলামও বলেন, অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে ২০০৯ সাল থেকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুঠো ফোনে ২৪এপ্রিল ২০২২খ্রি. এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন সাংবাদিকদের।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের