ঘরে থাকা এই মসলা দূর করবে যত রোগ

ঘরে থাকা এই মসলা দূর করবে যত রোগ

ডেস্ক রিপোর্ট:
কম বেশি সবার ঘরেই থাকে ছোট্ট মসলা এলাচ। ঔষধীগুণে ভরা এই মসলা আবার অনেকেই মুখশুদ্ধি হিসাবেও খান। অনেকেই আছেন এলাচ পছন্দ করেন, অনেকে আবার করেন না। তবে খালি পেটে একটি করে এলাচ শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধানের জন্য রান্না ছাড়াও নিয়মিত একটি করে এলাচ খাবেন অন্তত দশটি কারণে-
১. এলাচ পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করে। বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
২. দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো জল খেলে বলিরেখা কমে ত্বক টানটান হয়।
৩. মধু, লেবুর রস ও গরম জলের সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। যারা হুপিংকাশি ও ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এলাচ খুবই উপকারী।
৪. এলাচ হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
৫. মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চিবাতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়াও মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়াসহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৭. গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
৮. অনেক সময় ভারী কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এ ক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম জলে ফুটিয়ে খেলে তত্‍ক্ষণাত্‍ উপশম হয়।
৯. গরম জলে চা পাতা, এলাচ গুঁড়া ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করে নিন এলাচ চা। মাথা ব্যথা করলে এক কাপ গরম এলাচ চা খেয়ে দেখুন। ব্যথা নিমেষেই দূর হবে। এ ছাড়াও এলাচ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
১০. এলাচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। সর্দি-কাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলে সুফল পাবেন।
বর্ষায় মাথায় একটু পানি পড়লেই জ্বর-সর্দি, সঙ্গে মাথা ব্যথা লেগে যায়। আর সুস্থ হতেও অনেক সময় লাগে। ওষুধ খেলেও অনেক সময় কমতে চায় না। তবে রান্নাঘরে থাকা মসলাই আপনার মাথা ব্যথা দূর করতে পারে।

কোন মসলা কিভাবে উপকার করবে, জেনে নিন—
রান্নাঘরের একটি মসলা হচ্ছে লবঙ্গ। খুবই ঝাঁজালো, ঘ্রাণময় ও উপাদেয় এই মসলাটি লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। এটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার গাছ। ইন্দোনেশিয়ায় এ মসলাটি বেশি ব্যবহার করা হয়।তবে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এ ঝাঁজালো মসলাটির বেশ প্রচলন রয়েছে। কারণ এর রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ।
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি হয় না। লবঙ্গের রস শরীরের ভেতরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে।
রুচির পরিবর্তন ও ক্ষুধা বাড়াতে লবঙ্গ বেশ উপকারী। এর গুঁড়া মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
গর্ভবতী নারীদের বমি বমি ভাব দূর করতে একটি লবঙ্গ খেয়ে নিতে পারেন। শুধু লবঙ্গ খেতে ভালো না লাগলে অল্প পরিমাণ গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া বমি বমি ভাব দূর করতেও গুঁড়া লবঙ্গের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
প্রচণ্ড মাথা ব্যথা কমাতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল একটি পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে কপালের ওপরে রাখুন। ১৫ মিনিটেই সেরে যাবে মাথা ব্যথা।
দাঁত ব্যথা কমাতে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী। লবঙ্গ মুখের ভেতরের সকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই টুথপেস্টেও লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন
পেটের বায়ু চেপে রাখলে হতে পারে যে বিপদ
পেটের বায়ু চেপে রাখলে হতে পারে যে বিপদ

ব্রণের সমস্যা দূর করতে লবঙ্গের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। এর ফলে ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।
লবঙ্গের তেল নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে। লবঙ্গ তেলে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া নামক জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা। লবঙ্গ চা সর্দি-কাশি ও গলার খুশ খুশে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। তাই সর্দি-কাশি কমাতে চায়ের সঙ্গে দুইটি লবঙ্গ খেয়ে নিতে পারেন।
পেট ব্যথা ও কৃমি জাতীয় রোগ প্রতিরোধে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী।

প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি ভালো না মন্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥

‘সুপারফুড’ শব্দটা আধুনিক ডায়েটে পরিচিত শব্দ। সুপারফুডের মধ্যে ডিম অন্যতম। ডিমে উচ্চ মানসম্পন্ন আমিষের সঙ্গে বিভিন্ন রকম ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আবার এই ডিমই কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, রোজ কি ডিম খাওয়া যাবে? আসুন জেনে নিই, প্রতিদিন ডিম খাওয়া ভালো, নাকি মন্দ।

ডা. আফলাতুন আকতার জাহান

সুপারফুডের মধ্যে ডিম অন্যতম।

ডিমের পুষ্টি উপাদান: একটি বড় আকারের ডিমে প্রায় ৭৮ ক্যালরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৫ গ্রাম চর্বি থাকে। ভিটামিন এ থাকে ৮ শতাংশ, ৬ শতাংশ ফোলেট, ১৫ শতাংশ বি৫ বা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ২৩ শতাংশ বি১২, ২০ শতাংশ বি২। এ ছাড়া পাবেন ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, ই, বি৬, ক্যালসিয়াম ও জিংক। এখন তো ডিমে ওমেগা-৩-ও যুক্ত করা থাকে।

কেন প্রতিদিন খাবেন: ডিমের কুসুমে লুটেইন ও কেরোটিনয়েড থাকায় বয়স্কদের ক্ষেত্রে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী।

ডিমের ফোলেট, বি৬, বি১২ রক্তশূন্যতা হতে দেয় না। ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ও বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী।

ডিমের ভিটামিন ডি হাড় ও পেশি মজবুত করে।

অনেকের প্রশ্ন থাকে, ডিমে কোলেস্টেরল থাকে, তাই ডিম খাওয়া যাবে কি না? ডিমের কুসুমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যার মধ্যে বেশির ভাগ এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল। প্রতিদিন আমাদের এর চেয়ে বেশি কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন একটি বা দুটি ডিমের কুসুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়; বরং উপকারী।

ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন ও শরীরের জন্য অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি তৈরি, ওজন ও রক্তাচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয়। প্রতিদিনের প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিম সবচেয়ে সহজলভ্য ও তুলনামূলক সস্তা।

কখন খাওয়া নিষেধ: তবে এত কথার মধ্যে কিছু মন্দ কথাও আছে। এই ডিমে যদি আমরা প্রাণিজ চর্বি যোগ করি (যেমন মাখন ও ঘি), তাহলে এর ক্যালরি অনেক বেড়ে যায় ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে পড়ে। এ কারণে সবচেয়ে ভালো হলো সেদ্ধ এবং অলিভ অয়েল বা উদ্ভিজ্জ তেলে রান্না করা ডিম।

কিডনি রোগীদের প্রোটিন একটু হিসাব করে খেতে হয়। তাই কিডনি রোগীরা দিনে একটির বেশি ডিম খেতে পারবেন না।

অনেকের ডিমে অ্যালার্জি থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিমটা বাদ দিতে হবে।

কাজেই ডিমের মন্দ দিকের চেয়ে ভালো দিকই বেশি, তাই প্রতিদিন নাশতায় একটা ডিম অবশ্যই থাকা উচিত।

সবা:স:সু-২১/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা