পিরোজপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

পিরোজপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

পিরোজপুর সংবাদদাতা:

পিরোজপুরের নেছারাবাদে পরকীয়া প্রেমিকের পাঠানো আপত্তিকর ভিডিও স্বামীর মোবাইলে পৌঁছানোর পর মোসা. আইমিন (২৮) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আক্তারুননাহার কন্যা এবং রাজু মাঝির স্ত্রী।

জানা যায়, নিহত আইমিনের প্রতিবেশী এক ছেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই প্রেমিক তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি আপত্তিকর ভিডিও আইমিনের স্বামীর মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডের ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। নিহতর স্বামী ১০ হাজার টাকা জোগাড় করে তাকে দেয়। এতে পারিবারিক অশান্তি ও মানসিক চাপে পড়ে আইমিন। এ ঘটনার রেশ ধরে গলায় দড়ি দিতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নিহতর মা আক্তারুননাহার জানান আমার মেয়ে এবং মেয়ে জামাই দুজনেই ঢাকা থাকতেন। কিছুদিন আগে মোবাইলে ধারণকৃত একটি ভিডিও নিয়ে দুজনার সাথে ঝগড়া বাধে। এ বিষয় নিয়ে কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে বাড়িতে চলে আসে। মেয়ে জামাই গত রাতে বাড়িতে আসলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। সেই ঝগড়ার রেশ ধরেই হয়তোবা আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিতে পারে অথবা কেউ মেরে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। আমি আমার মেয়ের সঠিক তদন্ত করে আইনের কাছে বিচার চাই।

ইউপি সদস্য মো. বাবুল হোসেন বলেন, নিহতর স্বামী রাজু মাঝির সাথে কিছুদিন আগে ওই মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। তারা উভয়ে পুনরায় তারা বিবাহ করেছে। শুনেছি নিহত আইমিনের সাথে তার চাচাতো ভাইয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকতো। কি কারনে মারা গেছে আমি বুঝে উঠতে পারছি না। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে নেছারাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে আগামীদিন (৩ আগস্ট) সকালে পাঠানো হবে।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

ওয়াসার পিপিআই প্রকল্প লুটপাটের মুলহোতা হাসিবুল হাসান নির্দোষ দাবি করেছেন!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সমবায় অধিদপ্তর ২৪/৮/২০২৩ তারিখে ৪৯(১)(ঙ) ধারায় তদন্ত করে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর অর্থ লুটপাটে জড়িত ঢাকা ওয়াসার বর্তমানে ভান্ডার বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী হাসিবুল হাসান সহ ৪৬ জন কে অভিযুক্ত করে আত্মসাতকৃত অর্থ আদায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: পরিচালিত পিপিআই প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকারি ও সর্বোচ্চ সুবিধাভোগি হাসিবুল হাসানের বিরুদ্ধে ১১৪,৪৬৪,৩০৩.০৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ধারা নির্ধারন করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
এদিকে দায়ধারা থেকে রক্ষা পাবার অসদুদ্দেশ্যে ৪৬ জন অভিযুক্তদের মধ্যে হাসিবুল হাসান সহ ৩৯ জন ২৭/১২/২০২৩ তারিখে জেলা সমবায় কর্মকর্তা বরাবর এক আবেদনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে;তদন্ত প্রতিবেদন বাতিলের বেআইনী দাবি তুলেছেন। তাদের উক্ত আবেদন ঢাকা ওয়াসায় হাস্যরস্যের সৃষ্টি করেছে।
সূত্রমতে, পিপিআই প্রকল্প’র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রথমে আফতাব আহমদ পরে হাফিজ উদ্দিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর হাসিবুল হাসান আফতাব আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন কমিটিতে দীর্ঘ সময়ে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। হাসিবুল হাসান ব্যাংক একাউন্টের সিগনেটরী ছিলেন। হাফিজের কমিটির প্রথম দিকে কো-চেয়্রাম্যান পরে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য অথবা পিপিআই উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে লুটপাট করেছেন।
জানাগেছে,৩১ অক্টোবর-২০১৮ বিলুপ্ত ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: পরিচালিত ঢাকা ওয়াসার সাতটি রাজস্ব জোনের (রাজস্ব জোন-৩,৪,৫,৬,৮,৯ ও ১০) সমন্বয়ে গঠিত পিপিআই প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে পিপিআই’র একাধিক্রমে কো-চেয়ারম্যান,উপদেষ্টা ও ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির অর্থ সম্পাদক হাসিবুল হাসান দীর্ঘ ২২ বছর পিপিআই প্রকল্পে লুটপাট করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। পিপিআই বিলুপ্তের পর সংরক্ষিত ও উদ্বৃত্ত অর্থ তিনি অন্য দায়িত্বশীলদের সাথে যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন। ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর সদস্য (অর্থ) হাসিবুল হাসান পিপিআই’র কো-চেয়ারম্যান ছিলেন। পিপিআই’র বড় সুবিধাভোগী তিনি। দুর্নীতি করে ঢাকার গ্রীন রোডে গ্রীনস্টোন এ্যাপার্টমেন্টে বিলাসবহুল ফ্লাট, প্লট ও গাড়ির মালিক। ছেলে-মেয়েরা ব্যয় বহুল প্রাইভেট কলেজ ইউনিভার্সিটিতে লেখা পড়া করছেন। ময়মনসিং গ্রামের বাড়িতে প্রচুর সম্পদ গড়েছেন। যা তার বেতনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তিনি ঢাকা ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী। সামান্য বেতনের কর্মচারী হয়েও বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। অর্থের উৎস হিসেবে কাজ করেছে পিপিআই প্রকল্পে রক্ষিত সাধারণ সদস্যদের অর্থ। তার পরিবারের সদস্য ও আত্বীয়জনদের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলেই সত্যতা মিলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টগণ।
২২ বছর যাবত হাসিবুল হাসান গং পিপিআই প্রকল্পে লুটপাট করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। অথচ পিপিআই’র ঠিকাদার সমবায় সমিতির সাধারণ সদস্যগণ ঠিকমত লভ্যাংশ পর্যন্ত পায়নি। সমিতির একাউন্ট শূন্য। এমতাবস্থায় পিপিআই প্রকল্পের ২২ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদান ও আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত হাসিবুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বেতন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. এর সদস্যগণ।
উল্লেখ্য, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ১০ মে-২০২৩ তারিখে তিন জন কর্মচারিকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছে । কিন্ত দুর্নীতির রাঘব বোয়ালরা থেকে গেছে মামলার বাইরে। যেকারনে দুদকের চলমান মামলায় ৪৯ ধারায় অভিযুক্ত ৪৬ জনকে মামলার আওতায় নিয়ে আসার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেছেন;ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুজ্জামান খান শাহীন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি