অভ্যুত্থানের দুটি পক্ষের মধ্যে উসকানি দিতে তৃতীয় পক্ষ সক্রিয় থাকতে পারে: সারজিস

ডেস্ক রিপোর্ট:

অভ্যুত্থানের দুটি পক্ষের মধ্যে উসকানি দিতে তৃতীয় পক্ষ সক্রিয় থাকতে পারে। তাদের কোনো উসকানিতে যেন কেউ পা না দেয়। দলীয় শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সহযোদ্ধাদের প্রতি সতর্কতা ও দিকনির্দেশনায় এ কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সারজিস আলম জানান বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলীয় ইশতেহার উপস্থাপন উপলক্ষে দেশজুড়ে এনসিপির নেতাকর্মীরা সমবেত হবেন। এই সমাবেশে শৃঙ্খলা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন তিনি।

কর্মসূচির কারণে কর্মজীবীদের সামান্য ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সারজিস বলেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হওয়ায় শিক্ষার্থী ভাইবোনদেরও কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। আমরা আগেই তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি বলেন কোনোভাবেই সমাবেশস্থলে প্যাকেট খাবারের উচ্ছিষ্ট বা বোতল ফেলা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। প্রোগ্রাম শেষে নিজেরা জায়গা পরিষ্কার করে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে।সমাবেশে অংশ নিতে আসা বাসগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন কোনো বাস শহীদ মিনার বা ক্যাম্পাস এলাকায় রাখা যাবে না। সব বাস রাখতে হবে পুরাতন বাণিজ্য মেলা এলাকায়।

ছাত্রদলের সমান্তরাল কর্মসূচির প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন শাহবাগ এলাকায় ছাত্রদলেরও একটি বড় কর্মসূচি রয়েছে। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখব এবং একে অপরকে সহযোগিতা করব।

দেশের স্বার্থে আবার ইউনাইটেড হই: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছি যে স্থানীয় সরকার সংস্কার সংস্থার সুপারিশগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্বের মৌলিক ধারণার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির দিকে যাচ্ছে। হ্যাঁ, আমরা একটি ট্রানজিশনাল পর্যায় অতিক্রম করছি, তবে চলুন আমরা এই পরিবর্তনকে দীর্ঘায়িত না করি, দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করি, দেশের স্বার্থে আবার ইউনাইটেড (ঐক্যবদ্ধ) হই।

সোমবার ভোরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো এক বছর পেরিয়ে যায়নি, আমরা বাংলাদেশে জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয় অর্জন করেছি। সবচেয়ে খারাপ ডিকটেটর হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অনেক প্রাণ হারিয়েছে, মূল্যটা অনেক বেশি। আমরা আমাদের সম্মানিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শতভাগ সমর্থন দিয়ে আসছি। হ্যাঁ, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চাই। কিন্তু এই সংস্কারটি জনগণের প্রতিনিধি দ্বারা বাস্তবায়িত হতে হবে, যারা মানুষের পালস বুঝে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম