সাতসকালে ইসরায়েলে হামলা বেজে উঠল সাইরেন

সাতসকালে ইসরায়েলে হামলা বেজে উঠল সাইরেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে হুতি যোদ্ধাদের সাম্প্রতিক হামলা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ভোরে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয় একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায় হামলার লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত সক্রিয় করা হয়েছে। আরব নিউজের তথ্য অনুযায়ী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও নিশ্চিত করেছে হতাহত নেই।

হুমকি কেটে যাওয়ার পর হোম ফ্রন্ট কমান্ড আশ্রয় নেওয়া অঞ্চলগুলোতে জনসাধারণকে বাইরে আসার অনুমতি দিয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান তারা ইসরায়েলের তিনটি শহর তেল আবিব আশকেলন ও হাইফার সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে তিনটি ড্রোন পাঠিয়েছে।

ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যেই গাজার কাছের নেটজারিম এলাকা এবং মিশর সীমান্তে সাইরেন বেজে ওঠে। পরে ইসরায়েল জানায় একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে বাকি দুটি ড্রোনের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানায়নি তেল আবিব।

শান্তিরক্ষা মিশন থেকে দেশে ফেরত আসছে পুলিশের একটি কন্টিনজেন্ট

ডেস্ক রিপোর্ট:

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের একটি কন্টিনজেন্ট দেশে ফেরত আসছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের প্রত্যাবর্তনের কথা হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বাজেট স্বল্পতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র বলছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইউএন–অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছি। মিশনের বাজেট ঘাটতির কারণে একটি কন্টিনজেন্ট ফেরত আসবে। বাজেট সমস্যার দূর হলে আবার হয়তো কঙ্গো বা অন্য কোনো দেশে প্রয়োজন হলে নতুন কন্টিনজেন্টকে ডাকা হবে।

৭৫ নারী পুলিশসহ ১৮০ সদস্যের ওই কন্টিনজেন্ট ২৬ আগস্ট কঙ্গোতে পৌঁছায়। প্রশিক্ষণ শেষে তারা ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু করে। তারা কঙ্গোর কিংশাসায় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বুধবার থেকে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ আছে। ২০০৫ সাল থেকে কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করে আসছে পুলিশ কন্টিনজেন্ট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কঙ্গো ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশ পুলিশের আর কোনো কন্টিনজেন্ট জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নেই। কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকারী ক্যামেরুন, সেনেগাল ও মিশরের মতো দেশের কন্টিনজেন্টও আংশিকভাবে কমানো হবে। তবে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট পুরোপুরি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।আরেকটি সূত্র জানায়, ২০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টকে ফেরত পাঠানোর কথা হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক সদস্য হয়ত আরও কিছু দিন সেখানে অবস্থান করে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। সরঞ্জাম ফেরত আনতে তা গোছানোর কাজটি করবেন তারা। ফেরত পাঠানোর সময় না বাড়লে অধিকাংশ সদস্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত আসবেন।সম্প্রতি রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে উঠে আসে, আগামী কয়েক মাসে বিশ্বব্যাপী নয়টি মিশন থেকে অন্তত ২৫ শতাংশ শান্তিরক্ষী কমাবে জাতিসংঘ। এমন সিদ্ধান্তের মূল কারণ অর্থের ঘাটতি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ তহবিলের অনিশ্চয়তা। এর কারণে ১৩ থেকে ১৪ হাজার সৈন্য ও পুলিশ এবং উল্লেখযোগ্য বেসামরিক কর্মী এই ছাঁটাইয়ের আওতায় আসবেন।জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র মিশনের প্রায় ২৬ শতাংশ তহবিলের যোগান তারা দেয়। তাদের পর রয়েছে চীন, দেশটি তহবিলের প্রায় ২৪ শতাংশ দেয়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সঙ্গে  কাজ করছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। শান্তিরক্ষী পাঠানোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ হিসেবে নেপাল শীর্ষে। দ্বিতীয় অবস্থানে রুয়ান্ডা। ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। পুলিশের প্রথম মিশন ছিল নামিবিয়ায়। ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২১ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা বিশ্বজুড়ে ২৪টি দেশে ২৬টি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান ও মধ্য আফ্রিকা। বর্তমানে দক্ষিণ সুদান ও মধ্য আফ্রিকায় আইপিও সদস্য হিসেবে কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম