বিশেষ অভিযানে আদাবর-মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৭ জন

বিশেষ অভিযানে আদাবর-মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৭ জন

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযানে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।

মোহাম্মদপুর থানায় তথ্য অনুযায়ী এই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন জাবির (২৫), মিঠু (১৯), আদর (২২), অনন (১৮), নয়ন (২০), হৃদয় (২৬), মেহেদী হাসান (২১), আল আমিন (২১), দিগন্ত (২২), জুয়েল (২৭), রায়হান (১৯), মনির (২৯) ও শাহীন (৩৫)।

অন্যদিকে, আদাবর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন মো. মামুনুর রশীদ ওরফে আবির (৩৫), কাজী মো. জায়েদ (৩২), মো. ইউনুস (২২) ও মো. রুস্তম আলী (৫০)। অভিযানে একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে গ্রেপ্তারদের মধ্যে নিয়মিত মামলার আসামি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

চুরির অপবাদে শ্রমিককে নির্মম ভাবে হত্যা গ্রেফতার ১

চুরির অপবাদে শ্রমিককে নির্মম ভাবে হত্যা গ্রেফতার ১

গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানাধীন কাশিমপুর রোডে একটি পোশাক কারখানায় ইলেকট্রিক মেকানিককে চোর অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক ৮টা থেকে শনিবার (২৮ জুন) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার মধ্যে ঘটনা ঘটলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রথমে গোপন করার চেষ্টা করায় বিলম্বে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। ঘটনার পর থেকে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

নিহত ইলেকট্রিক মেকানিক হৃদয় হোসেন (১৯) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। তিনি কোনাবাড়ির হারিনাবাড়ি এসরারনগর হাউজিং এলাকায় মিরাজের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। স্থানীয় গ্রিনল্যান্ড ফ্যাক্টরিতে ডাইং সেকশনের ইলেকট্রিক মেকানিক হিসেবে অস্থায়ীভাবে কাজ করতেন তিনি।

গ্রেফতার হাসান মাহমুদ মিঠুন টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি থানার হাদিরা বাজার এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন কুদ্দুস নগর এলাকায় আয়নালের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ জুন) সকালে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টসের মেকানিক সেকশন ও নিরাপত্তা কর্মীরা হৃদয়ের হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে দুপুরের দিকে হৃদয় মারা যায়।ঘটনার খবর আশপাশের অন্যান্য গার্মেন্টসে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে প্রায় ৪০০-৫০০ জন শ্রমিক রাস্তায় নেমে আসে এবং গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টসের সামনে গিয়ে কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হত্যাকাণ্ডের পর কর্তৃপক্ষ গার্মেন্টসের মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ সাঁটিয়ে পালিয়ে যায়।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কিছু লোক হৃদয়কে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে কারখানার ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে যাচ্ছে। পরে ওই কক্ষে তার ওপর অমানুষিক ও নির্মম নির্যাতন করা হয়। শনিবার সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে কারখানা ভেতরে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত অবস্থায় হৃদয়কে নিয়ে ১০টা ২১ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সে কারখানা ত্যাগ করে।

নিহত হৃদয়ের একাধিক ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। তাতে তার হাঁটুতে, কোমরে, পিঠে, হাতের কব্জিতে, কনুইতে এবং হাতের নখে, গলায় এবং মুখমণ্ডলে রক্তাক্ত ও কালচে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে আহত দেখিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে রেজিস্ট্রারে তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে স্থানান্তর করে।

এ ঘটনায় হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় গত শনিবার রাতে অজ্ঞানামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হৃদয় ডিউটি শেষে বাসায় না ফেরায় শনিবার বিকেলে তার ভাই লিটন ও মা কারখানার দিকে যান। সেখানে গিয়ে কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ দেখে জানতে পারেন, চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। পরে তারা লাশের সন্ধান চাইলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে আছে বলে জানানো হয়। সেখানে গিয়ে গিয়ে তারা মরদেহটি শনাক্ত করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ওই সংবাদ পেয়ে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ ও হৃদয়ের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে হাসপাতালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

বাদী বলেন, গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড কারখানার ভেতরে আমার ভাইকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। পরে এটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তার লাশ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আমরা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে একজন চোর ফ্যাক্টরির দেয়াল টপকে ভেতরে আসার সময় ড্রেনে পড়ে আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে জানান, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা শোনার পর অভিযান চালিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ এবং হত্যায় ব্যবহৃত অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা নিশ্চিত হই এটি হত্যাকাণ্ড।

তিনি বলেন,শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার পরে কারখানার ভেতর হৃদয়কে নির্যাতন করার ফুটেজ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতেই হৃদয় মারা যায়। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শনিবারে সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে হৃদয়ের লাশ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে কারখানার সবাই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে বিক্ষোভ করে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা