আনন্দ টিভি’র চেয়ারম্যান তৌফিক আব্বাস গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন ” আনন্দ টিভি”র চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ। গত ২৮ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলামের ২০২৩ সালে দায়ের করা একটি প্রতারণা মামলায় মাননীয় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।

 

আনন্দ টিভির চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস বিদেশে যাওয়ার সময় গত ২৮ আগস্ট বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রতারণা মামলায় একটি ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানায় হস্তান্তর করে। এর আগে, ২০২৩ সালে আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলাম অর্থ আত্মসাৎ এবং চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে টেলিভিশনটির তৎকালীণ পরিচালক তাজিন আব্বাস, চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস এবং এইচ, আর এডমিন সাইফুল ইসলামকে আসামী করে প্রতারণা মামলা মামলা (মামলা নং ২৪৩৮/২৩) করেন।

 

টেলিভিশনটি ২০১৩ সালে স্যাটেলাইট সম্প্রচারে এনওসি পায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন মালিক পক্ষ আর্থিক সংকট এবং টেলিভিশন পরিচালনায় অজ্ঞতার কারণে সম্প্রচারে আসতে ব্যর্থ হয়। পরে নুরুল ইসলাম লিখিত চুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থ লগ্নিসহ সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে টেলিভিশনটি সম্প্রচারে আনেন।

 

অল্প কয়েক মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি যখন লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। সে সময় কোন কারণ ছাড়াই স্থানীয় আওয়ামী লোকদের প্রভাবে নুরুল ইসলামকে তার লগ্নি করা অর্থ ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা দেন। এরপর তৎকালীন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যক্ষ মদদে এবংবিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে।

 

এছাড়া এডমিন সাইফুলের সহায়তায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

 

 

ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিনিধি।।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ষড়যন্ত্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শেখ হারুন-উর-রশিদকে পরিষদে ডেকে তার সন্ত্রাসী গুন্ডাপান্ডা দিয়ে প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে অপমান অপদস্তসহ খুন ও গুম করার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ও পিবিআইর কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধারন ডায়রী ও অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগে  উল্লেখ করা হয় সন্ত্রাসী ও মাস্তান সাইদুর রহমান রিপন ও শেখ ছিদ্দিকুর রহমান  চেয়ারম্যানের মদদে পরিষদের ভিতরেই প্রকাশ্যে খুন ও গুম করাসহ অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ করে। উক্ত অভিযোগের উপর পিবিআইর জনৈক কর্মকর্তা ও থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন তদন্ত করে বাদীর মুল বিষয় এড়িয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শেখ হারুন-উর-রশিদকে অপমন অপদস্তসহ খুন ও গুম করার কথা তদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ না করায় এই মিথ্যা ও অসত্য প্রতিবেদনের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে অত্র ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাগন এই মিথ্যা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ  করাসহ পুনরায় তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবী জানান। ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর দাবী ইউপি  চেয়ারম্যান ডেকে উপস্হিত লোকজন এবং ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতিকুর রহমান এবং পরিষদের সচিব সৈয়দ শাহ নেওয়াজ এর সামনে প্রকাশ্যে তার সন্ত্রাসী গুন্ডাদের দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার বাস্তব ঘটনাকে কি করে পিবিআই কর্মকর্তা  ও পুলিশ পরিদর্শক অসত্য ও মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। একজন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী সাইদুর রহমান রিপন ও শেখ ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে জমি সংক্রান্ত বহুদিন ধরে পারিবারিক কলোহ হয়ে আসছে। এব্যপারে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বরিশাল এর বরাবর এম পি কেস নং ৪০৬/২২ (বাকেরগঞ্জ) ধারাঃ ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৪/৪৫ দায়ের রয়েছে। উক্ত মামলা আদালতে করায় দুই পক্ষকেই আদালত নোটিশ জারী করেছে। এ খবর চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানতে পেরে জনৈক ব্যক্তির দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তার বরাবরে পরিষদে দাখিল করান। পরবর্তিতে চেয়ারম্যান অভিযোগকারীকে পরিষদে উপস্হিত না করে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে  পরিষদে ডেকে উল্লেখিত নামধারী সন্ত্রাসী ও মাস্তান সাইদুর রহমান রিপন ও শেখ ছিদ্দিকুর রহমান দ্বারা  তাকে মারধর খুন গুম করাসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অপবাদ দেয়।এই অপমানকে ভুক্তভোগী  স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না পারায় মানষিক ও শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আর এর জন্য দায়ী হবেন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। অত্র এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে পুনরায় ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ আমলে নিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবী করেছেন।
পরিষদের সচিব সৈয়দ শাহ নেওয়াজ এর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম