স্বাধীনতার স্বপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা আতংকিত: ……………………………………………… প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের শীর্ষ পদে নিয়োগ পেতে মরিয়া বির্তকিত পরিচালক ডা: মো: রেয়াজুল হক জসিম!

স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা সরকার উৎখাতে নানামুখি অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আর এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বাধীনতার বিপক্ষের পেশাজীবি (বিএনপি ও জামায়াতের ) সংগঠন এ্যাব (এগ্রিক্যালচারিষ্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এর প্রথম শ্রেণীর নেতা ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম,পরিচালক, উৎপাদন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ঢাকা। তিনি বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকর্তা কর্মচারীদের একত্রিত করে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি নিয়মিত ভাবে ঢাকাস্থ প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-–কর্মচারীদের সাথে নিয়মিত বৈঠক , সরকার বিরোধী জামাত -বিএনপি বিভিন্ন মিটিং এ যোগদান ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় এ পড়াশুনা কালিন শহীদ সামছুল হক হলের ১৯৮৫-৯১ সাল পর্যন্ত আবাসিক ছাত্র ছিলেন। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়া কালিন ছাত্রদলের অতি বিধ্বংসী আর্মস ক্যাডার ছিলেন। বর্তমানে প্রশাসন ও বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে চাকুরী করেন এমন অনেকে ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম এর দ্বারা শাররীক ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন । অনেকের হাত পা ভেঙে ফেলেছেন তিনি।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম নন ক্যাডার একজন কর্মকর্তা হিসাবে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রথম চাকুরতে প্রবেশ করেন। কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালে চাকুরীকালিন সময়ে স্বাধীনতার বিপক্ষের পেশাজীবি (বিএনপি ও জামায়াতের ) সংগঠন এ্যাব (এগ্রিক্যালচারিষ্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) কে সংগঠিত করার কাজে দায়িত্ব পালন করেন। ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম এর এহেন কার্যকলাপের পুরষ্কার হিসাবে কোন বিসিএস ছাড়াই কোন তম বিসিএস বাদে বিশেষ বিসিএস কর্মকর্তা হিসাবে পদায়ন হন। যেটা তদন্ত করলে আসল চিত্র বের হবে। ৯ম থেকে ১৯তম পর্যন্ত প্রাণিসম্পদে (১০ বছর) কোন বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি।
আরো জানা গেছে, ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম,পরিচালক,উৎপাদন,চট্ট্রগ্রামে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে কর্মকালীন সময়ে বিধি বহির্ভুত ভাবে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মহিষের ও গরুর মাংশ যে সার্টিফিকেট প্রদান করে কোটি কোটি টাকা অবৈধ ভাবে উপার্জন করেছেন । তার জন্য কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলেন। তার এহেন কার্যকলাপে সরকারের ৪/৫ শত কোটি রেভিনিউ আয় বঞ্চিত হয়েছে। তিনি সাম্প্রতিক কালে ৭টি ডেইরী ফার্ম,৩টি মহিষ খামার,৭টি ছাগল খামার ও ৪টি ভেড়ার খামারের জন্য ১০০টির উপর টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে তার টেন্ডার কার্যক্রম অনিয়মের বিষয়ে কাযক্রম স্থগিত রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রাণিসম্পদ মহাপরিচালক । কিন্তু সুচতুর ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম,পরিচালক উৎপাদন,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর,ঢাকা সে সব তথ্য গোপন রেখে বিভিন্ন লবিষ্ট নিয়োগ করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কিংম্বা পরিচালক (প্রশাসন) পদে নিয়োগ পেতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । প্রাণিসম্পদ অধিদপতরের স্বাধীনতার স্বপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ডা.মো. রেয়াজুল হক জসিম এর মহাপরিচালক নিয়োগের পরিকল্পনা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
মহাপরিচালক এবং পরিচালক ( প্রশাসন) নিয়োগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্বাধীনতার স্বপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী নের্তৃবৃন্দ মনে করেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যহত রাখা ,অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক ডিপার্টমেন্টের উন্নয়ন ,উৎপাদন প্রবাহ অব্যহত রাখা এবং নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন বৃদ্ধি ,নতুন নুতন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাধীনতার স্বপক্ষের যোগ্য ব্যক্তিকে মহাপরিচালক নিয়োগ প্রদান করা হবে। এ ক্ষেত্রে তারা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অত্যন্ত মেধাবী,বিচক্ষন ও দেশপ্রেমিক মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এর সুচিন্তিত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে আওয়ামী দোসর এলজিইডি’র পিডি ফাহমিদুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা দুর্নীতির বরপুত্র মো: ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যহার,অনিয়ম,দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
৭ জুলাই-২০২৫ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়েরকৃত এক অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও সুবিধাভোগী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা মো: ফাহমিদুল হক আওয়ামী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যহার,অনিয়ম,দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মো: ফাহমিদুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে সম্পদের অনুসন্ধান অভিযোগের প্রমান পাওয়া যাবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে,এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প(সিআরডিপি-২) এর প্রকল্প পরিচালক মো: ফাহমিদুল হক এর রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটিতে একটি বহুতল বাড়ি (হামিদা ভিলা,বাড়ি নং-২১০/বি,রোড নং-৪), ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্ত্রী আরমানা ইসলামের নামে একটি বাড়ি(বাড়ি নং-১১/১৬, সলিমুল্লাহ রোড, মোহাম্মদপুর-১২০৭) এবং ঢাকার শেখের টেকে ৩ নম্বর রোডে প্যারামাউন্ট হাউজিং এর ১০ নং ভবনে একটি বিলাসবহুল ফ্লাট রয়েছে। এছাড়া,রয়েছে একাধিক প্রাইভেট কার। তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি টাকার এফডিআর। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে ,বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে দলীয় ছত্রছায়ায় অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এলজিইডি শাখার ৩৬ নম্বর সদস্য ছিলেন। আওয়ামী ম্যান হওয়ায় বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকি উদযাপন কমিটির ৭ নং সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের সাথে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে বাগিয়ে নিয়েছেন পিডির পদ। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত ডোনেশন দিতেন।
আওয়ামী ছত্রছায়ায় সব সময় সুবিধাজন পদে ছিলেন। প্রকল্পে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দরপত্র আহবান,ঠিকাদার নিয়োগ,স্বজনপ্রীতি,কমিশন আদায় ছিল তার রুটিন ওয়ার্ক। নিজস্ব ঠিকাদার সিন্ডিকেট তৈরি করে কাজ দিয়ে কমিশন নিয়ে নিতেন এবং এই প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে। দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প(সিআরডিপি-২) এর কার্যক্রম আদ্যপান্ত সরজমিন তদন্ত করলে মো: ফাহমিদুল হকের অনিয়ম,দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যাবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এর নেতা আওয়ামী ম্যান মো: ফাহমিদুল হক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। দাপটের সাথে প্রকল্পের পিডির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম