
স্টাফ রিপোর্টার॥
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে দিন দিন বেড়ে চলেছে চাঁদাবাজির ঘটনা। স্থানীয় ব্যবসায়ী, ঠিকাদার থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ মালিকরাও এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তদন্তে জানা গেছে, এ সমস্ত ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন আলোচিত আলমগীর, লিটন ও তার প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া নির্দেশনা সত্বেও থেমে নাই বিএনপির কর্মীদের চাঁদাবাজি। গুলশান-১ ডি এন সি সি কাঁচা ও পাকা মার্কেটের আশেপাশে, নিকেতন গেইট থেকে আজাদ মসজিদ, গুদারাঘাট এলাকায় অবৈধভাবে দোকানপাট বসিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন এই আলমগীর-লিটন সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে নিয়মিত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে এই সিন্ডিকেট। অনুসন্ধানে জানা যায় গুলশান -১ ডিএনসিসি ইউনিটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর এবং ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন লিটন। ৫ ই আগস্ট পতিত স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের পর এই সিন্ডিকেটের আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি ও সদস্য সচিবের নির্দেশনাকে কোন রকম পাত্তা না দিয়ে সব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। অনুসন্ধান আরও জানা যায়,গুলশান -১ ডিএনসিসি মার্কেট এর লাগেজ চোরাকারবারির সাথে জড়িত এই চক্র।লাগেজ চোরাকারবারি মাধ্যমে অবৈধ টাকার মালিক হয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীদের চাপে রাখছে চক্র : গুলশানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, নতুন কোনো ব্যবসা শুরু হলে প্রথমেই আলমগীর ও লিটনের লোকজন হাজির হয়। প্রাথমিকভাবে তারা শুভেচ্ছা জানালেও অল্পদিনের মধ্যেই মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে নানা অজুহাতে হয়রানি, ভাঙচুর কিংবা ভীতিপ্রদর্শনের ঘটনা ঘটে।
প্রভাব খাটিয়ে কার্যক্রম : স্থানীয় সূত্র বলছে, আলমগীর ও লিটন রাজনৈতিক পরিচিতি ও প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে এ এলাকায় তার দাপট বজায় রেখেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের আগাম খবরও নাকি তাদের কাছে পৌঁছে যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পান।
পুলিশের একজন সদস্যের ভাষ্যমতে, গুলশান এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে কিছু চক্রের নামও পুলিশের কাছে আছে। তবে ব্যবসায়ীরা লিখিত অভিযোগ না করায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও সাম্প্রতিক সময়ে আলমগির লিটনকে ঘিরে যে অভিযোগ উঠছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।