ভোট চুরি ও গুন্ডামির রাজনীতিকে ‘লাল কার্ড’ দেখাতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

ভোট চুরি ও গুন্ডামির রাজনীতিকে ‘লাল কার্ড’ দেখাতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

কুমিল্লা সাংবাদদাতা:

নির্বাচনের সময় রাতের আঁধারে টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে এলে বুঝতে হবে সেই নেতার যোগ্যতার ঘাটতি আছে। এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, যারা নির্বাচনের আগে পেশিশক্তি দেখিয়ে ভোট কিনতে আসবে, তাদের মোকাবিলা করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামে স্থানীয় এনসিপি আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর আগে তিনি ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন। কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসন থেকে হাসনাত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে আলোচনা আছে।

ভোট চুরি ও গুন্ডামির রাজনীতিকে ‘লাল কার্ড’ দেখাতে হবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে আপনারা কি কারও গোলাম হয়ে থাকতে চান? যদি না চান, তাহলে এবার ভোট চুরি ও গুন্ডামির রাজনীতিকে লাল কার্ড দেখাতে হবে। আপনি টাকাও খাবেন না, কারও কাছে মাথাও নত করবেন না।’

জনগণের কাছে সমর্থন চেয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি। আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা, আয়নাঘর ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমরা ছোট্ট একটি রাজনৈতিক দল হয়েও অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বলা থেকে বিরত হইনি। আমরা প্রতিবাদ করেছি এবং সামনেও করবই। যদি মনে করেন আমরা কোনোভাবে যোগ্য ও সৎ, তাহলে আমাদের সমর্থন দেবেন, না হলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে অংশ নেন দেবীদ্বার উপজেলার এনসিপির ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য রাসেল আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে দেবীদ্বারের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নে ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই দেবীদ্বারের রাস্তাঘাটের কাজ শুরু হবে। তবে এ বরাদ্দ দেবীদ্বারের জন্য যথেষ্ট নয়। গত ১৫ বছরের ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট ঠিক করতে অন্তত ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে পর্যায়ক্রমে এসব বরাদ্দ আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি থাকি বা না থাকি, দেবীদ্বারের জন্য যে ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে, এটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’

চৌদ্দগ্রাম পরকীয়ার টানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উধাও

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের বীরচন্দ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কুলসুমা আক্তার পরকীয়া সম্পর্ক করে উধাও।

সরজমিন গিয়ে জানা যায়, কুলসুমা আক্তার কলেজে পড়ুয়া দুই সন্তানের জননী। বড় ছেলে কুমিল্লা একটি কলেজে অনার্সে পড়ে, মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী। পৌরসভার গোমারবাড়ি নিবাসী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী। সেলিম সৌদি প্রবাসী থাকাকালীন গত প্রায় ৩২ বছরের উপার্জন প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার সহ ৭০/৮০ লাখ টাকা স্ত্রী কুলসুমা আক্তার কাছে গচ্ছিত রাখেন।

গত ৩ বছর থেকে পরকীয়ার সম্পর্কে জানাজানি হলেও কুলসুমা আক্তার কে সংসারে মনোযোগী করাতে পারেননি। স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায় ঘোলপাশা ইউনিয়ন বাবুচি গ্রামের ধনা মিয়ার সন্তান শরীফ হাসানের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁরপর গত ২ বছর সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ হয় বলে জানা যায়। শরীফ হাসান ৩ সন্তানের বাবা তিনি চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭/৮/৯ ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আমেনা বেগমের মেয়ে জামাই। কুলসুমা আক্তার বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা গ্রামের শামছুল হক ভূঁইয়া কন্যা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন বীরচন্দ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানা যায় গত ১১ সেপ্টেম্বর স্কুলে হাজির থেকে ১২ তারিখ নৈমিত্তিক ছুটির জন্য আবেদন করেন, ১৪ সেপ্টেম্বর ১ মাসের ছুটির মেডিকেল ছুটির আবেদন দিয়ে স্কুলে স্কুলে অনুপস্থিত। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দালাল বলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ মাঈন উদ্দিন মাসুদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা দিয়ে মেডিকেল ছুটির ডাক্তারি সাটিফিকেট সংগ্রহ করেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে বীরচন্দ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তার কে জানতে চাইলে বলেন ছুটির আবেদন দিয়ে স্কুলে আসেননি। পরক্ষণে দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারি।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিল আমেনা আক্তার কে জিগ্যেস করলে বলেন। শরীফ হাসান আমার মেয়ে জামাই তিন সন্তান রেখে এমন করবে আমি ভাবতে পারি নি।

কুলসুমা আক্তার স্বামী মোহাম্মদ সেলিম কে এ বিষয় জানতে চাইলে বলেন আমার সারাজীবনের উপার্জন নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম