চট্টগ্রামে সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীসহ ১০ তরুণ আলোচনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই গণহত্যার বিচার ও নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখনো কয়েকটি দলের ‘শর্তসাপেক্ষ’ থেকে মুক্ত না হলেও ইতিমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী বাছাই ও ঘোষণা করেছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে দৃশ্যমান আনুষ্ঠানিক কোনো তৎপরতা শুরু না হলেও ভেতরে ভেতরে হোমওয়ার্ক সেরে নিচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। অক্টোবরে তা দৃশ্যমান হতে শুরু করবে বলে জানা গেছে।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বিষয়ে জেন-জির মনোভাবকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাছাইয়ের মানদণ্ডে। এক্ষেত্রে ক্যারিশমেটিক ও ইতিবাচক উদ্যমী তরুণদের দিয়ে চমক দিতে পারেন বিএনপির হাইকমান্ড।

এ ছাড়া এলাকায় জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা, দলীয় সাংগঠনিক দক্ষতা, দলের প্রতি আনুগত্য, বিগত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক- এসব প্রথাগত মানদণ্ড তো বিবেচনায় থাকছেই।

তারই আলোকে দেশের বিভিন্ন আসনে বিএনপির অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর বিষয়ে দলীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে ইতিবাচক মনোভাব উঠে আসছে নানাভাবে। তারা এলাকায় এমনকি জাতীয় ও পেশাগত পর্যায়ে কাজ করছেন জোরেশোরে। তাদের মধ্যে অনেকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এবং গণমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে বেশ আলোচনায় এসেছেন ইতিমধ্যে।

বিভিন্ন মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে আটটি আসনের সম্ভাব্য ও আলোচনায় আসা তরুণ প্রার্থীর নাম এসেছে ঢাকাটাইমসের হাতে। তাদের মধ্যে প্রথম দিকে আছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২)। বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ ও গণমাধ্যমে সমান সক্রিয় ছিলেন জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদের এই অন্যতম শীর্ষ নেতা।

এ ছাড়া সাংগঠনিক দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ বিবেচনায়ও এগিয়ে রাখছে সুবক্তা কাদের গনি চৌধুরীকে। আগামী নির্বাচনে কাদের গনি চৌধুরী চট্টগ্রাম-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ধানের শীষ প্রতীক পাবেন, এমনটাই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে কেন্দ্রে।

মহানগর ও জেলার বিভিন্ন আসনে আরও যাদের নাম প্রাথমিক বিবেচনায় ওপরে দিকে আছে বলে জানা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই তরুণ। নিজেদের যোগ্যতার পাশাপাশি বাবার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবেও মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন তারা। তাদের প্রত্যেকের বাবা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সুপরিচিত মুখ।

চট্টগ্রাম-৫ আসনে আছেন সাবেক মন্ত্রী মীর নাসিরের ছেলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এই আসনে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির সাবেক এমপি ওয়াহিদ উদ্দিনের মেয়ে ব্যারিস্টার ফারজানা। চট্টগ্রাম-৭ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও মন্ত্রী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী আছেন শীর্ষে।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু আছেন আলোচনার কেন্দ্রে। ইসরাফিল বিএনপির পররাষ্ট্র উপকমিটির সদস্য।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে তরুণ প্রার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ আসনে আছেন দীর্ঘদিন আয়নাঘরে নির্যাতিত সৈয়দ সাদাত আহমেদ। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির এই সাবেক সদস্য দলের চেয়ারপারসনের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা এবং চট্টগ্রাম-৩ আসনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক রফি উদ্দিন ফয়সাল ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন আছেন সম্ভাব্য তালিকায়।

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ছড়ানোর হুমকির দায়ে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্কঃ

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পুলিশ দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, গত চার বছর আগে আলীপুর এলাকার জসিম উদ্দিন দুলালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এমনকি দুই সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চার বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে অনেক কিছু নীরবে সয়ে যান ওই নারী।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ভিডিওর ভয় দেখিয়ে শুধু ধর্ষণ নয়, নানা অজুহাতে বেশ কয়েকবার মারধরও করেছে আমাকে। গত দু’মাস আগে প্রবাস ফেরত স্বামীর কাছেও বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করি। পরে বাধ্য হয়ে স্বামী ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানায়।

ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় ঘরে আমার শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। একদিন দেলোয়ার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে পারিনি। এরপর থেকে নিয়মিত ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় ও পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে মারধর করতো। সম্প্রতি আমার স্বামী দেশে আসলে আবারও উৎপাত শুরু করলে বিষয়টি স্বামীকে জানাই। রাতের বেলায় ঘরের আশেপাশে দেলোয়ার ঘুরাফেরা করে। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে স্বামীকে মেরে আমাকে বিধবা করার হুমকি দেয়।

প্রবাস ফেরত স্বামী জানান, দেশে চাকরি পাই না জীবন বাঁচানোর তাগিদে বিদেশ গিয়েছি। পুরা জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে এসব কুলাঙ্গাররা। রাতের বেলায় কয়েকবার তাকে ধাওয়া করেছি। পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনাটি ভুক্তভোগীর পরিবার আমাকে জানিয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম ধর্ষণের ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার আমরা সেটি করবো। অপরাধী যে দলের রাজনৈতিক পরিচয় দিক না কেন, ছাড় দেয়া হবে না।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম