জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি

ডেস্ক রিপোর্ট :

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে  এসপি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এসপি এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।পুলিশি সেবা নিতে আর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় না মৌলভীবাজারের সাধারণ মানুষকে। এখন থেকে নিজ থানায় বসেই ভিডিওকলে সরাসরি পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে কথা বলে জানানো যাচ্ছে অভিযোগ। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের নতুন এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে  এসপি।এর‌ আগে প্রায় দেড়মাস পরীক্ষামূলকভাবে সাত থানায় চালু ছিল এই সেবা। সেবাটি শুধু সাধারণ নাগরিকদেরই নয়, থানার পুলিশ সদস্যরাও ভিডিও কলে এসপির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে নিজ নিজ সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।কথা বলে সরাসরি, নিজের সমস্যার সমাধান করি স্লোগানকে সামনে রেখে জেলার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌছে  দিতে এই ডিজিটাল সেবা চালু করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ। উদ্যোগটির ফলে জেলা সদর পর্যন্ত ছুটে আসার ঝামেলা কমেছে। সময় ও খরচ দুটোই বেঁচে যাচ্ছে মানুষের।

জেলার সাতটি থানায় স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ  এসপি ডেস্ক, যেখানে ভিডিও কলে সরাসরি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন নাগরিকরা। প্রতিটি ডেস্কে দায়িত্ব পালন করছেন একজন নারী ও পুরুষ অপারেটর। তারা সাধারণ মানুষকে সহায়তা করছেন অভিযোগ জানাতে ও সমস্যার সমাধান পেতে। এই সেবার মাধ্যমে থানায় প্রাপ্ত তথ্য সরাসরি পৌছে যাচ্ছে এসপি অফিসে। ফলে অভিযোগের দ্রুত তদন্ত, তদারকি ও সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে।

জেলা পুলিশ জানিয়েছে,আপনার এসপি চালু হওয়ার পর থেকেই মানুষের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ আরও সহজ হয়েছে। থানায় প্রাপ্ত যে কোনো অভিযোগ বা আবেদন সরাসরি মনিটর করছেন পুলিশ সুপার। এর ফলে সেবার মান বেড়েছে এবং নাগরিকদের আস্থা আরও মজবুত হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ হবে থানার দালালদের দৌরাত্ম্য।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তথ্য চলে যাচ্ছে এসপি অফিসে। স্যার নিজেই বিষয়গুলো মনিটর করছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এই সেবা চালু হওয়ার ফলে আমরা খুব অল্প সময়েই মানুষের সমস্যা জানতে ও সমাধান দিতে পারছি। জনগণও এতে খুব সন্তুষ্ট। কুলাউড়া থানায় সেবা নিতে আসা রহিমা বেগম বলেন,  আগে ছোট সমস্যার জন্যও এসপি অফিসে যেতে হতো। এখন থানাতেই জানানো যাচ্ছে, দ্রুত সমাধানও পাচ্ছি। এতে সময় ও ভোগান্তি বাঁচছে।এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের লক্ষ্য জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়া। আপনার এসপি  প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন মানুষ সরাসরি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছে। আমরাও তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছি। এটা পুলিশ ও জনগণের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে।

বৃহস্পতিবার তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুলসহ অনেকে।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ১২ জানুয়ারি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এ বিচার টেকে না। রায়ে বলা হয়, যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৯ আসামি

শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী। তাদের অনেকে আজও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি