
ডেস্ক রিপোর্টঃ
মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে জাপান সফরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাপান সফরের পরপরই আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প। এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে হবে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। তাদের বৈঠকের মধ্য দিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ আপাতত থামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কারণ মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্পের অংশগ্রহণের মধ্যেই দুই দেশ একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এ কথা স্বীকার করেছেন। একে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে বিরতির গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ও শির মধ্যকার বৈঠকে চুক্তিটি চূড়ান্ত হতে পারে। এয়ারফোর্স ওয়ানে বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট শির প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। আমি মনে করি, আমরা একটি চুক্তি নিয়েই ফিরব।
এদিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা সোমবার বলেছেন, তার সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গ্যারান্টি দিয়েছেন যে, দুই দেশ বাণিজ্যের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে। মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এক ব্রিফিংয়ে লুলা দাবি করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনা ভালোভাবে হয়েছে এবং দ্রুত তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রুবিও-জয়শঙ্কর বৈঠক ঘিরে কৌতূহলঃ
কুয়ালালামপুরে আসিয়ানের সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈঠক করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চহারে শুল্ক আরোপের ঘটনায় পরে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বৈঠক ঘিরে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের কথা নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি লিখেছেন, আজ সকালে কুয়ালালামপুরে মার্কো রুবিওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যের জন্য অনিশ্চিত প্রশ্ন রেখে আসিয়ান ছাড়লেন ট্রাম্পঃ
গত রোববার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ৪৭তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন ট্রাম্প। শুধু যোগ দেওয়া নয়, তিনি সম্মেলনের শিরোনাম, বাণিজ্য চুক্তি এবং থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিজেই তত্ত্বাবধান করেন। তবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তিগুলোতে ট্রান্সশিপমেন্ট ও সেমিকন্ডাক্টর শুল্কের মতো বিষয়গুলোর সমাধান করা হয়নি। বিশেষ করে ট্রাম্পের সদা পরিবর্তনশীল বাণিজ্যনীতির অধীনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।






