ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রধানমন্ত্রীর ছয় দফা প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সব অংশীজনের সঙ্গে কাজ করার জন্য বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা ‘মেজর ইকোনমিজ ফোরাম অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে পূর্বে ধারণ করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের বিবেচনার জন্য ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্যে তাদের কার্বন নির্গমণ হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা তার দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, জলবায়ু তহবিলের জন্য উন্নত দেশগুলোর বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে এবং অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ বিতরণ করতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি হস্তান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তার চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উত্তরণের ক্ষেত্রে, জাতি-রাষ্ট্রগুলোর সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলোর হিসাব নেওয়া এবং তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লোকসান ও ক্ষতির বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী তার পঞ্চম প্রস্তাবে বলেছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীর ভাঙন, বন্যা ও খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সকল দেশের ভাগ করে নেওয়া দরকার।

তিনি আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য কপ২৬ সম্মেলনে দৃঢ় ও তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল কামনা করেন এবং এ লক্ষ্যে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, বন্যা ও খরার প্রভাব ছাড়াও ১১ লাখ রোহিঙ্গা জোরপূর্বক মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে বাংলাদেশ গুরুতর জলবায়ু প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় তার সরকার অগ্রণী হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি উচ্চাকাঙক্ষী ও হালনাগাদকৃত এনডিসি জমা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বাধিক বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ সৌরশক্তি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে যা জলবায়ু ঝুঁকি থেকে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং তা থেকে জলবায়ু সমৃদ্ধি পর্যন্ত একটি যাত্রা।

জলবায়ু ঝুঁকি ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি-২০’র সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ তুলে ধরা।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমেও বাংলাদেশ সেরা অনুশীলন ভাগ করে নেয়। -বাসস

 

যুক্তরাজ্যে মানবাধিকার সংগঠন নিরাপদ বাংলাদেশ চাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে

লন্ডন প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশে বিরোধী দলের দশ দফা বাস্তবায়ন ও বিএনপি জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে সভা সমাবেশ করছে।
এই সংগঠনটি বিগত কয়েক বছর ধরে মিছিল মিটিং,মানববন্ধন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বৃটিশ বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন বিবিসি অফিস, কমনওয়েলথ, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, আলতাব আলী পার্ক সহ বিভিন্ন স্থানে।
তার মানবাধিকারের নামে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে অপপ্রচার করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান, প্লেকার্ড প্রর্দশন করে বাংলাদেশী কমিউনিটির মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এই সংগঠনের সভাপতি সাবেক শিবির নেতা মুসলিম খান। তার নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যে জামায়াত শিবিরের কয়েক শত নেতা কর্মী বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই সংগঠনের অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থাকবেন বিএনপি জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন অনুসন্ধানে পাওয়া গিয়েছে এসব নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা রয়েছে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক ও টুইটার ব্যাবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে গুজব ছড়ানোসহ অপপ্রচার করছে।
এদের ব্যাপারে সরকার আন্তর্জাতিক ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া জন্য চিন্তা করছে। বিভিন্ন সময় জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী বর্গ পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন। কার্যকারী পদক্ষেপ না নেওয়া এসব মানবাধিকার সংগঠন গুলি বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি বিদেশে নষ্ট করছে। গত ৩০ জানুয়ারী এই সংগঠনটি লন্ডনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে আয়োজন করে। সেখানে বিএনপি কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালিক অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন। এছাড়াও বিএনপি জামায়াতের কয়েক শত নেতা কর্মী উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন