ডেমরার আমুলিয়া এলাকায় আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানী ডেমরায় অপরাধ জগতের ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং। কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে দিশেহারা এলাকাবাসী।ডেমরা আমুলিয়া বেপারী পাড়া ৭০ নং ওয়ার্ডের মজিদ এর পুত্র নওসের আলী (সাদ) এর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং।

বেপারীপাড়া আমুলিয়ায় নূর হোসেনের ভাগিনা নওসের আলী (সাদ) গ্রুপে প্রায় ৩০ জনের মতো সদস্য ছোট ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে মারামারি, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি, মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে । এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।এই এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার ঘটনাটি আশঙ্কাজনক। হুমকির মুখে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

৭০ নং ওয়ার্ড এবং ৭৩ নাম্বার ওয়ার্ড এলাকার বর্ডার হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জড়িয়ে পড়ছে হানাহানি মারামারিতে।

আমুলিয়া এলাকায় বাসিন্দার, জানান দীর্ঘদিন ধরে তাদের যন্ত্রণায় ঘর থেকে বের হতেও ভয় লাগে, প্রায় সময়ই দেখা যায় হাতে লোহার রড চাপাটি চাকুসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে।এদের গ্রুপটি মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে ও বলে জানান স্থানীয়রা । এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে তাদের অভিমত।
এসব বিষয়ে কথা বলতে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার নওশের আলী সাদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও সে ফোন রিসিভ করেননি ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুস্কৃতিকারীদের হামলায় গুরুতর আহত গণমাধ্যমকর্মীর মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার:

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুস্কৃতিকারীদের হামলায় গুরুতর আহত গণমাধ্যমকর্মীর মামলা নিচ্ছে না পুলিশ, থানায় এজাহার দিলেও তা মামলা হিসেবে এন্টি করতে গড়িমসি করছে ডিএমপির গুলশান বিভাগের বাড্ডা থানার ওসি ইয়াসিন গাজী। গেলো ১৮ জুলাই কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় দায়িত্বপালনকালে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্রে সজ্জিত দুষ্কৃতিকারীরা এসএটিভির স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হামিদ সোহান খান ও ভিডিওগ্রাফার মোহাম্মদ হারুনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে উভয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখমের পাশাপাশি সোহান খানের বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এঘটনায় সেখানেই এএমজেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোহান খানকে। হাসপাতালটির সামনের সড়কে আন্দোলনকারীদের সরব উপস্থিতি থাকায় ২ দিন চিকিৎসার পর ভয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে বাসায় ফিরে সোহান খান।

এঘটনায় মামলা করতে গেলো ২২ জুলাই বাড্ডা থানায় একটি এজাহার দিলে, পুলিশ তা জমা রেখে দিয়ে পরের দিন যোগাযোগ করতে বলে। গেলো ৪ দিন অতিবাহিত হলেও বাড্ডা থানা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে থানায় সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকা একাধিক অফিসারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও গেলো ৪দিনে তারা মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন গাজীকে দফায় দফায় ফোন করেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার শামিম আহাম্মেদ রিফাতের সাথে মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি’র) তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে মামলা নেয়া হচ্ছে। যাকে কোনো ভূয়া মামলা রুজু না হয়। নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ডিএমপি। তারপর মামলাটি নেয়া হবে বলেও জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি।

ডিএমপির যাচাই বাছাই কমিটির পক্ষে একটি মামলার মতামত দিতে, ৪ দিন সময় নেয়ার পরেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলে, পুলিশের কর্মতৎপরতা নিয়ে বরাবরের মতো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ বিটের একজন গণমাধ্যমকর্মীর অভিযোগের বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ যদি এমন হয়, সাধারণ ভুক্তভোগীর অবস্থা কোথায় গিয়ে দাড়ায়!

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম