দেবীগঞ্জে চালু হলো ‘হোটেল ল্যাক্সারি ইন্টারন্যাশনাল’

এনামুল  পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশে আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে চালু হতে যাচ্ছে ‘হোটেল ল্যাক্সারি ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি আবাসিক হোটেল। সোমবার (০১ মে) হোটেলটির উদ্বোধন হয়।

পঞ্চগড়ে দেবীগঞ্জের বিশ্বাস সুপার মার্কেটে নবনির্মিত হোটেলটি কার্যক্রম চালু করেছে।

হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে হোটেলটিতে মোট নয় ধরণের রুম রয়েছে। এরমধ্যে দুই রকমের এসি রুম রয়েছে। রুমের কোয়ালিটি অনুযায়ী এগুলোর প্রতিদিন ভাড়া রাখা হয়েছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।

তবে শুরুতেই পর্যটকদের কথা চিন্তা করে হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমের ভাড়া ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেন।

‘হোটেল ল্যাক্সারি ইন্টারন্যাশনাল’ পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের শ্রী: দেবাশীষ বিশ্বাস,মোঃ আরিফ হোসেন একই ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোছাঃ হাসনা হেনা।

তাঁরা জানান, পঞ্চগড়ের পর্যটন খাতকে আরও গতিশীল করতে আমাদের এই পথচলা। আমরা দেশি বিদেশি পর্যটকদের পঞ্চগড়ে ভ্রমণের পাশাপাশি আনন্দদায়ক, আরামদায়ক ও আধুনিকমানের সেবার প্রত্যয় নিয়ে ‘হোটেল ল্যাক্সারি ইন্টারন্যাশনাল’-এর শুভ সুচনা করছি আর আমরা মনেকরি এই যাত্রার সঙ্গী হবে সবাই।

শিক্ষার্থী নেই তবুও এমপিওভুক্ত হলো স্কুলটি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ছেপড়াঝার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশে আসেনা কোন শিক্ষার্থী, তবুও এমপিওভুক্ত হয়েছে বিদ্যালয়টি। গত ৬ জুলাই প্রকাশিত এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম এসেছে বিদ্যালয়টির। এমন খবরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আনন্দিত হলেও বিস্মিত এলাকার অনেকেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়টি অফিস খোলা হলেও নেই কোনো ছাত্র-ছাত্রী। এই প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে এমপিওভুক্ত হয়,। সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি খোলা থাকলেও ক্লাশে নেই কোন শিক্ষার্থী। প্রতিবেদক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরে তিনজন শিশু-কিশোরকে বিদ্যালয়ে ডেকে আনেন অফিস সহায়ক দাইমুল ইসলাম। পরে একটি শ্রেণি কক্ষে তাদের বসিয়ে দিয়ে একটি করে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির বই দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তাদের কাছে ছিলোনা কোন খাতা, কলম। বাধন নামে এক কিশোর বলেন, আমি স্কুলের পাশে খেলা করতেছি, স্যার আমাকে ডেকে এনে ক্লাশে বসতে বলল।
বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির জীবন নামে এক ব্যক্তি বলেন, এই স্কুলে কিছু ছাত্র/ছাত্রী আছে তারা একসাথে দুই স্কুলে ভর্তি হয়ে আছে। তারা অন্য স্কুলে ক্লাশ করে। এসময় বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক ইসমাঈল হোসেন বলেন, আমরা স্কুল টিফিন দিয়েছি, সবাই বাড়িতে গেছে। তবে কখন টিফিন দিয়েছেন তার সদুত্তর দিতে পারেনি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমি বাইরে আছি, আপনারা কি পারেন লিখেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আকতার বলেন, বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম