সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার মূল হোতা বাবুকে আটক করেছেন র‍্যাব

 

এনামুল,পঞ্চগড়, প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে বহুল আলোচিত জামালপুরের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করেছে র‍্যাব।

শনিবার (১৭ জুন) ভোর ৫ টার দিকে র‍্যাবের একটি টিম উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

দেবীগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, চর তিস্তাপাড়া এলাকার মোন্তাজ আলী ও মিস্টার নামক দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে বাবুসহ তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে আত্মীয়ের সম্পর্কে রয়েছে। র‍্যাবের ইন্টিলিজেন্স উইং এই অভিযান পরিচালনা করেন এবং র‍্যাব ১৩ পুরো অভিযানে সহযোগিতা করেন বলে জানায় সূত্রটি।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর মামলা করে। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিক সহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাত দেড়টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী নেই তবুও এমপিওভুক্ত হলো স্কুলটি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ছেপড়াঝার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশে আসেনা কোন শিক্ষার্থী, তবুও এমপিওভুক্ত হয়েছে বিদ্যালয়টি। গত ৬ জুলাই প্রকাশিত এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম এসেছে বিদ্যালয়টির। এমন খবরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আনন্দিত হলেও বিস্মিত এলাকার অনেকেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়টি অফিস খোলা হলেও নেই কোনো ছাত্র-ছাত্রী। এই প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে এমপিওভুক্ত হয়,। সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি খোলা থাকলেও ক্লাশে নেই কোন শিক্ষার্থী। প্রতিবেদক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরে তিনজন শিশু-কিশোরকে বিদ্যালয়ে ডেকে আনেন অফিস সহায়ক দাইমুল ইসলাম। পরে একটি শ্রেণি কক্ষে তাদের বসিয়ে দিয়ে একটি করে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির বই দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তাদের কাছে ছিলোনা কোন খাতা, কলম। বাধন নামে এক কিশোর বলেন, আমি স্কুলের পাশে খেলা করতেছি, স্যার আমাকে ডেকে এনে ক্লাশে বসতে বলল।
বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির জীবন নামে এক ব্যক্তি বলেন, এই স্কুলে কিছু ছাত্র/ছাত্রী আছে তারা একসাথে দুই স্কুলে ভর্তি হয়ে আছে। তারা অন্য স্কুলে ক্লাশ করে। এসময় বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক ইসমাঈল হোসেন বলেন, আমরা স্কুল টিফিন দিয়েছি, সবাই বাড়িতে গেছে। তবে কখন টিফিন দিয়েছেন তার সদুত্তর দিতে পারেনি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমি বাইরে আছি, আপনারা কি পারেন লিখেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আকতার বলেন, বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম