৬ সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

 

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়ঃ নবীনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলন, এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ৬ সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন নবীনগর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন।
যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা হলেন, মাহাবুব আলম লিটন (দৈনিক সমকাল), আলহাজ্ব মোহাম্মদ জ. ই বুলবুল (সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক),এশিয়ান টিভি ও দেশরুপান্তর। এবং
সহ-সভাপতি নবীনগর প্রেসক্লাব।
সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল (দৈনিক ভোরের সময়),
মোঃ বাবুল (দৈনিক আমার সংবাদ),মমিনুল হক রুবেল (দৈনিক স্বাধীন বাংলা), মোঃ সফর মিয়া (দৈনিক বর্তমান)।

নবীনগর প্রেসক্লাবের দুই সদস্যসহ ৬ সংবাদকর্মীর নামে মামলা দায়ের কেউই মেনে নিতে পারছে না এবং অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন জেলা ও উপজেলার সংবাদ কর্মীরা।

সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজারের নিচে হলে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের একটা ন্যূনতম বেসিক থাকতে হবে সেটা ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা হোক। এর নিচে নামা যাবে না। এর নিচে যে দেবে সে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বুধবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, সাংবাদিকতা এখন বাংলাদেশে এক ধরনের শোষণমূলক শিল্পে পরিণত হয়েছে। সাংবাদিকদের রক্ত কীভাবে চুষে খাওয়া যায় সেটা করা হচ্ছে। বছরের পর বছর চাকরি করলে বেতন দেয় না। সাংবাদিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য নতুন করে একটা মুভমেন্ট করা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক সাংবাদিক যেন ভালো বেতন পায়। মিনিমাম যাতে একটা ফ্লোর থাকে। বাংলাদেশের সকল সাংবাদিকদের জন্য একটা ফ্লোর বেতন থাকতে হবে। একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। এটা ৩০ হাজার অথবা ৪০ হাজার-ই হোক। এর নিচে নামা যাবে না। এর নিচে যে দেবে সে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আমাদের খারাপ জার্নালিজম করার দরকার নেই। যারা খেটে জার্নালিজম করবেন, তাদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির রাইট দিতে হবে। এবং তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের একটা বেসিক অনুযায়ী বেতন দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনার আমলে কোনো মিডিয়া ফ্রিডম ছিল না। আপনাদের (উপস্থিত সাংবাদিক) হাত দিয়েই এই হাসিনাকে আমরা পুশ ব্যাক করেছি। বাংলাদেশে অকুতোভয় সাংবাদিক থাকলে সেটা হলো মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক এবং ফটো সাংবাদিক। এই আন্দোলনে তাদের অবদান স্মরণীয়।

আলোচনা সভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসউদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েমসহ আরও অনেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম