জমিতে গেলে পা কেটে ফেলার হুমকি দিলেন পুলিশের এসআই: আমজাদ হোসেন

 

এনামুল,পঞ্চগড়,প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের বোদা থানার পুলিশের এক উপ পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের কমলাপুকুরী এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে। মোস্তফা পেশায় একজন ভ্যান চালক।

বোদা থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাড়েয়া কমলাপুকুরি এলাকার রুবেল ইসলাম ৫/৭ দিন আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোস্তফার বিরুদ্ধে বোদা থানায় অভিযোগ দেন। পরে এসআই আমজাদ হোসেন দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন।

এরই প্রেক্ষিতে বোদা থানার এসআই আমজাদ হোসেন শনিবার (৯ জুলাই) রাতে মোস্তফাকে থানায় আসার জন্য বলেন। কিন্তু গতকাল বৃষ্টির কারণে মোস্তফা থানায় যেতে পারেননি। পরে একই দিন রাত ৮টা ৩৯ মিনিটে এসআই আমজাদ হোসেন মোস্তফাকে থানায় না আসার কারণ সম্পর্কে জানতে ফোন করেন। বৃষ্টি থাকায় মোস্তফা থানায় যেতে পারবেন না বললে এসআই আমজাদ হোসেন ক্ষিপ্ত হন।

এই সময় মোস্তফাকে উদ্দেশ্য করে আমজাদ হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কালকে তুই জমিতে যাবি না বাইঞ্চোদের বাচ্চা। তুই জমিতে যাবি তোর ঠ্যাং কাটি ফেলে দিব। কালকে তোক ধরে নে আসার জন্য লোক পাঠাচ্ছি। বাইঞ্চোদের বাচ্চা তুমি ফাজলামো চোদাও। এভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এসআই আমজাদ। তাদের দুইজনের কথপোকথনের এই কল রেকর্ড প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত আছে।

এই বিষয়ে এসআই আমজাদ হোসেন বলেন, মোস্তফাকে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকবার থানায় আসার কথা বলি। শনিবার তিনি থানায় আসতে চেয়েও আসেননি। তাই তাকে ফোন করেছিলাম। পা কেটে ফেলা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

মোস্তফা কামাল বলেন, এই ভাবে একজন আইনের লোক হুমকি প্রদান করলে আমরা সাধারণ মানুষ কার কাছে যাব। তার এই হুমকির পর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিছি। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আমি এর বিচার চাই।

বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এটা তিনি ঠিক করেননি। বিষয়টি আমি দেখছি।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস. এম. সিরাজুল হুদা, পিপিএম কে মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ না করায় কথা বলে সম্ভব হয়নি।

ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ, দুই সাংবাদিকের নামে মামলা

ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ, দুই সাংবাদিকের নামে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. ফজলে রাব্বি ও আরটিভির আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে আখাউড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার।

এর আগে গত ৪ আগস্ট আরটিভি অনলাইন এবং ৭ আগস্ট দৈনিক যুগান্তরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তারের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ওসির নেতৃত্বে ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম এবং কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনের ঘুষ গ্রহণ এবং ঘুষের টাকা ভাগ-বাটোয়ারার কথা তুলে ধরা হয়।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জনান, মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। চাঁদাবাজির পাশাপাশি এবং দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানহানির অভিযোগে আনা হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম