মেঘনায় কাস্টমস অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা ভেঙে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

মো. আনোয়ার হোসেন:

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় মানিকারচর ইউনিয়নের মাতাবের কান্দি গ্রামের নূরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস্ অফিসার পরিচয়দানকারী মো. মনিরুল ইসলাম মুন্সীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মানিকারচর বাজার সংলগ্ন মাতাবের কান্দি গ্রামের রাস্তার পাশে মনিরুল ইসলাম বহুতল ভবন নির্মানের কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে সরকারি রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে এমনটাই দেখা যায়। বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সরকারি রাস্তা, পাশ্ববর্তী স্হাপনাকে সুরক্ষিত ও নির্মাণ কাজের নিয়মনীতিকে অনুসরণ করছেন না কথিত নির্মাণাধীন ভবনের মালিক।

কয়েকজন স্হানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, নির্মাণাধীন ভবনের দক্ষিণ পাশে বিশাল গর্ত করার ফলে রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। অটোরিকশা, সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা  হচ্ছে। এদিকে সিএনজি চালক বাবু মিয়া জানান, রাস্তাটি যেভাবে ভেঙে গেছে এখন ২টা গাড়ি আপ-ডাউন করতে পারছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি সমস্যাটির সমাধান করার জন্য। এমনকি পার্শ্ববর্তী দোকানদার ও অন্যান্য লোকজন এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেও দেখা যায় এবং ভবন মালিকের দাপুটের কাছে তারা নিরব ভূমিকা পালন করছেন বলে জানিয়েছেন।

বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় এক সাংবাদিক তার নিকট উপস্থিত হলে বক্তব্য না দিয়ে তিনি বলেন, আমি কাস্টমস অফিসার ছিলাম। চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে এ ধরণের সাংবাদিককে কোন পাত্তাই দিতাম না।

আমাদের এ প্রতিবেদককে ভবন মালিক জানিয়েছেন, আমাকে এসিল্যান্ড এসে লাল ফিতা দিয়ে মেপে দিয়ে গেছেন। আমি সে অনুসারে কাজ করে যাবো। আর যে রাস্তাটুকু ভেঙে গেছে সেই রাস্তাটুকু এসিল্যান্ড স্যার বলে গেছে ঠিক করে দিতে। আমি স্যারের কথামতো ঠিক করে দিবো।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসছে। তারপর আমি সরেজমিনে গিয়ে মেপে দিয়ে আসছি এবং বলে দিয়ে আসছি যেটুকু রাস্তা ভেঙে গেছে, সেটুকু রাস্তা ঠিক করে দিতে।

সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক যুগান্তর সাংবাদিক ও কলেজ পড়ুয়া কন্যা গুরুতর আহত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গত ৩০ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মিয়াবাজার ফুড প্যালেস হোটেলের সামনে ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোমবার সন্দ্ব্যায় লালমাই থেকে চৌদ্দগ্রাম যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের মুখোমুখি হয়ে দৈনিক যুগান্তর লালমাই প্রতিনিধি আবুল কালাম মজুমদার ও উনার বড় মেয়ে কুমিল্লা প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার পড়ুয়া ছাত্রী উম্মে হানী মজুমদার সুকেতা, (২০) অন্য প্রাইভেট কারের আরোহী শাহানাজ আক্তার লাভলী নামে জনৈক ব্যক্তি যিনি অধ্যক্ষ কনকাপৈত আলহাজ্ব নূর মিয়া ডিগ্রি কলেজ সবাই মারাত্মকভাবে আহত হন।

জানা যায় মহাসড়কে রাতে রাস্তার সংস্কারের জন্য একদিকের গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে গিয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে আসা প্রাইভেট কারের সাথে সংঘর্ষ হয়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দূর্ঘটনার পরপর আবুল কালাম মজুমদার ও তাঁর মেয়ে কে মিয়াবাজার ফেমাস হসপিটালে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয় এবং অর্থপোডিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ আব্দুল হকের চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং প্রাথমিক অপারেশন করা হয় এবং আগামী ২/১ দিনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পংগু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা যায়। অন্য দিকে শাহানাজ আক্তার লাভলী বর্তমানে ঢাকা গ্রীণ রোডে সেন্টাল হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন কে জানতে চাইলে সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। বর্তমানে দুটি প্রাইভেট কার থানা হেফাজতে আছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম