বিশ্বনাথে ৩৪ রোগীর চিকিৎসা সহায়তায় ১৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ

 

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে ৩৪ জন জটিল রোগীর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ১৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২রা এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে ওই চেক বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত ক্যান্সার, কিডনী, লিভারসিরোসিস, স্টোক, প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত জটিল রোগীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এককালীন ৫০ হাজার টাকা ৩৪ জনকে ও জামেয়া মাদানিয়া এতিমখানায় ৪ লাখ ৮ হাজার ও দারুল-হিকমা এতিম খানায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬শত ৫৭ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের পরিচালনায় চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম. নুনু মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ আরব খান, বিশ্বনাথ রোগী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মধু মিয়া।
এসময় বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. দয়াল উদ্দিন তালুকদার, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম উদ্দিন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আশিক আলী, বিশ্বনাথ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারি কর্মকর্তা শামীম আহমদ, তাওহিদ, রতন চন্দ্র রায়, মাসুদ রানা, উপজেলা ধারাভাষ্য এসোসিয়েশনের সদস্য আরকুম আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

মোতায়াল্লি অপহরণ চেষ্ঠায় জড়িত দুই পুলিশ সদস্য!

সিলেট প্রতিনিধি ॥
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় একটি মসজিদের মোতায়াল্লিকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ চেষ্টার সঙ্গে দুই পুলিশ কনস্টেবল জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। বাদীর দায়ের করা সিআর মামলা তদন্ত করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।শুধু তাই নয়, ওই প্রতিবেদনে আরও দুইজনকে আসামি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

গত ১১ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এর কাছে তেমনি এক অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী।

অপহরণ চেষ্ঠার ঘটনায় গত ১ মার্চ আদালতে বাদী হয়ে এই মামলা করেন বেতসুন্দি ফকিরেরগাঁও গ্রামের মসজিদের মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিন (৬৫)।

আর এই অপহরণের চেষ্ঠার সঙ্গে জড়িত দুই পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছেন- ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ব্রম্মণহাতা গ্রামের হেফজুল বারীর ছেলে শরীফ রানা (৩৭) ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার কাছিরগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০)। তার মধ্যে কনস্টেবল শরীফ রানা ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর কোতোয়ালী মডেল থানায় ৩৯২ ধারায় দায়ের করা ১১নং একটি মামলার আসামি হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পিবিআইয়ের এই প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দুজন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন মোগলাবাজার থানার গঙ্গারচক আলমপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নিজামুল হক লিটন (৩৭)। মামলা দায়েরের পর তিনি মৃত্যুবরণ করায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বাকি একজন হচ্ছেন অপহরণের চেষ্ঠার মুল পরিকল্পনাকারী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বেতসুন্দি ফকিরের গাঁও গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ (৩৬)।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেতসুন্দি ফকিরের গাঁও নামক স্থানে থাকা শাহ আব্দুর রহিম (র,) মাজারের আধিপত্য নিয়ে আসামি আব্দুস শহীদ ও মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিন (৬৫) এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জের ধরে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি নোহা গাড়ি দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিনকে অপহরণের চেষ্ঠা করা হয়। যা নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজে তিনজনকে দেখা যায়। আর এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে আদালতে ওই সিআর মামলাটি দায়ের করেন।

জানতে চাইলে পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী বলেন, বাদী তার মামলায় একজনের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ও তদন্তপূর্বক গাড়ির চালকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বাকি আসামিদের শনাক্ত করেছি। এছাড়াও মামলার বাদী আসামিদের শনাক্ত করেছেন বলে তিনি জানান।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম