রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দ্বিতীয় মেয়াদে জেনিথ লাইফের শিক্ষার্থী বিমা চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রথম মেয়াদে সফলতার পর আজ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: অবায়দুর রহমান প্রামানিক এবং জেনিথ লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ অবায়দুর রহমান প্রামানিক এবং জেনিথ লাইফের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোঃ আব্দুস সালাম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক এস. এম. একরাম উল্লাহ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর মোঃ সায়েদুজ্জামান মিলন, উপ-রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) এ এইচ এম আসলাম হোসেন, উপ-রেজিস্ট্রার আবু মোঃ তারেক এবং জেনিথ ইসলামী লাইফের রাজশাহী কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ইদ্রিস আলী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোসাঃ রাবেয়া বসরী উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী দুর্ঘটনা অথবা অসুস্থতার কারণে ইনডোর চিকিৎসা বাবদ বার্ষিক সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা এবং আউটডোর চিকিৎসা বাবদ বার্ষিক সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা পাবেন। তাছাড়া কোন শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করলে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক পাবেন ২ লাখ টাকা।

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে ইজারার নামে চলছে চাঁদাবাজি

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৫৭ নং ওয়ার্ডে টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতন বাজার হিসাবে সুপরিচিত টঙ্গী বাজার। এই বাজারটি প্রতিবছর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়। ইজারাদার সিটি কর্পোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো ইজারার নামে চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ দেখার কেউ নেই? সপ্তাহের প্রতি শনিবার রাত ৯টা থেকে রবিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয় চলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্য এনে এখানে পাইকারী ক্রয় বিক্রয় করে। সিটি কর্পোরেশনের ইজারার একটি আইন থাকলেও ইজারাদাররা সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের ইচ্ছামতো ইজারার নামে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইজারাদার প্রতিটি দোকান থেকে ইজারার নাম করে ৬ শত টাকা আদায় করছে। দোকানদারদের দেওয়া হচ্ছে না কোন রশিদ। এছাড়াও আলাদা করে প্রতিটি দোকাদান থেকে আদায় করা হচ্ছে বিট ভাড়া বাবদ ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়াও আরে দেখা যায়,ঝাড়ুদার ও নাইট গার্ডের নামে আদায় করা হচ্ছে আরো প্রায় ১/২ শত টাকা, সব মিলিয়ে প্রতিটি দোকানদা থেকে ১৫ শত টাকা হইতে ২ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক দোকানদার গণ জানান, আমার প্রতি শনিবার রাতে কাপড় বিক্রয় করতে আসি এই টঙ্গী বাজারে,আমরা সিটি কর্পোরেশন এর রাস্তার উপর ২/৩ হাত জায়গার উপর দোকান বসিয়ে কাপড় বিক্রয় করি কিন্তু বর্তমান ইজারাদার তার ইচ্ছে মতো ইজারার টাকা আদায় করে।দেখা যায় সব সাপ্তাহে ক্রয়-বিক্রয় সম্মান হয় না এমন হয় একদম বিক্রি হয় না, তখন যদি আমরা টাকা দিতে একটু দেরি করি তাহলে আমাদের উপর চলে নির্যাতন। আমরা ভয়ে বাড়ী থেকে আনা টাকা থেকে তারা যা চায় তাই দিয়ে দেই। বর্তমানে আমরা একটি দোকানের ইজারার ৬ শত টাকা সহ মোট ১৫ শত টাকা হইতে ২ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর সম্পত্তি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান মৃধার সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, টঙ্গী বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে, সিটি কর্পোরেশনের যে সকল বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা সিটি কর্পোরেশনের সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা আদায় করবে। সরকারি নিয়মের বাহিরে যদি কেউ অতিরিক্ত খাজানা আদায় করে,যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সেই ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ( চলবে)

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম