জয়েন্ট স্টকের রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার কাওরান বাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবনের ৭ম তলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ পরিদপ্তর রেজিষ্ট্্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস (আরজেএসসি) যেখানে লিমিটেড কোম্পানী, পার্টনারশিপ ফার্ম, সোসাইটি ইত্যাদি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। এবার অত্র পরিদপ্তরের রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান (এনডিসি) অতিরিক্ত সচিব এর বিরুদ্ধে ভয়াবহ ঘুষ- দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, প্রত্যেকটি ফাইলের বিপরীতে মোটা অংকের ঘুষ না পেলে এ অফিসের কোন ফাইল নড়ে না।
২০২৪ সালের প্রথম দিকে মিজানুর রহমান অত্র অফিসে যোগদানের পর থেকে অফিসটিতে ঘুষ দুর্নীতির মাত্রা
চরম আকার ধারণ করে এবং এ অফিসে বহিরাগত দালাল শ্রেণীর লোকদের দে․রাত্ম অনেক বেড়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে কোম্পানী আইনজীবীদের একমাত্র রেজিষ্টার্ড সংগঠন ”বাংলাদেশ কোম্পানী ল’ প্র্যাকটিশনারস্
সোসাইটির পক্ষ থেকে অত্র অফিস থেকে অননুমোদিত ব্যক্তি ও দালালদের নির্মূল করতে এবং বৈধ ও আইনগত প্রতিনিধিদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে বারবার উক্ত রেজিষ্ট্রারের সাথে মৌখিক ও লিখিতভাবে
আবেদন জানালে রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান এতে কোন প্রকার কর্ণপাত না করে বরং দালালদের সাথে গোপন
বৈঠাক করে ও তাদের সাথে আতাঁত করে নির্বিঘ্নে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কোম্পানী আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তার সাথে বারবার বৈঠাক করার জন্য আবেদন নিবেদন করেও আইনজীবীরা তার সাথে বৈঠাক
করতে ব্যর্থ হন।
অভিযোগ উঠেছে, এ অফিসে যোগদানের পর থেকেই উক্ত রেজিষ্ট্রার অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্য
বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং ঘুষ বৃদ্ধি করার নানা ফন্দি বের করেন। সে লক্ষ্যে ছোট বড় সব ফাইল রেজিষ্ট্রার পর্যায় ব্যতীত নিষ্পন্ন হবে না মর্মে তিনি ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে একটি নোটিশ জারি করেন এবং সকল
ফাইল তার কাছে নিয়ে আসেন। যার ফলে অফিসের কাজের গতিশীলতা হারায় এবং ফলশ্রুতিতে স্টেক হোল্ডারগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
অভিযোগ উঠেছে, টাউট-দালালদের সাথে আতাঁত করে মিজানুর রহমান, হাজারো ডিভিসি ফেল এমন কোম্পানীর ফাইল প্রত্যেকটিতে ২-৩ লক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করে বেআইনীভাবে রেকর্ডভুক্ত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি রিভিউ আবেদনকৃত কোম্পানী, সোসাইটির নামের ছাড়পত্র দিতে
তিনি ১০-২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন।
গত ৩০ মে ২০২৪ ইং তারিখে বাংলাদেশ কোম্পানী ল’ প্র্যাকটিশনারস্ সোসাইটির কতিপয় আইনজীবী আরজেএসসিতে গিয়ে বেশ কিছু টাউট-দালালের উপস্থিতি লক্ষ্য করলে আইনজীবীরা টুটুল নামের একজন
চিহ্নিত দালালকে হাতে নাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরদিন ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখে কোম্পানী আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ
আরোও কিছু মিথ্যা অভিযোগ এনে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোম্পানী ল’ প্র্যাকটিশনারস্ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, আরজেএসসির বর্তমান রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমানের যাবতীয় অপকর্মের বর্ননা দিয়ে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আমাদের আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে গত ২৭/০৬/২০২৪ ইং তারিখে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও বাণিজ্য সচিব বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। সঠিক তদন্তপূর্বক দুদক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করি। এ বিষয়ে মিজানুর রহমানের সাথে বার বার যোগাযোগ ও খুদেবার্তা পাঠিয়ে কোন মন্তব্য পাওযা যায়নি তবে সরকারি রেজিস্ট্রার উনার ফোন দিয়েই প্রতিবেদনকে বলেন স্যার মিটিং কিন্তু সকাল থেকে রাত হলেও মিটিং শেষ হয়নী তাই। (চলবে)

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদন্নোতি কীর্তিতে বিসিএস ক্যাডারে ক্ষোভ!

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত, স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের আর্শীবাদপুষ্ট বিসিএস কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদন্নোতি প্রদান করায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসএসবি কমিটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিসিএস কর্মকর্তারা। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমান দেশ পরিচালনা করছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির আওয়ামী লীগ সরকার। যে কারণে প্রশাসনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির কর্মকর্তাদের গুনুত্বপূর্ণ পদে পদন্নোতি পাওয়ার কথা। কিন্তু ইদানীং ঘটছে তার উল্টোটি। দেখা যাচ্ছে যে সব কর্মকর্তা সরকারের ভাবমুর্তি উজ্জল করা করার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছেন তাদের বাদ দিয়ে যে সব কর্মকর্তা জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক পারপাস সার্ভ করছে তাদেরকে লোভনীয় পদে পদন্নোতি দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিসিদের রিপোর্টও আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে, গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিসিদের নেতিবাচক রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও ওই সব কর্মকর্তাদের পদন্নোতি দেওয়া হেেয়ছে। গত বৃহস্প্রতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসএসবি কমিটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এরকম ২৫ জন কর্মকর্তাকে পদন্নোতি দানের সারসংক্ষেপ তৈরী করে প্রধানন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করে। গত রবিবার সেটির জিও করে প্রাণিনম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে একটি বিশেষ সুত্রে জানাগেছে।

এই পদনোœতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে মো. শাহজামান খান তুহিন নামে প্রাণিসম্পদ ক্যাডারের একজন বিসিএস কর্মকর্তা রয়েছেন। যিনি বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্য্লয়ে ২ ছাত্রলীগ নেতা ( রনজিত ও কামাল) হত্যা মামলার ১৩ নং আসামী ছিলেন । মো. শাহজামাল খান তুহিন ১৯৯০-৯১ শিক্ষা বর্ষে ছাত্রদলের প্যানেলে বাকসুর সদস্য নির্বচিত হন। ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষা বর্ষে ছাত্রদলের প্যানেলে বাকসুর সংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই পদন্নোতির তালিকায় তার শীর্ষে রয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসএসবি কমিটির এ ধরনের কর্মকান্ডে বিসিএস ক্যাডারের স্বাধীনতার স্বপক্ষের কর্মকর্তারা যারপর নাই বিস্মিত হয়েছেন। তাদের প্রশ্ন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ধরনের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নেয় কিভাবে ?

এ ক্ষেত্রে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এবং তারা অনতিবিলম্বে শাহাজামান খান তুহিনসহ এই ২৫ জন কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বাধীনতার বিপক্ষের কর্মকর্তাদের পদন্নোতির জিও স্থগিত করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিসিএস কর্মকর্তাদের পদন্নোতি বিবেচনা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান