অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার সংস্কার চান হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর শান্তিনগরে অবস্থিত হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াসিউল মাসুম ও প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুক্তাদির কে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তারা জানান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠ সহচর,স্বঘোষিত প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুক্তাদির আওয়ামী প্রশাসনকে ব্যবহার করে কলেজে দুর্নীতি ও নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মোহাম্মদ মুক্তাদির কলেজে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পরে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে নিজেকে প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দাবি করে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। আওয়ামী প্রশাসন কে ব্যাবহার করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত ২০২১ সালের জনবল কাঠামো এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন করে, সিনিয়র শিক্ষকদের সম্পুর্ন অন্ধকারে রেখে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর ক্ষমতাবলে তার ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তাদিরের জোগসাজকের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সিনিয়র দুইজন শিক্ষক কে বাদদিয়ে সিরিয়ালে থাকা তৃতীয় নাম্বরের ( মার্কেটিং) শিক্ষক ওয়াসিউল মাসুমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন।

সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠ সহচর, অত্র কলেজের প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মুক্তাদির ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ব্যবহার করে সাধারণ ছাত্র,ছাত্রী, কলেজের কর্মচারী, এবং শিক্ষক–শিক্ষিকা বৃন্দকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা যেনো আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে না পারে তার জন্য সে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে, এবং হুমকি প্রদান করে।

অভিযোগ আছে, মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে কলেজের কোন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে শিক্ষক, কর্মচারীদের, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মানসিক এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা ভূইয়াকে অফিস কক্ষে তার অনুসারী শিক্ষককে দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করে। কলেজ কর্মচারীদের অভিযোগ থেকে জানা যায় বিভিন্ন দপ্তরের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তাদিরের যোগসাজকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হতো। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় অত্র কলেজের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলে (২৮,৪,২৪ ইং) রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। সেখানেও সে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং মনিরুজ্জামানকে নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।

অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী এবং সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা, অনতিবিলম্বে এ সমস্ত দলবাজ, দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের দ্রুত কলেজ থেকে অপসারণ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

পাঠ্যবইয়ে ঠাঁই পাচ্ছে শহীদ তিতুমীর থেকে মীর মুগ্ধ, আবু সাঈদ,আসাদ ও নূর হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার: 

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ তিতুমীর থেকে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শহীদ মীর মুগ্ধ, আবু সাঈদদের আত্মত্যাগ ঠাঁই পাচ্ছে পাঠ্যবইয়ের পাতায়। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে শহীদ আসাদ ও নূর হোসেনের দেশপ্রেমও। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিগগিরই মাধ্যমিকের পাঁচটি বই ছাপানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে. এম রিয়াজুল হাসান।

প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছিল নভেম্বরেই। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বই বিতরণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নযোগ্য নয়, সে সিদ্ধান্তেই ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে গেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। তবে, এর মধ্যেও কিছু পরিমার্জন ও সংশোধন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাঠ্যবইয়ের কভারে সংযুক্ত হচ্ছে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা প্রতিবাদ-দেশপ্রেমের গ্রাফিতি। থাকছে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তি জেন-জিদের গল্প গাঁথাও। আরো কিছু পরিববর্তন থাকছে পাঠ্যবইয়ে।

এবার ৪১ কোটির বেশি বই ছাপবে এনসিটিবি। গত বছরের তুলনায় যা সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি। ২০১২’র কারিকুলামে ফেরা বড় চ্যালেঞ্জে হয়ে পড়েছে ২০২৬ এ এসএসসিতে বসতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাপানোর সিদ্ধান্তের কথাও জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।

যদিও বছরের প্রথম দিনে সব বই শিক্ষার্থীরা পাবে না, তবে জানুয়ারিতেই সব বই দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করছে এনসিটিবি।

 

সবা:স:সু-২২৩/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম