সড়কবাতি বন্ধ করে দিতেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ঝুলন ছাত্রলীগকে টাকা ও অস্ত্র দেন মেয়র রেজাউলের পিএ

স্টাফ রিপোর্টার:

চট্টগ্রামে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় সড়কের বাতি বন্ধ রাখার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হলেন সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ। এছাড়া এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে একটি তিন সদস্যর কমিটিও গঠন করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী হোসেন আওরঙ্গজেব নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে প্রকৌশলী ঝুলনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় সিটি কর্পোরেশন।

একইসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ একাধিক দাবিও পেশ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।

তারা অভিযোগ করেন, সড়কবাতি বন্ধ রেখে রাতের আঁধারে ছাত্র-জনতার ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। গুলিও করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের নির্দেশেই সড়কবাতি বন্ধ করা হয়।

একইসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ একাধিক দাবিও পেশ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। সে কারনে তাকে গতকাল অব্যাহতি দেয়া হযেছে পদ থেকে।

তারা অভিযোগ করেন, সড়কবাতি বন্ধ রেখে রাতের আঁধারে ছাত্র-জনতার ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। গুলিও করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের নির্দেশেই সড়কবাতি বন্ধ করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মেয়র রেজাউলের ব্যক্তিগত সহকারী হোসেন আওরঙ্গজেব আন্দোলন দমানোর জন্য ছাত্রলীগকে টাকা ও অস্ত্র দিয়েছেন।

দুর্নীতি তদন্ত কমিটিতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লফিফুল হক কাজমীকে আহ্বায়ক এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমকে সদস্যসচিব এবং সদস্য করা হয়েছে আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনকে।

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। এ সময় কার্যালয়ে প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশকে না পেয়ে প্রধান কার্যালয়ে যায় তারা। পরে বিক্ষোভকারীরা ৯ দফা দাবিসহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেন।

আস্ত পাহাড় গিলে খাচ্ছে সাগরিকা প্রিন্টার্সের আমজাদ!

ফরহাদ- চট্টগ্রাম :

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পাহাড়। পাহাড় ভূমিকম্প থেকে রক্ষার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখে। আর এজন্যই বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পাহাড় কাটাতো দূর সেখানে পরিবর্তন পরিবর্ধন করাটাও দন্ডনীয় অপরাধ। এবার চট্টগ্রামে সেই আইনকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেতেছে সাগরিকা প্রিন্টার্সের মালিক আমজাদ নামক এক ব্যাক্তি। তিনি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্বে আছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে বেপরোয়া হয়ে উঠা এই ক্ষমতাধর ব্যক্তি ক্ষমতার ষোল আনাই যেন প্রয়োগ করে এখন গিলে খাচ্ছেন আস্ত এক পাহাড়। আর এতে করে একদিকে যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে ঠিক তেমনিই আবার প্রাণনাশের হুমকিতে পড়ছে সেখানে বসবাসকারী ভাড়াটিয়ারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের আকবর শাহ্ থানার অন্তর্গত মীর আওলিয়া মাজারের পাশে অবস্থিত সাগরিকা প্রিন্টার্সের কোল ঘেষে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে একটি সুবিশাল পাহাড়। অভিযোগ উঠেছে সেই পাহাড়টির ৪টি টিলা কেটে সেখানকার একটিতে স্থাপনা নির্মান করে সাগরিকা প্রিন্টার্সের মালিক আমজাদ। এছাড়াও আমজাদের নেতৃত্বে আরও তিনটি টিলা কেটে সেখানে স্থাপনা নির্মানের উপযুক্ত করে রাখা হচ্ছে। যদিও এখনও কাজের প্রায় অনেকটাই বাকী আছে। তবে আস্ত একটা পাহাড় যে এই পাহাড়খেকোর পেটে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে সেখানকার পরিস্থিতি। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। হুমকিতে পড়ছে জীববৈচিত্র্য, ধ্বংস হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার পাহাড়ে বসবাসকারী এক ব্যাক্তি বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকেই আমজাদ সাহেবের লোকজন কোদাল, খন্তা দিয়ে পাহাড় কাটে। প্রায় তিন মাস যাবত প্রতিদিনই একটু একটু করে কাটছেন তার লোক। আমরা ভয়ে কিছু বলি না। শুনেছি তিনি নাকি এলাকার প্রভাবশালী লোক। থানায় উঠাবসা আছে তার। কিন্তু তিনি এই পাহাড় কাটার কারনে আমরা ভয়ে আছি। এখানে একাধিকবার পাহাড় ভেঙ্গে আমাদের টিনের চালের উপর পড়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

রুবেল হোসেন নামক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, শুনেছি পাহাড়ের উপরে তিনি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একটি সুবিশাল কারখানা করবেন। আর এজন্যই সেখানে পাহাড় কেটে সমান করছেন। এর আগেও এখানে পরিবেশের অনেক লোক এসেছে কিন্তু কাউকেই কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।

পরিবেশবিদরা বলছেন, পাহাড় কাটার বর্তমান আইনটি সংশোধন করে কঠিন শাস্তির বিধান রেখে আইনটিকে সংস্কার করতে হবে। তবেই পাহাড় কাটা রোধ করা সম্ভব হবে। অন্যথায় পাহাড় কাটা বন্ধ করা না গেলে হুমকির মুখে পড়বে চট্টগ্রামসহ সারা দেশ। ভয়াবহ আকার ধারন করবে বন্যা, ক্ষয় হবে ভূমি, জলাবদ্ধতা নিরসন করা কখনোই সম্ভব হবে না। এ ছাড়াও পাহাড় কাটার ফলে প্রতিনিয়তই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে জানতে সাগরিকা প্রিন্টার্সের মালিক জনাব আমজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে উক্ত বিষয়ে বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হয়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের