প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে চলছে বদলী বানিজ্য আর চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার:

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সাবেক সৈরাচারি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার ঘটনাকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার শুরু করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সরকার গঠন করার আগেই প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরে গণবদলী শুরু হয়েছে।

গত ০৮ আগষ্ট রাতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ গ্রহণ করেন। ঐ একইদিন দুপুরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পদে  কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বদলী করা হয়েছে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কে। সামনে এই তালিকা আরো দীর্ঘ হবে বলেও একটি সূত্র জানায়। দেশের চলমান পরিস্থিতিকে পুঁজি করে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি অসাধু  মহল মোটা অংকের অর্থ ঘুষ লেনদেনের বিনিময়ে সচিবকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে এই বদলি বানিজ্য করে যাচ্ছে অভিযোগ আছে।

সূত্রটি আরো জানায়, বেশ কয়েকজন প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের গুনজন চলছে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি কমিটি রয়েছে যারা বোর্ড মিটিং করে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগদানের সুপারিশ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে নিয়োগপত্র জারী হয়। তদ্রুপ অপসারণেও তেমনি একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম।

সূত্র জানায়, প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের বড় একটি প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দিতে নোয়াখালি জেলায় কর্মরত এক কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ লেনদেন করা হয়েছে। আর যে কোন সময়ে তার পিডি নিয়োগের ব্যাপারে জিও জারি হতেপারে। কোন প্রকার সক্ষমতা জাচাই না করেই মফস্বল থেকে কর্মকর্তাদের পিডি নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকার লেনদেন করতে চরম ব্যাস্ত ঐ প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের অসাধু চক্রটি। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি অসাধু মহলের প্রেসক্রিপশন  এবং সচিবের যোগসাজসে মন্ত্রনালয়ের নতুন উপদেষ্টা মিস ফরিদা আক্তার কে বিতর্কীত করতে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরে এমন বদলী বানিজ্য করছেন বলেও  অনেক কর্মকর্তা মনে করছেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর কে সরকারী মুঠোফোনে (০১৭১৩০৬৩৭১১) একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে বিশেষ দলের পরিচয়ে দলীয় অনুষ্ঠানের নাম করে  অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদাবাজি করছে একটি মহল। নাম না প্রকাশ করার শর্তে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সমাজের সমন্বয়কদের বক্তব্য উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে বলেন, অন্তবর্তী কালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের বিবেচনায় কর্মকর্তাদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী তারা বদলি পদোন্নতির ব্যবস্থা করবেন এর বাইরে রাতারাতি বা চোখে নিমেষে যদি কোন খামখেয়ালী বদলী-পদায়ন করা হয় সে ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অনেকটাই শৃংঙ্খলা হীন হয়ে পড়বেন এবং মনোবল হারাবেন বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের অসাধু চক্রটি নতুন উপদেষ্টার অনুগ্রহ পেতে তাঁকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানাতে মরিয়া।

পিবিআইয়ের  প্রতিবেদনে নারাজি জানালেন মুনিয়ার বোন নুসরাত তানিয়া

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজ বছরের প্রথম দিনে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ চাঞ্চল্যকর মুনিয়া হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

নুসরাত জাহান তানিয়া আজ বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ আবেদন করেছেন। বিচারক বেগম মাফরোজা পারভিন মামলার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বছরের ১২ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন।

তদন্ত প্রতিবেদনে, আইও বলেছেন, তিনি আনভীর এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাননি। অথচ নাগরিক টিভি আনভীরের বাসায় একাধিকবার উপঢৌকন নিতে আশরাফের যাতায়াতের প্রমান পেয়েছে। এই তদন্তকারী কর্মকর্তা আশরাফ মূলত আনভীরের কেনা গোলাম এবং তিনি বিপুল অংকের টাকা আনভীরের থেকে উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

আনভীরের সেবাদাস আশরাফের সাজানো তদন্ত প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল আনভীরকে এই মামলা থেকে বিনা জিজ্ঞাসাবাদে অব্যাহতি প্রদান করা। দৃশ্যমান এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবুজ বাংলাদেশ  জাগ্রত আছে। মুনিয়া হত্যার ন্যায়বিচারের স্বার্থে যারাই এ মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের দিকে নজর রাখছে। সত্য অবশ্যই প্রতিষ্ঠা পাবে, অর্থ দিয়ে আনভীরকে সানভীরের মতো পার পেতে দেবো না।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম