কুয়াশা শিশির ভেজা সকাল যেন শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে

বাবুল রহমান রবিন:গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:

আগামনী বার্তা দিচ্ছে শীত ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে ভোরে শীতের সঙ্গে দেখাও মিলছে ঘন কুয়াশার ভোরের কুয়াশায় গাইবান্ধায় শীত অনুভুত হচ্ছে গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হতে শুরু করেছে শীতের পরশ। ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কুয়াশার দেখা মিলছে।
ধানের পাতায়, ঘাসের ডগায় জমতে শুরু করেছে শিশির বিন্দু। পায়ের স্পর্শে অনুভূত হচ্ছে হিমেল পরশ। সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।

সকালের রোদে মিষ্টি ভাব বার্তা দিয়ে যায়, প্রকৃতিতে শীত এলো বলে শরৎ শেষে হেমন্ত নামছে এরপরেই শীতকাল। কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এখন থেকেই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা উত্তরঅঞ্চলের জেলা গুলোতে এরইমধ্যে দেখা মিলছে ভোরের শিশির আর কুয়াশা।

তবে গ্রামাঞ্চলেও দিনভর আবহাওয়া অনেকটা গরমই থাকছে। দিনশেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে হালকা কুয়াশা।শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন এলাকার এক প্রবীন বলেন, হঠাৎ করেই আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ে গেছে। নামাজ শেষে হাঁটতে বের হই। প্রকৃতিতে নতুন কুয়াশা দেখে ভালোই লেগেছে। এই কুয়াশায় জানান দিচ্ছে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে।

গাইবান্ধা পুরাতন বাজারের বিভিন্ন পাইকারি সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, কুয়াশা বেশি হলেও খুব বেশি শীত পড়েনি। আর বেলা ১০ টার পর থেকে হালকা গরম লাগে।

বাসায় একজন মরে পড়ে আছে পুলিশ যেন লাশ নিয়ে যায়

বাসায় একজন মরে পড়ে আছে পুলিশ যেন লাশ নিয়ে যায়

নীলফামারী সংবাদদাতা:

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে কোয়ার্টার থেকে আলেমা বেগম (৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির কোয়ার্টার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে জাহিদুল ঢাকার বিক্রমপুর থেকে আলেমা বেগমকে তার কোয়ার্টারে নিয়ে আসেন। পরদিন থেকে ওই কোয়ার্টারে তালা ঝুলছিল। মঙ্গলবার সকালে পাশের বাড়ির ভাড়াটে সেলিনা বেগমকে ফোন করে জাহিদুল জানান, তার বাসায় একজন মরে পড়ে আছে। পুলিশ যেন লাশ নিয়ে যায় এ কথা বলে তিনি কল কেটে দেন।

এর পরপরই সেলিনা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানান, জাহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব চাপড়া গ্রামে। তার বাবা মৃত জামাল উদ্দিন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন লাশ ও বাসা জিম্মায় নেয়া হয়েছে। রংপুরের পুলিশের ক্রাইম সিন টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর লাশ থানায় নেয়া হবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান নিহতের স্বজন এবং জাহিদুল ইসলামকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম