উপজেলা পর্যায়েও সাংবাদিকের নির্যাতন হলে শেষ দেখে ছাড়বে ডিএমসিআরসি

সরকারি নিবন্ধিত সাংবাদিক সংগঠন ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি আজ ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) এক বিবৃতিতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংগঠনটির মুখপাত্র মুহাম্মদ আবু আবিদ এর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আসায় আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক ৯ দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। এর পরেই আছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মেক্সিকো। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন ও তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। একইসাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে উপজেলায় পর্যায়েও হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন সাংবাদিকবৃন্দ।

অতিশীঘ্রই আমরা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধে একটি সেল গঠন করা উদ্যোগ গ্রহন করব। সেই সেল প্রতি মাসে কতজন সাংবাদিক কিভাবে,কেন, কোথায় নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তা সরকার ও জাতির সামনে লিখিত আকারে প্রকাশ করবে। আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম সোসাইটির কাছে প্রমান থাকা সত্ত্বেও যদি বাংলাদেশের সরকার থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয়, তবে আমরা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আদালতে মামলা করব।

অবশেষে একটি কথাই বলতে চাই, জাতীয় সাংবাদিক কিংবা মফস্বল বলতে আমাদের কাছে কোন শব্দ নেই। আমরা সকল সাংবাদিক একটিই পরিবার। তাই যেকোন জায়গায় সাংবাদিক নির্যাতনে আমরা সোচ্চার থাকব এবং প্রতিটি ঘটনার শেষ দেখে ছাড়ব। ”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আবিদ জানান, যুগের পর যুগ ধরে সাংবাদিক নির্যাতন হয়ে আসছে। প্রধান শহরগুলোতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে বিচার না হলেও অন্তত পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিবৃতি দেয়। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের নির্যাতনের কথা রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাদের বিচার পাওয়া তো দূরের কথা, বরং নির্যাতিত সাংবাদিক আরও লাঞ্চনার স্বীকার হয়। তাই আমার সেল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। ঐ সেলে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে। বিনামূল্যে একেবারে মফস্বল পর্যায়ের নির্যাতনের বিচার পাইয়ে দেয়ার প্রয়াস আমরা করছি। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সেল গঠন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে আপনাদের সব জানিয়ে দেয়া হবে।

বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর হলেও গণমাধ্যমের সংস্কার ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় বারবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ফাউল আচরণ করছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে। সাংবাদিক সমাজ তা সহ্য করবে না। গত সতেরো বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাংবাদিকরা সাহসী সাংবাদিকতা করছে। কিন্তু তাদের বঞ্চিত করে কথিত সাংবাদিকদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। এটি সাংবাদিকরা মেনে নেবে না। আমরা যে ঐক্যবদ্ধভাবে হাসিনাকে হটিয়েছি তেমনি আমাদের এখনও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেসব মিডিয়াতে স্বৈরাচার দোসররা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য গঠিত হয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অন্যায্য কাজকে আমরা মেনে নেবো না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা কাদের প্রমোট করছে জাতি জানে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন কারও ঠাঁই হবে না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, আজ আনন্দ ও বেদনার দিন। ফ্যাসিবাদের পতনে আমাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। গণতন্ত্র সুরক্ষা ও ফ্যাসিবাদের বিচার করতে হবে। ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না এটাই ঠিক। আমি জানি না রাজনৈতিক দলগুলো কেন নীরব। ভারতীয় চ্যানেল কেন বন্ধ হচ্ছে না? কিছু কিছু উপদেষ্টার অপরিপক্বতা ও অজ্ঞতা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এতদিন ছিলেন না। আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত করতে সরকারের বোধোদয় হবে।

সাইবার সিকিউরিটির সমালোচনা করে বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরি বলেন, কালো আইন সাইবার সিকিউরিটি আজও বাতিল করা হয়নি, এটা দুঃখজনক, হাসিনার সময়ে গুম খুন হয়েছে, এখন মব চলছে। ১৭ বছর ধরে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আমরা চাই নির্বাচিত সরকার। কিন্তু সংস্কারের মুলো ঝুলিয়ে এক বছর হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আমরা পাই নাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট আসতে দেওয়া হবে না। আর কোনো সাংবাদিকের প্রাণ হারাতে দেবো না। আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করা হলে সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। খুনি হাসিনা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা ১৭ বছর রাজপথে ছিলাম। আমাদের আর রাস্তায় নামাবেন না। তাহলে হাসিনার পরিণতি হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম,বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাংবাদিক নেতা আরফানুল আইন, মুরসালীন নোমানী, আবু সাহেহ আকন, নিজাম উদ্দিন উদ্দিন দরবেশ, আব্দুল্লাহ মজুমদার, খন্দকার আলমগীর হোসেন, কবি রফিক মাহমুদ প্রমুখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান