এবারের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনিশ্চয়তা

অনলাইন ডেস্ক: 

মাওলানা জুবায়ের ও সাদপন্থীদের দ্বন্দ্বের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে। ইজতেমা ময়দানে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকায় থেমে আছে প্রস্তুতি। এ অবস্থায় আদৌ কি হবে লাখো মুসুল্লির সমাগমে এবারের বিশ্ব ইজতেমা?

১৯৭২ সাল থেকে তুরাগ পাড়ে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে আসছেন মুসলমানরা। তাদের ঐক্যে প্রথম ফাটল ধরে ২০১৭ সালে। সেবার জুবায়ের ও সাদপন্থীরা আলাদা করে ইজতেমায় অংশ নেন। এরপর দুই পন্থীরা কেবল দূরেই সরেছেন।

বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কয়েক মাস আগ থেকেই চলে প্রস্তুতির কাজ। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে, ১৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে তাবলীগ জামায়াতের সাথীদের উপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর অনিশ্চতায় পড়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। নিরাপত্তার কারণে ইজতেমা ময়দানে চলছে ১৪৪ ধারা। থেমে গেছে সব প্রস্তুতির কাজ।

সংবাদ সম্মেলন করেও এ হামলার দায় নিতে চাননি কেউই। চেয়েছেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার। এমন বাস্তবতায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানে হাল ছাড়েননি তাবলীগ জামায়াতের নীতি নির্ধারকরা।

উল্লেখ্য, এবার ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

 

সবা:স:জু- ৫৪২/২৪

‘২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলিমকে হত্যা করব’

স্টাফ রিপোর্টার:

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতে বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের ওপর উগ্র হিন্দুদের হামলা ও নির্যাতন বেড়েছে। সম্প্রতি আগ্রার বিখ্যাত এক বিরানির দোকানের মালিক দুই ভাইকে তাদেরই দোকানের সামনে গুলি করা হয়। এতে এক ভাই নিহত হয়েছেন এবং অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, শহীদ আলি চিকেন বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই দোকান চালাতেন দুই গুলফাম আলি ও সাইফ আলি। রাতে বিক্রি শেষে গুলফাম দোকান বন্ধ করছিলেন এবং সাইফ আলি ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎতই দু’জন এসে গুলফামে ওপর গুলি চালায়। গুলি খেয়ে গুলফাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাইফ পেছন থেকে এগিয়ে এলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ঘটনাস্থালেই মারা যান গুলফাম। অল্পের জন্য বেঁচে যান সাইফ।

এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার একদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দুই যুবক। নিজেদের তারা ‘গো রক্ষা দলে’র সদস্য বলে দাবি করেন। ভিডিও বার্তায় তারা ঘোষণা করেন, পেহেলগামে ২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলমান হত্যার করা হবে।

ভিডিওতে এক যুবক বলেন, আগ্রা শহরে আজ ২জন মুসলিমকে হত্যা করেছি- এর দায় আমি নিচ্ছি। ২৬ জনের বদলে যদি ২৬০০জন মুসলিমকে হত্যা করতে না পারি তাহলে আমি ভারত মায়ের সন্তান নই।’

ভিডিওতে ওই যুবকের কোমড়ে একটি পিস্তলসহ আরও দুটি চাকু দেখা যায়। তার সাথে যে যুবক ছিল তার কোমড়েও অস্ত্র ছিল।

ভারতের উগ্র সংগঠন রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) এবং সংঘ পরিবারের সঙ্গে এই গো রক্ষা দলের সংশিষ্টতা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই গো রক্ষা দল দলিত হিন্দু ও মুসলমানদের ওপর বহু হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

তবে ভারতের গণমাধ্যমে এই হামলা তেমন জায়গা পায়নি। নিহত ব্যক্তির কোনো ছবিও প্রকাশ করা হয়নি।

অপরদিকে পেহেলগামের ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িওয়ালারা কাশ্মীরি মুসলমানদের বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন। হিন্দু দোকানদাররা মুসলমানদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এছাড়াও দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘মুসলিম অ্যান্ড ডগস আর নট অ্যালাউড’।

এসব ঘটনায় ভারতের পুলিশ ও প্রসাশন একেবারে নীরব। এখন পর্যন্ত তাদের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান