জবি ছাত্রদলের কমিটিকে লাল কার্ড প্রদর্শন, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

উম্মে রাহনুমা , জবি প্রতিনিধি:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্তির দাবিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ আজ দশম দিনে গড়িয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, বর্তমান কমিটি টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগ, শিবির, নেশাখোর ও ছিনতাইকারীদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বর্তমান কমিটিকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন। তারা দাবি করেন, ছাত্রলীগ থেকে আগত নেতৃবৃন্দ দিয়ে গঠিত এই কমিটি জবি ছাত্রদলের আসল নিবেদিত কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে না।

পদবঞ্চিত নেতারা বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কমিটি বিলুপ্ত করে, ছাত্রদলের অতীত আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটি আমাদের কোনোভাবেই মান্য নয়।”

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ২ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ সবুজ, পিয়ার আলী আল্লাহ হীরা, মিয়া রাসেল, মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মারুফ আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম রাহাত, সহ-সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন খান, ১ নম্বর সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল রহমান, সোলাইমান খান সাগর, আব্দুল আলিম, জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, ওমর ফারুক, মাহবুব আলম, সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস বয়মান শুক্কুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রবিউল ইসলাম শাওন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মিরাজ হোসেন, সম্পাদক মেহেদী হাসান আখনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

তারা জানিয়েছেন, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলবে যতদিন না পর্যন্ত তাদের দাবির প্রতি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সমর্থন জানায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

 

সবা:স:জু- ৬৩৬/২৫

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতার ক্ষমতার দাপটে, ১৫ বছর ঘর ছাড়া অসহায় পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ফরিদপুর জেলা সালথা থানার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁন্দাখোলা গ্রামের মৃত খন্দকার সুজাউদ্দিন এর পুত্র খন্দকার দেলওয়ার হোসেন এর পরিবারটি একুই গ্রামের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমিন খন্দকার এর ক্ষমতার দাপটে জমি জায়গা ঘর- বাড়ি ছেড়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন ১৫ বছর যাবৎ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমিন খন্দকার নিজেকে সাল্থা উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা দাবী করে সাল্থা উপজেলার কয়েকটি পরিবারকে ভিটে ছাড়া করেছেন, গত ১৫ বছর আগে তার নিজ গ্ চাঁন্দাখোলা গ্রামের মৃত খন্দকার দেলওয়ার হোসেন এর অসহায় পরিবারটিকে ভিটেবাড়ি সহ মাঠান জমি নিজ ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোর করে দখল করে নেন।
খন্দকার দেলওয়ার হোসেন এর পরিবারের কাছে থাকা জমির দলিল পর্যাচালনা করে দেখা যায় ২০০৪ সালের জুন মাসের ৯ তারিখে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে তার চাচা মোঃখন্দকার আলাউদ্দিন তার ভাইপো খন্দকার দেলওয়ার হোসেন কে ৬৪১ হাল দাগে,৮৪৯ নং দাগ জমির সারে ৩৩ শতাংশ জমি দান পত্র করিয়া দেন।
খন্দকার আলাউদ্দিন ১০-৬-২০০৫ তারিখে মৃত্যু বরন করলেও তার পরিবার দাবী করেন জমিটি ৮-৮-২০০৫ তারিখে তিনি ফেরৎ নেন,
আসলে একটি ব্যক্তি মৃত্যুর দুই মাস পরে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলো কি করে, আর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল এর মাধ্যমে শর্ত দেখিয়ে জমি ফেরৎ নিলেন কি ভাবে।
জমির মামলাটি ব্যাপারে মহামান্য আদালত যখন পি বিআই কে তদন্ত দিয়েছিলেন পিবিআই সঠিক তদন্ত রিপোর্ট দেলওয়ার হোসেন এর পরিবারের পক্ষে এসেছিলো, যা আমরা দেওয়ারের পরিবারের কাছে থাকা নথি ঘেটে দেখতে পারি।
আমিন খন্দকার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিকে আলাউদ্দিন খন্দকার সাজিয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কিছু অসৎ ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে জমিটি দখল নিয়েছিলেন তিনি, যা সে সময়ে সালথা উপজেলায় তার এই অবিচারের কথা মুহুর্তের ভিতরে ভাইরাল হয়ে যায়।
দির্ঘ ১৫ বছর বাড়ি ছাড়া পরিবারটি আমিন খন্দকারের রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটের কারনে আর প্রবেশ করতে পারেননাই তাদের নিজ আপন ঠিকানায়।
বর্তমানে দেলওয়ারের পরিবারটি সদস্যরা ঢাকার রায়েরবাগ কদম তলী ও নটখোলায় বসবাস করছেন।
বর্তমানে এই পরিবারটি নিজ গ্রামে ফিরতে চান, এবং তাদের জমি জায়গা ফেরৎ পেতে ফরিদপুর প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগে আমিন খন্দকারের বড় ভাই সামীম খন্দকার এই অসহায় পরিবারটির জমি জায়গা বুঝিয়ে দিতে আশ্বাস প্রদান করেছেন, এবং এই পরিবারটিকে কোন প্রকার আইনি সহযোগীতা নিতে নিষেধ করেছেন, যা ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কতা বলার কয়েকটি অডিও ক্লিপ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি সামীম খন্দকারের সাথে তাদের জমি জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বল্লে তিনি সুকৌশলে যমি জায়গা বুঝিয়ে দিতে পারবেনা বলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করে চলেছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম