মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদরাসার সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে সুপার লাঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদরাসার সভাপতি পদ নিয়ে গত রবিবার মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মিটিং থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কিছুসংখ্যক সভাপতি প্রার্থী অনুপস্থিত থেকে স্থানীয় কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে উক্ত মাদ্রাসার সুপারের উপর মাদ্রাসার চলমান দ্বন্দ্বের জেরে মাদরাসার সুপার মো. হাদিউল ইসলামকে শারীরিকভাবে আঘাত করে কঠোর বাসায় লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- ১। সরদার আছমত আলী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন মুরাদ
২। মনোহরদী সরকারি কলেজের শিক্ষক খলিলুর রহমান এবং ৩। মনোহরদী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. লুতফুর রহমান।
তাদের সাথে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জন সদস্যদেরকে নিয়ে উক্ত মাদ্রাসার সুপারের ওপর বেধড়ক মারধর করে এবং রুমে আটক রাখে।

ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরদী উপজেলার ইউএনও কার্যালয়ে। জানা গেছে, সভাপতি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিষয়ে সুপার ইউএনও অফিসে গেলে সেখানে ওই তিনজন সাথে আরো ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে শারীরিকভাবে বেধড়কভাবে আঘাত করে অকথ্য ভাষায় লাঞ্ছিত করে।

এ বিষয়ে ইউএনও এম এ মুহাইমিন আল জিহান-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এইজন্য ৫০ কোর গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ তথা অত্র মাদ্রাসার সকল ছাত্রছাত্রী মিলে মানববন্ধন ও উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তারা অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর উপরোক্ত আসামীরা বারবার সুপার মহোদয়কে বিভিন্নভাবে ফোন করে হুমকি এবং প্রাণনাশের হুমকি এবং বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে বিভিন্ন কথা বলে হয়রানি করতেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাই মহামান্য সুপার মহোদয় ভয়ে । প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হয়ে মাদ্রাসায় চলমান রাখবে সেই ভয়ে আছেন। অত্র এলাকাবাসীদের কে নিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে মনোহরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করিয়েছেন।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসী গ্রেফতার কেন হল না এই মর্মে মাননীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর প্রশ্ন।

গাজীপুরের মতোই সকল নির্বাচন সুষ্ঠু করবে (ইসি)

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে বিদেশিদের চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ না। আমরা স্বাধীন বা মুক্ত। আর সরকারের কাছ থেকে আমাদের কাছে কখনোই কোন চাপ আসেনি।

রোববার (২৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসির সাবেক সচিব থেকে নির্বাচন কমিশনার হওয়া মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা আসবেন তাদের সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররাও যেন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। গাজীপুরের মতোই আসন্ন সব নির্বাচন সুষ্ঠু করবে ইসি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার সবকিছুই করা হবে।

ইসি আলমগীর বলেন, যারা সমালোচনা করেন তারা সবসময়ই সমালোচনা করেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয় ৪৫ দিন আগে থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কি হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা পড়ারও সুযোগ পাইনি, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ভিসা নীতির সঙ্গে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কিত নয়। নির্বাচনে আইন মেনে না চললে তিনি যেই হোন না কেন ইসি ব্যবস্থা নিবে।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকারসহ সব পক্ষের ভাবমূর্তি ভালো হয়েছে। বিদেশিরা কী চাইলো সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কাজ করে ও ভবিষ্যতেও করবে। নির্বাচন কমিশন মুক্ত ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এজন্য সরকারের কাছ থেকে কোন চাপ কখনোই আসেনি বলে উল্লেখ করেন আলমগীর।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান