যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

স্টাফ রিপোর্টার:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতির প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে। স্থানীয় সময় শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, শিকাগোসহ দেশটির বড় বড় শহরে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে আসে।

বিক্ষোভটি ‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত—যার অর্থ, ৫০টি রাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ, একটিই আন্দোলন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৫০তম বার্ষিকীকে স্মরণ করে আয়োজন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউজের সামনেই শুধু নয়, টেসলার বিভিন্ন ডিলারশিপ ও শহরের কেন্দ্রস্থলগুলোতেও জড়ো হন। তাঁরা ট্রাম্পের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন—বিশেষ করে সরকারি চাকরি ও ব্যয় সংকোচনের মতো উদ্যোগ নিয়ে।

রাজনীতিতে ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত এপ্রিলে ‘হ্যান্ডস অফ’ আন্দোলনেও ব্যাপক জনগণ অংশ নিয়েছিল।

জনমত জরিপগুলো বলছে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে। আন্দোলনকারীরা তার প্রশাসনের নানা সিদ্ধান্ত—যেমন সরকারি খাতে ছাঁটাই, রাষ্ট্রীয় ব্যয় হ্রাস, ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক আরোপ—নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

চলতি মাসের শুরুতেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। মূলত প্রশাসনিক সংস্কার ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ থেকেই এসব বিক্ষোভের সূত্রপাত।

প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশ ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

২০১৭ সালেও, ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছিল।

গাজাকে ‘ধুলায় পরিণত’ করার হুমকি ইসরাইলের

ডেস্ক রিপোর্ট:

যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি না হলে গাজাজুড়ে সামরিক অভিযান উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে ইসরাইলি কর্মকর্তারা, মার্কিনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা শহরের কিছু অংশে নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে, যা স্থল অভিযানের পরিসর আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

একজন শীর্ষস্থানীয় ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা রাফাহতে যা করেছি, গাজা শহর এবং মধ্য শিবিরগুলোর ক্ষেত্রেও তাই করব। সবকিছু ধুলায় পরিণত হবে।’

এই হুমকি এমন সময়ে এলো যখন ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইল প্রয়োজনীয় শর্তগুলোতে সম্মত হয়েছে এবং হামাসকে এই শর্ত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে ইসরাইল বা হামাস কেউ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তগুলোতে ইসরাইল সম্মত হয়েছে, যার সময় মার্কিন মিত্র ইসরাইলের এই যুদ্ধে ইতি টানার জন্য সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করা হবে।

ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘ইসরাইল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলোতে সম্মত হয়েছে। এই সময়ে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে মিলে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘শান্তি আনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় চূড়ান্ত প্রস্তাবটি দেওয়া হবে। আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থে হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে, কারণ এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব আর আসবে না—পরিস্থিতি কেবল আরও খারাপ হবে।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি