৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে ৭ম শ্রেণির মাহতাবের ফেরেনি জ্ঞান

৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে ৭ম শ্রেণির মাহতাবের ফেরেনি জ্ঞান

ডেস্ক রিপোর্ট:
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে স্কুলের ইংলিশ ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহতাব রহমানের। জ্ঞান না ফেরা ১৫ বছরের এই শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এমতাবস্থায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার বাবা মো. মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া।

জানা গেছে, মাহতাব রহমান ভূঁইয়া কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মো. মিনহাজুর রহমানের একমাত্র ছেলে। তারা ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় থাকেন। মাইলস্টোন স্কুলে তার শিক্ষার্থী কোড নং ১০১৪।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত মাহতাব। তার বাবা প্রতিদিন ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতেন। গতকাল স্কুল ছুটির ঠিক ১০-১৫ মিনিট আগে হঠাৎ করে স্কুলের ভবনে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক হতাহত হয়। এ সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খুঁজে পেতে ছোটাছুটি করতে থাকেন।

এ ঘটনয় সপ্তম শ্রেণির মাহতাব রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় সেনাবাহিনী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে চিকিৎসকরা তাকে বার্ন ইউনিটের আইসিউইতে ভর্তি করেন।

মাহতাবের বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলের সবশেষ অবস্থা নিয়ে বলেন, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আছি, ছেলেকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে মাহতাবের শরীরের প্রায় অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে। আমার একমাত্র ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

মাহতাবের গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী মো. আবুল খায়ের জানান, ঘটনার পর মাহতাবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার এখনো জ্ঞান ফেরেনি।

এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান সম্পর্কে বিস্তারিত

এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান সম্পর্কে বিস্তারিত

ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। চলছে উদ্ধার অভিযান। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে এই মডেলের মোট ১৬টি বিমান যুক্ত হয় ২০১৩ সালে। ‘এফ-৭ বিজিআই’ হলো চীনের তৈরি এফ-৭/জে-৭ সিরিজের সবচেয়ে উন্নত এবং শেষ উৎপাদিত সংস্করণ। এটি মূলত একটি হালকা ও উচ্চগতিসম্পন্ন যুদ্ধবিমান, যার নকশা ও প্রযুক্তি সোভিয়েত মিগ-২১-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি এফ-৭ বিজিআই মটেডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বলে জানিয়েছে আইসএসপিআর। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর একটার পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এফ-৭ বিজিআই (F-7 BGI) একটি মাল্টি-রোল যুদ্ধবিমান অর্থাৎ এটি একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনে সামরিক কার্যক্রমে দক্ষ বা বহুমুখী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। এই বিমান চীনের চেংডু এয়ারক্র্যাফ্ট করপোরেশনের তৈরি। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী এটি বিশেষভাবে একটি ব্যয়সাশ্রয়ী মাল্টি-রোল যুদ্ধবিমান হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। চেংডুর তৈরি এফ সিরিজের বিমানগুলোর মধ্যে এটিকে সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ বলে গণ্য করা হয়। এফ-/৭ বিজি-তে, জে-৭ জি বিমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তৈরি করা F-7 BGI (I বলতে বুঝানো হয় Improved বা উন্নত)।

এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য-
ইঞ্জিন: এটি একটি ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান। এতে ডব্লিউপি-১৩এফ (WP-13F) আফটারবার্নিং টার্বোজেট ইঞ্জিন রয়েছে।
সর্বোচ্চ গতি: এটি মাক ২.২ (Mach 2.2) বা ঘণ্টায় প্রায় ২,৪৭০ কি.মি. গতিতে উড়তে সক্ষম।
রেঞ্জ: এর ফেরি রেঞ্জ (ফেরত যাওয়ার ক্ষমতাসহ) প্রায় ২,০০০ কি.মি.।
অস্ত্র: এফ-৭ বিজিআই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বহন করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে- পিএল-৫, পিএল-৯ ইনফ্রারেড গাইডেড মিসাইল। ৩০ মিমি কামান। ফ্রি-ফল বোমা। রকেট পড। এটি লেজার গাইডেড বোমা (যেমন: Mk 81, Mk 82-এর জন্য TEBER গাইডেন্স কিট), জিপিএস গাইডেড বোমা এবং ৩০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত সাসপেন্ডেড আরমামেন্ট বহন করতে পারে।
রাডার: এতে কেএলজে-৬এফ (KLJ-6F) পালস ডপলার রাডার ব্যবহার করা হয়, যা ৮০ কিমি+ রেঞ্জ কাভার করে।
ককপিট: এর ককপিট আধুনিক ‘গ্লাস ককপিট’; যেখানে মাল্টিফাংশন ডিসপ্লে এবং হ্যান্ডস অন থ্রটল অ্যান্ড স্টিক সিস্টেম রয়েছে।
সীমিত বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধক্ষমতা: আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর তুলনায় এর বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ যুদ্ধক্ষমতা সীমিত।

চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন এবং গুইঝো এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন ১৯৬৫ সাল থেকে এই সিরিজের বিমান উৎপাদন শুরু করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে ১৬টি এফ-৭ বিজিআই হস্তান্তরের মাধ্যমে এই সিরিজের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই মডেলের সর্বমোট ২৪ শটির বেশি বিমান তৈরি করা হয়েছে।

বিমানটি স্বল্পপাল্লার ইনফ্রারেড গাইডেড এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এটি মূলত আকাশ থেকে আকাশে লড়াইয়ের জন্যই ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এটি মাটির কাছাকাছি (ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট) অপারেশনেও ব্যবহৃত হয়।

প্রথমে শুধু চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স এই বিমান পরিচালনা করলেও পরে এটি বহু দেশে রপ্তানি হয়। চীনের বাইরে পাকিস্তান হলো এর সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী। জিম্বাবুয়ে, তানজানিয়া, শ্রীলংকাসহ কয়েকটি দেশেও এই বিমান সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে ওসাকা এক্সপো–২০২৫: কৃত্রিম দ্বীপে এ যেন এক টুকরা ফিলিস্তিন জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বশির মোল্লার হাতে নাশকতার নীলনকশা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আসিফ নজরুল রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ, ট্রাফিক কনস্টেবল কারাগারে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো মায়ের বিয়ের বেনারসি শাড়িতে জয়া আহসান পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত ৪-৫টা আসনও পাবে না: আবু হেনা রাজ্জাকী জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সড়ক নিরাপত্তা আইন দ্রুত প্রণয়নের দাবি তরুণদের