প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা:

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মেয়েকে হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর মামলায় বাবা চাচা ও চাচাতো ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া জহির কোনা গ্রামের মৃত আ. মোতালিবের ছেলে মো. আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর মিয়া (৭৩), তার ছোট ভাই খুরশিদ মিয়া (৫২) এবং আঙ্গুর মিয়ার ছোট ভাই মেনু মিয়ার ছেলে সাদেক মিয়া (৩৬)। তিন আসামিই রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর মিয়া, তার ভাই খুরশিদ মিয়া এবং ভাতিজা সাদেক মিয়া মিলিতভাবে আঙ্গুর মিয়ার মেয়ে মীরা আক্তারকে ছুরি দিয়া বুকে আঘাত করে হত্যা করে। পরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে করিমগঞ্জ থানায় ২০১৬ সালের ১১ আগষ্ট ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তারা।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দত্ত মামলাটি তদন্ত করে প্রমাণ পান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে নিজ মেয়েকেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন আঙ্গুর মিয়া ও তার সহযোগীরা। এরপর ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এসআই অলক কুমার দত্ত নিজে বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর দুই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

স্টাফ রিপোর্টার: 

ঘন কুয়াশায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে এই ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই নদীতে বাড়তে কুয়াশা। মধ্যরাতে তা আরও তীব্র হয়। ঘন কুয়াশার কারণে নৌরুট ২টিতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। ফেরি চলাচলের বিকন বাতি ও মার্কিং পয়েন্টের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এই দুটি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে দেওয় হয়। এতে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ছোট-বড় ৫টি ফেরি। কুয়াশার মাত্রা কমে এলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

পাটুরিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাম হোসেন জানান, কুয়াশার মাত্রা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

 

সবা:স:জু- ৪৯৫/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম