শেখ হাসিনা ছিল গুন্ডাদের হেড কোয়ার্টার: এম নাসের রহমান

শেখ হাসিনা ছিল গুন্ডাদের হেড কোয়ার্টার: এম নাসের রহমান

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহি কমিটির অন্যতম সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যে একটা গুন্ডা পার্টি, একটা মাস্তান পার্টি দেশের জনগণ এটা বুঝেছে। কেমন করে বুঝেছে, চৌদ্দশ মানুষ মরার পর আর বিশ হাজার মানুষ আহত হওয়ার পর এ দেশের মানুষ বুঝেছে আওয়ামী লীগ একটা গুন্ডা-মাস্তান পার্টি। আর তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ছিল গুন্ডাদের হেড কোয়ার্টার। ৭৭ বছরের গুন্ডি এখন দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছে। আজকে সে দিল্লিতে লুকিয়ে আছে। একটা বছর দেখতে দেখতে স্বৈরাচারী হাসিনার এক বছর পলায়নের দিন উদযাপন করছি আমরা। তার সাড়ে পনের বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে একটা দল। সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য শেখ হাসিনা কম চেষ্টা করে নাই। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, খুন করেছে হত্যা করেছে, জেলে ভরেছে। আল্লাহর বিচার, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে করে দিয়েছে তাকে।’ তিনি বুধবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের এসআর প্লাজার সামনে জেলা বিএনপি আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও ছাত্র-জনতার বিজয় উৎসবের শোভাযাত্রা শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসের রহমান আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতা এবং পেছনে বিএনপির সক্রিয় ভুমিকায় এই স্বৈরাচারীনিকে আমরা বিতারিত করতে সক্ষম হয়েছি। আজকে সে পলায়ন পর যে দেশ থেকে আসছিল সে দেশে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শেখ হাসিনা কিছুই না, সে ভারতের দালাল, ভারতের চর। ভারতের দালাল হিসেবে সাড়ে পনেরো বছর এদেশে রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল সে। এ ধরনের রাম রাজত্বের সুযোগ শেখ হাসিনাতো দূরে থাক তার প্রেত্ত¥াদেরও কোনদিন সে সুযোগ দেয়া হবে না। এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ইনশাআল্লাহ আমরা ধীরে ধীরে শেষ করে দিব। আজকে আওয়ামী লীগের মৌলভীবাজারেরর এই চার খলিফা কোথায়? নিজেরা বসে বসে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর সভার চেয়ারম্যান, নিজেরা বসে বসে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়েছে। যে যেমনে চায় নিজে নিজে হতে চায়। কারন দেশটাতো তাদের বাপের সম্পত্তি মনে করেছিল। দেশটা যে বাপের সম্পত্তি না, জনগণের দেশ এটা বাংলাদেশের জনগণ গতবছর বুঝিয়ে দিয়েছে। আজকের বর্ষপূর্তিতে স্বৈরাচারীনিকে সরানোর জন্য যে চৌদ্দশ মানুষ যেভাবে মারা গেছে এরমধ্যে ১৩৩টি শিশুবাচ্চাসহ বিশ থেকে পঁচিশ হাজার লোক আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা, সমবেদনা ও রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে আমাদের নেতা তারেক রহমান বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, আগামী ফেব্রæয়ারিতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের আরও বেশি সহযোগীতা করা হবে।’

জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রা পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, আলহাজ আব্দুল মুকিত প্রমুখ।

বিএনপির নেতাকর্মীর হাতে মারধরের শিকার ৪ জামায়াত নেতা

স্টাফ রিপোর্টার:

পাবনার সুজানগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রুমে তার সামনেই বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমিরসহ উপজেলা জামায়াতের ৪ নেতা।

গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটলেও আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

আহত ৪ নেতা হলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফারুক ই আজম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী টুটুল বিশ্বাস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস, সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোনো একটি কাজে জামায়াতের ওই ৪ নেতা ইউএনও’র অফিসে যান । কিন্ত ইউএনও অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় জামায়াত নেতারা অফিসে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীও ইউএনও’র কাছে কোনো একটি কাজে গেলে জামায়াত নেতাদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এরা কেন এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে। এ কথা বলেই বিএনপি নেতারা ইউএনও’র রুম থেকে বের হয়ে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনেন। এরপরই মজিবুর রহমান, বাবু ও মানিকসহ ৩০/৪০ জন ইউএনও’র কক্ষে ঢুকে ওই জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তাদের কিল, ঘুষি, লাথিসহ বেদম মারধর করেন। এতে জামায়াত নেতারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে জামায়াত নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর জামায়াতের উপজেলা আমির কেএম হেসাব উদ্দিনসহ কয়েক শ’ নেতাকর্মী ইউএনও অফিসে ছুটে আসেন এবং ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ সময় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় সেখানে। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

এরপরই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস, সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টুসহ শীর্ষ নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হলে পরিস্তিতি শান্ত হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি দু;খজনক। যেহেতু আমার কক্ষেই ঘটনাটি ঘটেছে। কাজেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস, সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ ও যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী আমাদের দলের হতে পারে না। আমরা বলেছি, যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’

এদিকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা সাংগঠনিকভাবে কর্মসূচি দেব।’

সুজানগর থানার ওসি মজিবুর ররহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আহতরা এখনো মামলা করতে আসেননি।

তারা থানায় এসে মামলা করতে চাইলেই মামলা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের