হাজির করা হলো সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে

ডেস্ক রিপোর্ট :

 

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আনা হয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাদের নামিয়ে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যান।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘমেয়াদি শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় হেফাজতে থাকা বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

কারা হাজির হয়েছেন: 

ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া সেনা কর্মকর্তারা হলেন,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল মখচুরুল হক (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কেএম আজাদ, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

মামলার অগ্রগতি:

এই তিন মামলায় মোট ৩২ আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনা কর্মকর্তা। আজ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে হাজির করা হয় এবং অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল শুনানির কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

প্রসিকিউশনের বক্তব্য:

প্রসিকিউটর গাজী এম.এইচ. তামিম জানান, “আজ হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন নির্ধারিত ছিল। যদি কেউ হাজির না হন, তাদের নাম দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, যদি আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন, তবে কোন কারাগারে রাখা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন কারা কর্তৃপক্ষ।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টন ও আশপাশের এলাকাজুড়ে সকাল থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট এলাকার নিরাপত্তা ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

অভিযোগের বিবরণ:

প্রসিকিউশনের দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, টিএফআই সেলে বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেয়।

এছাড়া ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘর এ গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তারিক রহমানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। অন্যদিকে  জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকালে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সবমিলিয়ে এই তিন মামলায় মোট ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা অভিযুক্ত। সেনা সদর থেকে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।অভিযোগ আমলে নেওয়ার শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অংশ নেন। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে বিচার শুরুর আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং আজকের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়।

অভিযোগ উঠেছে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে

অভিযোগ উঠেছে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে

ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল ২৯ জুন সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা জানানো হলেও প্রজ্ঞাপন বলছে ভিন্ন কথা।

সোমবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদের জারি করা প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে গতকালের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উপদেষ্টা কমিটি কাজ করবে ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম পর্যালোচনা-মূল্যায়ন এবং অধিকতর গতিশীল করার জন্য সুপারিশ করতে। অথচ উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটির কাজ হওয়ার কথা ছিল, এনবিআরের সংস্কার নিয়ে কেন বিরোধ তৈরি হলো, কেন এনবিআর আন্দোলনে গেল ও সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার উপায় বের করা।

এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে প্রজ্ঞাপনের কার্যপরিধির কোনো মিল নেই। একটা পক্ষ এনবিআর কর্মকর্তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। আমরাও রাষ্ট্রের স্বার্থে সংস্কার চাই এবং যৌক্তিক সংস্কার চাই। কিন্তু প্রজ্ঞাপনের কার্যপরিধি দেখে সন্দেহ রয়ে গেল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে সাংবাদিক ও শিক্ষককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে কেন বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে ওসাকা এক্সপো–২০২৫: কৃত্রিম দ্বীপে এ যেন এক টুকরা ফিলিস্তিন জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বশির মোল্লার হাতে নাশকতার নীলনকশা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আসিফ নজরুল রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ, ট্রাফিক কনস্টেবল কারাগারে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো মায়ের বিয়ের বেনারসি শাড়িতে জয়া আহসান