জামাত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন

স্টাফ রিপোর্টার:
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন। সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) তার মৃত্যু হয়।
বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার বিকেলে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সাঈদীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর বিএসএসএমইউতে আনা হয়।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। একই বছর ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

যাত্রাবাড়ীতে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে দুই মাদরাসা শিক্ষককে গণপিটুনি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধনিয়াস্থ প্রধান সড়কে অবস্থিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে দুই শিক্ষককে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটলেও তারা ভয়ে জানাতে পারেনি।

যাদের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ তারা হলেন- ওই মাদরাসার আরবি শিক্ষক আবু বকর ও আল আমীন।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনার পর ওই মাদরাসার সাড়ে ৪০০ বেশি শিক্ষার্থীকে বাড়ি নিয়ে গেছেন অভিভাবকরা।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রদের অভিভাবকরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে সন্তানদের হাফেজ বানাতে যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসায় ভর্তি করান। কিন্তু আবাসিক এই মাদরাসায় বছরের পর বছর শিক্ষার্থী বলাৎকারের অভিযোগ ছিলো। হাতে নাতে যার প্রমাণ মেলে শুক্রবার। হেফজ শাখার আট ও দশ বছরের দুই শিক্ষার্থী বহুদিন ধরে বলাৎকারের শিকার হয়ে আসছিল। শুক্রবার তারা বাড়ি গিয়ে পরিবারে ঘটনা জানালে অভিভাবকরা এসে দুই  শিক্ষক আবু বকর ও আল আমীনকে গণপিটুনি দেয়।
এদিকে মাদরাসার বাকি শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও বলৎকারের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তবে ঠিক কত দিন ধরে এমন ঘটনা ঘটে আসছে সেই তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

মাদরাসাটির শিশুরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষকরা বলাৎকার করে আসছিলেন। তারা মাদরাসাটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলা নিয়ে শিশুদের বলাৎকার করতেন।

মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ নেসার আহমদ আন নাছিরী একজন ধর্মীয় বক্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লাখ লাখ ফলোয়ার। তিনি নিজেও এই ঘটনায় গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন। ২০০৯ সালে চালু হওয়া এই মাদরাসায় এখন নারী-পুরুষ তিন শাখায় এক হাজারের বেশি  আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

জানা গেছে, মাদরাসাটির খরচও ব্যয়বহুল। ভিআইপি হলে প্রতিমাসে খরচ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর সাধারণ হলে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। মাদরাসাটির আয় মাসে কয়েক কোটি টাকা ।
তবে ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে বাড়ি নিয়ে গেছে ।

অভিযোগ আছে, মাদরাসা মালিক নেছারী এবং স্থানীয় কিছু অসাধু কিছু ব্যক্তির ভয়ভীতির মুখে ভুক্তভোগীরা মামলা করার সাহস পাচ্ছে না।
এই মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন আরো অভিযোগ রয়েছে যা যাচাই বাচাই করে পরবর্তিতে প্রকাশিত হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি