ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জসীমের যৌন লীলার আপোষের মূল্য কত?

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক অর্থ ও প্রশাসন জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে অফিস সহায়ক নারীকে নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এ বিষয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হলেও অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন জসিম উদ্দিন।

জসিমের ভাই মেহেদি চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে জড়িত জসিমের অবৈধ উপার্জনের বড় অংশ তার ভাইয়ের ব্যবসায় মূলধন যোগান বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। ওই ব্যবসার আড়ালে বিদেশে টাকা পাচার হুন্ডির ব্যবসা করে থাকে বলেও লোকমুখে শোনা যায়।

জসিমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মচারী ওই নারী ও তার স্বামীকে গত সপ্তাহে ডেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময় জসিম আপোষ করেছেন এমনটা ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে কর্মরত অনেকেরই মূখে মুখে।

যৌন হয়রানি ঘুষ – দুর্নীতি ও আত্মহত্যা প্ররোচনার মত গুরুতর অভিযোগ উঠার পরেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় অধিদপ্তরের অনেকেই তাদের হতাশার কথা জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, ডিডি জসিমের নিকট প্রতিনিয়ত অসংখ্য বহিরাগত ব্যক্তিদের আনাগোনা রয়েছে, তাদের মধ্যে দালাল শ্রেণীর ব্যক্তি, কথিত রাজনৈতিক পরিচয়ধারী নেতা সহ অন্যান্য। তারা অফিস টাইমের অধিকাংশ সময়ই জসীমউদ্দীনের সাথে গোপন বৈঠক করে থাকেন। আগত ওইসব ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ সশস্ত্র (রিভলবার) নিয়েও ফায়ার সার্ভিস এর সদর দপ্তরের ভিতরে প্রবেশ করেন বলে জানান তিনি। আগন্তুক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিক পরিচয়কারী ওই ব্যক্তি দিনের প্রায় সময়ই জসীমউদ্দীনের সঙ্গে খোশ গল্পে মেতে থাকেন যা তার অফিসে যাতায়াতকারী সকলের কাছেই ওপেন সিক্রেট।

এছাড়াও যৌন হয়রানীর অভিযোগ করা ওই নারীকে মানসিক যন্ত্রণার মাধ্যমে আত্মহত্যার প্ররোচনা করেছেন জসিম উদ্দীন। ভুক্তভোগী নারী সুইটি বলেন, জসিম স্যারের অত্যাচার সইতে না পেরে আমি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেই এবং মহাপরিচালক স্যারের বরাবর জসিমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ লিখে তৎকালীন মিরপুর ট্রেনিং সেন্টারের প্রিন্সিপাল সালেহ উদ্দিন স্যারের নিকট জমা দেয় কিন্তু আমার দেয়া ওই লিখিত অভিযোগটি প্রিন্সিপাল স্যার জসিমকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে গায়েব করে ফেলেন যা অধিদপ্তরে প্রেরন করেন নাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানায়, ডিডি জসিম উদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার আয়ের বহির্ভূত সম্পদ গড়েছেন। একজন নারী কর্মচারী কে যৌন হয়রানির মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসের মত সেবা প্রদানকারী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে কলুষিত করেছেন তিনি। এমন ঘৃণিত অপরাধের বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে এই বাহিনীর শৃঙ্খলায় বিঘ্নিত হবে।

ডিডি জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে ঘৃণিত এমন সব অপরাধ থাকার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন এ বিষয়ে ডিরেক্টর এডমিন মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম এর বক্তব্য জানতে তার দুটি মুঠোফোন নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ডিডি জসীমউদ্দীনের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গণপূর্তের ঢাকা জোনের ইএম বিভাগে প্রকৌশলী আলমগীর খান সিন্ডিকেটের শত কোটি টাকা লোপাট!

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের ই/এম ডিভিশনে দুর্নীতি, অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ কর্মকর্তারা বিদেশে পাচার করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।কয়েকজন ঠিকাদার, নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর খানের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে লুটপাট সিন্ডিকেট ।
এই সিন্ডিকেটে তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজুমদার ট্রেডিং।

সিসি ক্যামেরা না লাগিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ, গাড়ি চালকের বেতন বাবদ ৮৭ লক্ষ টাকা অপচয়, জনবল থাকা সত্ত্বেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেখিয়ে অর্থ লুটপাট এবং অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মত গুরুতর অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় কোনো সিসি ক্যামেরা স্থাপন না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছে ই/ত্রম বিভাগ-৬। অপরদিকে ই/এম বিভাগ-৮ দুটি গাড়ির বিপরীতে ৩১ জন চালকের পেছনে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় করেছে ৮৭ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ সালের অডিট রিপোর্টে এই অনিয়ম কতৃপক্ষের নজরে এলেও গণপূর্ত অধিদফতর কোন এক অজানা কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ।

অডিট রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল (ই/এম) বিভাগ-৬ ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় ৩টি ১৬ চ্যানেল বিশিষ্ট ডিডিআর, ১২টি পিটিডোর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ৩টি ডিসপ্লে মনিটর, ১০টি ডে নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মালামাল চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ ও স্থাপনের জন্য মাত্র দুদিনে একজন ঠিকাদারকে তিনটি কার্যাদেশ দেয়। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর পত্র স্মারক নং- ৩৫০২ (তারিখ; ১৪-০৬-২০১৬) এবং স্মারক নং-৩৫০৭ ও ৩৫০৮ (তারিখ:১৫- ০৬-২০১৬)- এর মাধ্যমে চুক্তি মোতাবেক ঠিকাদারকে ১ কোটি ১৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা।

চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হলেও কাজ গুলো আজও সমাপ্ত হয়নি। একই বছরের ২০ অক্টোবর অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সিসি ক্যামেরা গুলো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত কারিগরি লোক থাকার পরও যন্ত্রগুলো কাজে আসচ্ছেনা অথচ বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক বলে অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও দৈনিক মজুরি ও চুক্তিভিত্তিক জনবল নিয়োজিত রয়েছে, এতে সরকারের আর্থিক অপচয় হচ্ছে বলে অডিট বিভাগ জানিয়েছে।

এহেন সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন গণপূর্ত অধিদফতরের ই/এম ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর খান। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে ঢাকা শহরে ও তার আশে একাধিক বাড়ী ও এ্যাপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক প্লট, আবাসিক প্লট ক্রয় এবং অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান